দুই সিজদার মাঝখানে যে দোয়া পড়তে হয়
Published: 12th, July 2025 GMT
সিজদা এমন একটি মুহূর্ত, যখন বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে কাছে থাকেন। নবীজি (সা.) বলেন, ‘বান্দা তার প্রতিপালকের সবচেয়ে নিকটে থাকে যখন সে সিজদায় থাকে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪৮২)
দুই সিজদার মাঝমাঝি সময়, যখন নামাজি স্থির হয়ে বসেন, তখন পড়ার জন্য হাদিসে একাধিক দোয়া বর্ণিত আছে।
দুই সিজদার মাঝে দোয়াদুই সিজদার মাঝে বসে পড়ার প্রচলিত দোয়া হলো:
বাংলা উচ্চারণ: রাব্বিগফিরলি, রাব্বিগফিরলি।
অর্থ: হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করুন, হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৮৫০)
আরও পড়ুনদোয়া কীভাবে করতে হয়২০ এপ্রিল ২০২৫অন্য একটি দোয়া হলো:
বাংলা উচ্চারণ: রাব্বিগফিরলি ওয়ার্হামনি ওয়াজ্বুরনি ওয়ার্ফা’নি ওয়ারযুকনি ওয়াহ্দিনি ওয়া‘আফিনি।
অর্থ: হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি রহম করুন, আমার ত্রুটি পূরণ করুন, আমার মর্যাদা বাড়ান, আমাকে রিজিক দান করুন, আমাকে হিদায়াত দান করুন এবং আমাকে নিরাপদ রাখুন। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২৮৪)
পড়ার নিয়মপ্রথম সিজদার পর মাথা তুলে জলসা (বসা) অবস্থায় সোজা হয়ে বসুন। এ সময় হাত দুটি হাঁটুর ওপর রাখুন। তারপর ওপরে উল্লিখিত দোয়াগুলোর যেকোনো একটি পড়ুন। সাধারণত ‘রাব্বিগফিরলি’ অন্তত তিনবার পড়া উত্তম। দোয়াটি মনে মনে বা হালকা স্বরে পড়ুন। তবে জামাতে ইমামের পেছনে থাকলে মুক্তাদিরা ইমামের অনুসরণ করবেন, দোয়া পড়ার জন্য বসে থাকবেন না।
দুই সিজদার মাঝের দোয়া নামাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি বান্দার ক্ষমা প্রার্থনা, রহমত কামনা ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি মুহূর্ত।
আরও পড়ুন‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফিয়া’: অফুরান কল্যাণের দোয়া০৪ জুলাই ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাকসু নির্বাচন: চার হলের ভিপি-জিএস হলেন যারা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে এ গণনার কার্যক্রম শুরু হয়। গণনার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ হচ্ছে সিসি ক্যামেরায়, প্রদর্শন করা হচ্ছে সব কেন্দ্রের এলইডি স্কিনে।
আরো পড়ুন:
প্রাণ ফিরে পেতে যাচ্ছে রাকসু, রাত পোহালেই ভোট
চাকসুর ফল: এক কেন্দ্রে ভিপি-এজিএসে এগিয়ে ছাত্রদল, জিএসে বাম
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ি, পাঁচটি কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার তথা ডিন কার্যালয়ে ভোট গণনা শেষে সেখান থেকেই আলাদাভাবে হল সংসদের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। আর চাকসুর ফল ঘোষণা হবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে।
নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন বলেছিলেন, “ভোট গণনার পুরো বিষয়টি সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রের এলইডি স্কিনে প্রদর্শন করা হচ্ছে। কোনো কারণে স্কিন বন্ধ হয়ে গেলে ভোট গণনাও বন্ধ রাখা হবে।”
তিনি বলেন, “ওএমআর পদ্ধতিতে ভেন্ডর মেশিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল- এই দুই প্রক্রিয়ায় ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। পুরোদমে ভোট গণনার কাজ চলছে। যত দ্রুত সম্ভব ফলাফল ঘোষণা করা হবে।”
ইতোমধ্যে হল সংসদের ভোটের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে।
মাস্টার দ্য সূর্যসেন হল
চাকসু নির্বাচনে মাস্টার দ্য সূর্যসেন হল সংসদের ফলাফল রাত পৌনে ১টায় ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
ফলাফলে ১৮২ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি (ভিপি) হয়েছেন তাজিন ইবনে হাবিব, ১৪৪ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হয়েছেন সাদমান আল-তাছিন এবং ২৯০ ভোট পেয়ে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) হয়েছেন শাখাওয়াত হোসেন।
হলটিতে মোট ভোটার ছিলেন ৫১৬ জন। হলটির কেন্দ্র ছিল বিজ্ঞান অনুষদে।
সোহরাওয়ার্দী হল
সোহরাওয়ার্দী হল সংসদের ফলাফল রাত ১টার পর ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
ঘোষিত ফলাফলে ভিপি হয়েছেন নেয়ামত উল্লাহ ফারাবি, জিএস হয়েছেন নুরন্নবী সোহান এবং এজিএস হয়েছেন রেসালাতুর রহমান।
এ হলে ছাত্রশিবিরের পুরো প্যানেল বিজয়ী হয়েছে।
এফ রহমান হল
এরপর এফ রহমান হল সংসদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ৩৬৯ ভোট পেয়ে ভিপি হয়েছেন শাহরিয়ার সোহাগ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রবিউল পেয়েছেন ৩৪৩ ভোট।
৩৭৯ ভোট পেয়ে জিএস হয়েছেন মো. তামিন চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জাবের আহমদ পেয়েছেন ৩২ ভোট।
এছাড়া ২৯৮ ভোট পেয়ে এজিএস হয়েছেন সাইদুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুর রহমান পেয়েছেন ২৬০ ভোট।
শাহজালাল হল
শাহজালাল হল সংসদের ফলাফল রাত দেড়টার দিকে ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, হলটিতে ভিপি পদে ৯৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আলাউদ্দিন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী মামুনুর রশিদ পেয়েছেন ৭৩৪ ভোট।
৬৯৭ ভোট পেয়ে জিএস হয়েছেন রায়হান চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৬৭৩ ভোট।
এছাড়া ১১০১ ভোট পেয়ে এজিএস হয়েছেন ইমতিয়াজ জাবের। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ আল নোমান পেয়েছেন ৫৯১ ভোট।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী