পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ২ কেজি ২২০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ মাছ ৭ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা দুইটার দিক কুয়াকাটা–সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলে জামাল মাতুব্বরের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

জামাল মাতুব্বর বলেন, মাছ ধরার জন্য গত শনিবার তিনি সাগরের হাইর পয়েন্টে যান। এরপর জাল ফেলে তাঁরা অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে জাল টেনে তুললে অন্যান্য মাছের সঙ্গে মাছটি উঠে আসে।

পরে শেষ বিকেলে পাশের আশাখালী বাজারের বন্ধন ফিশ আড়তে মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে যান জামাল মাতুব্বর। সেখানে নিলাম ডাকের মাধ্যমে ৭ হাজার ৭০০ টাকায় ইলিশটি কেনেন স্থানীয় ব্যবসায়ী কবির হোসেন।

বন্ধন ফিশ আড়তের ব্যবসায়ী মো.

জাহিদুল ইসলাম বলেন, এত বড় মাছ এই বাজারে খুব কম পাওয়া যায়।

কলাপাড়া উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকার নদী-সাগরে একটা নির্দিষ্ট সময় ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মেনে চলছেন। এ কারণে এখন এ রকম বড় মাছ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। এ ধরনের বড় আকারের মাছ মূলত গভীর সমুদ্রে থাকে। জালের প্রশস্ততা বাড়ালে এমন আকারের মাছ বেশি বেশি ধরা পড়বে।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছুরিকাঘাতে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নিহতের পর আহত কর্মীরও মৃত্যু

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন এক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মুহাম্মদ তানিম (২৫)। আজ বুধবার সকাল ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার চৌধুরীহাট বাজারের দাতারাম সড়কে ছুরিকাঘাতে তিনি আহত তানিম। তিনি এ সময় হাটহাজারীর চিকনদণ্ডী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি অপু দাশের (৩০) সঙ্গে ছিলেন। ছুরিকাঘাতে রাতেই অপুর মৃত্যু হয়।

তানিমের মৃত্যুর বিষয়টি হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মুহাম্মদ তারেক আজিজ প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজ সকাল নয়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে চৌধুরীহাট বাজারে একদল যুবকের ছুরিকাঘাতে অপু দাশ ও তানিম আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক অপু দাশকে মৃত ঘোষণা করেন। ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানিমের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা মুহাম্মদ তারেক আজিজ আরও বলেন, তানিমের পেটে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করেন দুর্বৃত্তরা। অন্যদিকে অপুর গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তানিম হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা। তানিম ও অপুকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় রাতে আফসার উদ্দিন নামের এক তরুণকে পুলিশ আটক করেছে। তাঁর বাড়ি কক্সবাজার সদরের পানখালী এলাকায়। তবে তিনি হাটহাজারীর চৌধুরীহাটের সুজন কলোনিতে থাকেন।

আরও পড়ুনহাটহাজারীতে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতিকে হত্যা১২ ঘণ্টা আগে

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আফসার অংশ নিয়েছেন। এ সময় তিনি নিজেও জখম হন। এ ঘটনায় মামলার পর আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ