ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে গতকাল বেশ আশা নিয়েই তাবরেজ শামসি লিখেছিলেন, ‘কাল (আজ) ব্রায়ান লারার চার শর রেকর্ডটা ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করো।’ বুলাওয়েতে কাল প্রথম দিন শেষে তখনো উইয়ান মুল্ডার অপরাজিত ২৬৪ রানে। তিনি আউট হয়ে যেতে পারেন অথবা দল অলআউট হতে পারে—মুল্ডারের চার শ না হওয়ার কারণ হিসেবে এর বাইরে অন্য কিছু কারও ভাবনায় আসার কথা না।

কিন্তু আজ যা হলো, তা হয়তো সবার মতো শামসিরও কল্পনায় ছিল না। ব্যক্তিগত ৩৬৭ রানে অপরাজিত থাকতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর ইনিংস ঘোষণা করেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক মুল্ডার। টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্রায়ান লারার চার শ রানের রেকর্ড ভাঙার সুযোগ থাকলেও সেই পথে হাঁটেননি মুল্ডার।

আরও পড়ুনলারার রেকর্ড ভাঙার চেষ্টাই করলেন না মুল্ডার, অপরাজিত রয়ে গেলেন ৩৬৭ রানে২ ঘণ্টা আগে

প্রোটিয়া অধিনায়ক আজ বাকিদের মতো বিস্ময়ের শেষ নেই দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার শামসির। মুল্ডার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস ঘোষণা এক্সে শামসির পোস্টের শুরুটা ছিল এমন, ‘নো ম্যান, নো নো নো…কেন ইনিংস ঘোষণা করলে?’

ইনিংসের শুরু থেকেই মারকুটে ব্যাটিং করছিলেন মুল্ডার। ৩৬৭ রান করতে খেলেছেন ৩৩৪ বল, ৪৯ চারের সঙ্গে চারটি ছক্কাও এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। চার শ ছুঁতে বাকি ৩৩ রান করতেও যে খুব বেশি সময় লাগত না মুল্ডারের, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তৃতীয় উইকেট ডেভিড বেডিংহামের সঙ্গে ১৮৪ রানের জুটি গড়েন মুল্ডার.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস শুরু ১৯ সেপ্টেম্বর

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ত্রয়োদশ কংগ্রেস (কেন্দ্রীয় সম্মেলন) আগামী ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যেই দলের সব শাখা, উপজেলা ও জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। গত শুক্র ও শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির দু'দিনব্যাপী সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভার সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়। 

সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, করণীয় ও সরকারের সংস্কারবিষয়ক আলোচনা উত্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক লুনা নূর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দলের প্রেসিডিয়াম, কেন্দ্রীয় কমিটি ও কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য ও সংগঠকরা।

সভায় সারাদেশে অব্যাহত মব-সন্ত্রাস, খুন-ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এবং এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জননিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বিদ্যমান সংকট উত্তরণে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং গণঅভ্যুত্থানে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান করার দাবি জানানো হয়। 

সভায় চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসাসহ দেশকে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শক্তির স্বার্থরক্ষার ভূমিকা নেওয়ার সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি ও ১৮ জুলাই ‘শহীদ রেজভী দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ