নেতিবাচক তিশা আর ইয়াশ-প্রীয়ন্তীর ‘নসিব’ দেখে যা বলছেন দর্শক
Published: 13th, July 2025 GMT
কালো জাদু, প্রেম আর প্রতিশোধের টানাপোড়েন-সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত অথচ চেনা বাস্তবতার গল্প নিয়ে ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে ‘নসিব’। নির্মাণ করেছেন আলোচিত নির্মাতা তানিম রহমান অংশু, যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান, তানজিন তিশা এবং প্রিয়ন্তী উর্বী।
গত ১০ জুলাই ‘গান চিল ড্রামা অ্যান্ড সিনেমা’ ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাওয়া এই নাটকটি ইতোমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। ইউটিউবের কমেন্ট সেকশনে ভেসে আসছে একের পর এক ইতিবাচক মন্তব্য।
গল্পে যা দেখা যায়, ‘নসিব’-এ ইয়াশ রোহান একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে, যার সংসার স্ত্রী প্রিয়ন্তী উর্বীর সঙ্গে। সেই সংসারেই একসময় হানা দেয় অজানা অশুভ শক্তি। ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে উর্বীর আচরণ-সাধারণ থেকে হয়ে ওঠে রহস্যময় ও অস্বাভাবিক। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই ইয়াশের জীবনে আসেন তানজিন তিশা। তবে তিনি একেবারেই সাধারণ নন-তার আশেপাশে ঘোরে অতিপ্রাকৃত শক্তির ছায়া, লুকিয়ে আছে রহস্যময় এক জগত।
বাস্তব থেকে গল্প নাটকটির গল্প অনেকাংশে গ্রামবাংলার লোককথা বা কালো জাদু কেন্দ্রিক ভয়ের কাহিনিগুলোর মতো হলেও এর প্রেক্ষাপট শহুরে। এই রূপকথার মধ্যেও যেন ফুটে উঠেছে বাস্তবতা, যা দর্শকদের মনে ধরেছে প্রবলভাবে।
ফলে নসিব দারুণভাবে উপভোগ করছেন দর্শক। জোশি চাকমা নামের একজন লিখেছেন, ‘নাটকটি অনেক সুন্দর। অনেকটা অলৌকিক, অনেকটা ভৌতিকও। কিছুটা ভয়ও লাগলো। সত্যি অসাধারণ সুন্দর নাটকটা’।
উবায়দুর রহমান মঞ্জু মন্তব্য করেছেন, তানিম রহমান আংশু ভাইয়ের ইন্টারেস্টিং ভাবনা নসিব। ইয়াশ রোহান ভাই, তানজিন তিশা আপু এবং প্রিয়ন্তী উর্বী দারুণ অভিনয় করেছেন।
প্রিয়া ইসলাম মুন্নী মন্তব্য করেন, এরকম ঘটনা সমাজে কত হচ্ছে! সবাইকে ধন্যবাদ সুন্দর একটা গল্প উপহার দেওয়ার জন্য।
পরিচালক তানিম রহমান অংশু জানান, মানুষের বিশ্বাস, ভয় ও নিয়তির যে জটিল খেলা-সেটিই ‘নসিব’-এর মূল ভাবনা। গল্পে যেমন ব্ল্যাক ম্যাজিক রয়েছে, তেমনি প্রেম ও প্রতিশোধের সাইকো থ্রিলার ঘরানার টুইস্টও আছে।”
অন্যদিকে, প্রিয়ন্তী উর্বী বলেন, ট্রেইলার প্রকাশের পর থেকেই দর্শকের আগ্রহ টের পেয়েছি। ইউটিউবে যারা নাটকটি দেখেছেন, তারা প্রশংসা করছেন—যা একজন অভিনেত্রী হিসেবে অনেক অনুপ্রেরণার।
সাইকো-থ্রিলার ঘরানায় নির্মিত এই গল্প বাংলা নাটকে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছেন অনেকেই।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন টক কর ছ ন ন টকট রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীনগরে চার যুবকের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণের ভিডিও ভাইরাল
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে চার যুবকের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি শ্রীনগর ইউনিয়নের শ্রীনগর কলেজ এলাকার বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, ভিডিওটি গত মে মাসের। ভিডিওতে থাকা যুবকেরা ‘রাসেল-ফয়সাল বাহিনী’ নামের একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য এবং শ্রীনগর উপজেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাঁদের নাম ফয়সাল, রাসেল, অর্পণ, আহির। তাঁদের সবার বয়স ২৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, জনশূন্য একটি স্থানে দাঁড়িয়ে আছেন চার যুবক। তাঁদের মধ্যে দুজনের হাতে দুটি পিস্তল। একজনকে পিস্তল দেখিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘দামি কিন্তু এইডা, দুইডা দিয়া শট করমু।’ জবাবে অন্যজন বলেন, ‘দুইডা দিয়া শট করা যাইব না, একটা দিয়া শট করতে হইব। গুল্লি রেয়ার, পাওয়া যায় না।’ একজন বলেন, ‘লকটা খুলে টিপ দিলেই গুলি বের হইব।’ এ সময় পিস্তল হাতে নিয়ে আকাশের দিকে গুলি করার চেষ্টা করেন একজন। কীভাবে গুলি করতে হবে, পাশ থেকে বলছিলেন আরেক যুবক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিওতে থাকা যুবকদের মধ্যে রাসেলের বাড়ি উপজেলার বাঘরা এলাকায়। ফয়সালের বাড়ি কামারখোলা। আর সাদা টি–শার্ট, কালো প্যান্ট ও টুপি পরা আহিরের বাড়ি শ্রীনগর ইউনিয়নের মথুরা পাড়ায় এবং অন্যজন একই এলাকার কালো পাঞ্জাবি পরা অর্পণ।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমূল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ভিডিওটি গত মে মাসের। এটি শ্রীনগর কলেজের পেছনের পুকুরপাড় এলাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। শ্রীনগরের পরিবেশ এখন শান্ত। পরিবেশ ঘোলাটে করতে পাঁচ মাস আগের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়া হয়েছে। তিনি বলেন, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিদের ইতিমধ্যে পুলিশ শনাক্ত করেছে। তাঁরা সবাই চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাঁদের সবার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে। সবাই আত্মগোপনে আছেন। তাঁদের মধ্যে রাসেলের দুটি চোখ প্রতিপক্ষের লোকজন উপড়ে ফেলেছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।