দ্বিতীয় ধাপে দশম দিনের বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
Published: 7th, July 2025 GMT
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের দশম দিনের বৈঠক চলছে। আজ সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহণ নিয়েছেন।
কমিশন জানিয়েছে, আজ আলোচনা হবে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ, জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে।
বৈঠকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড.
আলোচনা শেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রথমে সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করবেন। পরে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা ব্রিফ করার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয় সংবিধান সংশোধনের জন্য। এটির নেতৃত্বে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন ত ক দল
এছাড়াও পড়ুন:
উপজেলা স্তরে আদালত সম্প্রসারণের প্রস্তাবে একমত জামায়াত: হামিদুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছে তাঁর দল। তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে জামায়াতে ইসলামী এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছে।
আজ সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনার বিরতিতে এ কথা বলেন হামিদুর রহমান আযাদ।
আজকের বৈঠকের অন্য দুই আলোচ্যসূচিতে রয়েছে জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও নারী প্রতিনিধিত্ব। মধ্যাহ্নবিরতি শেষে বাকি দুটি বিষয়ে আলোচনা পুনরায় চলবে।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, তাঁর দল জামায়াতে ইসলামী মনে করে, বর্তমান ঐকমত্য কমিশন কিংবা অন্তর্বর্তী সরকারের সৃষ্টি জনগণের স্বার্থে। তাই জনস্বার্থে আদালতকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে চান তাঁরা। তিনি বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে অনেক মানুষ আর্থিকভাবে অসচ্ছল। জেলা শহরে গিয়ে আইনজীবী ঠিক করে বিচার পাওয়া তাঁদের জন্য কঠিন হয়। সেই সঙ্গে থাকা–খাওয়ার খরচ। তাই মানুষের ভোগান্তি কমাতে আদালত সম্প্রসারণের পক্ষে জামায়াতে ইসলামী।
দেশের ২৩টি জেলায় বর্তমানে ৪০টি চৌকি আদালত রয়েছে। এসব চৌকিকে স্থায়ী আদালতে রূপ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে জামায়াতে ইসলামী। হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, এসব চৌকির অবকাঠামো এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহ করতে হবে।
উপজেলা স্তরে আদালত সম্প্রসারণ করা হলে দুর্নীতি বাড়বে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, দুর্নীতি অনেক জায়গাতেই হয়। জামায়াতে ইসলামী মনে করে, জনসচেতনতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। জনগণকে সুশাসন ও সুবিচার দিতে হলে বিচারব্যবস্থাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন, সিপিবি, এবি পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আজকের আলোচনায় আরও উপস্থিত আছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও মো. আইয়ুব মিয়া।