সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট ও হরিনগর গ্রামের মধ্যে বাঁশের পুরোনো সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত শিশু স্কুলে যায়। এর কাঠামো এতটাই ভঙ্গুর, প্রাপ্তবয়স্করাও পা রাখতে ভয় পান। অথচ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় হাজারো মানুষকে। দুর্দশার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন স্থানীয় যুবক জিয়াউর রহমান।
এ পোস্টের সূত্রেই আলোড়ন তৈরি হয়। পোস্টটি চোখে পড়ে ইউএনও রনী খাতুনের। তিনি পিআইও মিয়ারাজ হোসেন খানকে পাঠান ঘটনাস্থলে। স্থানীয়দের দুর্ভোগ শুনে তিনি বিস্তারিত জানান ইউএনওকে।
এর পরদিনই কাঠের সেতু নির্মাণে উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন ইউএনও। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে একটি পাকা সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠাতে নির্দেশও দেন। এ খবরে গ্রামের মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। 
স্থানীয় লোকজন বলছেন, কেউ ভাবেননি একটি ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো এত দ্রুত সরকারের নজরে আসবে। পোস্টদাতা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘দুদিন আগে আমি নিজেই পড়ে গিয়েছিলাম। ক্ষোভ থেকে ফেসবুকে লিখেছিলাম।’ স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কখনও কল্পনায়ও ছিল না এখানে পাকা সেতু হবে।’
ইউএনও মোছা.

রনী খাতুন বলেন, ‘শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি নাড়া দিয়েছে।’
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আমাদের স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষা আজো পূরণ হয়নি: সারজিস আলম

৫ আগস্ট এই দেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল, তা এখনো পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

রবিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজশাহীতে এনসিপির জুলাই পথযাত্রা শেষে নগরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশে পার্টির অন্য কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।

সারজিস আলম বলেন, “২০২৪ এর জুলাইয়ের পর নতুন জুলাই এসেছে। কিন্তু আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। মনের ভেতরে এখনো আফসোস কাজ করে। গত ৫ আগস্টে এই দেশকে নিয়ে যে স্বপ্নগুলো দেখেছিলাম, সেগুলো এখনো পূরণ হয়নি। কিন্তু যে শহীদরা জীবন দিয়ে গেল, যে সহযোদ্ধারা রক্ত দিল, তাদের আমানত আমরা খেয়ানত করতে পারি না। তাই যতদিন না আমাদের দেখা স্বপ্নগুলো পূরণ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই জুলাই চলবে। আমাদের এই লড়াই চলবে। এই উদ্দেশ্যে ৬৪টি জেলায় আমরা যাচ্ছি।”

আরো পড়ুন:

একটি দলের কারণে মৌলিক সংস্কার আটকে যাচ্ছে: আখতার

চিপায় পড়ে ডিসি-এসপিরা ভাল ব্যবহার করছেন: হাসনাত

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের সময় আমরা দেখেছি। আপনি সবাইকে নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু শেখ হাসিনাকে নিয়ে কথা বলা যাবে না। শেখ হাসিনা ফেরেস্তাদেরও ওপরে। ঠিক এই কারণে ফেরেস্তো থেকে ফেরাউন, ফেরাউন থেকে স্বৈরাচার হয়ে উঠেছে। আগামীর বাংলাদেশে যত বড়ই দল হোক, যত বড় নেতা কিংবা নেত্রী হোক, কাউকেই প্রশ্নের উর্দ্ধে রাখা হবে না।”

পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক করে তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের প্রশাসন থেকে পুলিশ, ডিসি থেকে এসপি, ওসি থেকে ইউএনও সবাইকে একটা কথা স্পষ্ট করে বলে রাখি, যদি আপনি জেলা-উপজেলার ডিসি, এসপি, ওসি বা ইউএনও হয়ে উঠতে পারেন, তাহলে ভাল। আর যদি আপনি কোনো দলের হয়ে ওঠেন, তাহলে আওয়ামী লীগের কথা স্মরণ করুন। আপনার অবস্থাও ওই একই রকম হবে। কোনো চাটুকারের আর জায়গা হবে না এই বাংলাদেশে।”

এই ছাত্রনেতা বলেন, “এই উত্তরাঞ্চলে আমরা এতদিন যে বৈষম্যের শিকার হয়েছি, আগামীতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, যদি সেটা এনসিপিও হয়, আমরা এই বৈষম্য মেনে নেব না। চাঁদাবাজ, দখলবাজের বড় পরিচয় সে চাঁদাবাজ, দখলবাজ। যে সিন্ডিকেট চালায়, তার সবচেয়ে বড় পরিচয় সে রক্তচোষা। এদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে হবে। এদের ছেড়ে দিলে হাসিনার মতো আরো স্বৈরাচার এই দেশে তৈরি হবে। আগামীর বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচার তৈরি হতে দেব না।”

এ সময় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসাইন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ মুখ্য, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কেয়া/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু, রেলপথ অবরোধ
  • নবজাতক  শিশুকে চারাগাছ উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন ইউএনও ফারজানা
  • কক্সবাজারে বন্যার পানি নামছে, বাড়ছে দুর্ভোগ
  • হবিগঞ্জে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষে নিহত ১
  • আমাদের স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষা আজো পূরণ হয়নি: সারজিস আলম