পটুয়াখালীতে একটি ট্রলারে আনা ৬৫ মণ ইলিশসহ অন্য মাছ বিক্রি করেছেন জেলেরা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এক ট্রলারের মাছ বিক্রি করা হয়েছে ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ টাকায়। 

পটুয়াখালীর আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে রোববার দুপুরে এসব মাছ মেসার্স খান ফিস নামে একটি আড়তে নিয়ে আসলে তা নিলামে বিক্রি করা হয়। শনিবার কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণে ১৫০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে এসব ইলিশ ধরা পড়ে।

স্থানীয়রা জানায়, এফবি সাদিয়া-২ নামে মাছ ধরা ট্রলারটি গত বৃহস্পতিবার আলীপুর ঘাট থেকে ২৩ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। গত দুইদিন সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেলে এসব ইলিশ ধরা পড়েছে। 

আড়ৎ সূত্রে জানা যায়, মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে তিনটি আকারে আলাদা করা হয়। ৯০০ গ্রাম থেকে ১কেজি ওজনের মাছ মণ প্রতি ৯৫ হাজার টাকা, ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ ৭০ হাজার টাকা, ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের মাছ ৫৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ১লাখ ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে।

ট্রলারের মাঝি শাহাবুদ্দিন বলেন, ৯ জুলাই আলীপুর ঘাট থেকে ২৩ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে যাই। ফিশিং করতে করতে কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে মাছগুলো পেয়েছি। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞার পরে দফায় দফায় বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়েছি বহুবার। এই প্রথম ভালো পরিমাণে মাছ পেয়েছি।

খান ফিসের ম্যানেজার মো.

সাগর ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। বৈরি আবহাওয়ায় জেলেরা দিশোহারা হয়ে পড়েন। এই মাছ বিক্রি করে আগের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারব আমরা। 

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞা ও বৈরি আবহাওয়ায় জেলেরা লোকসানে জর্জরিত হয়েছেন। কিছুদিন ধরে ভালো পরিমাণ মাছ পেয়েছে। এটা নিষেধাজ্ঞার সুফলও বলা যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সামনে বেশ ভালো পরিমাণ মাছ পাবে বলে আশা করা যায়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আল প র

এছাড়াও পড়ুন:

ইলন মাস্কের স্পেসএক্স স্টারশিপের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন

চাঁদের পাশাপাশি মঙ্গল গ্রহে অভিযানের জন্য কয়েক বছর ধরেই ইলন মাস্কের মালিকানাধীন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স নিজেদের তৈরি বিশাল ‘স্টারশিপ’ রকেটের পরীক্ষামূলক ফ্লাইট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করছে। তবে নানা জটিলতার কারণে ১০ বার স্টারশিপের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাই স্টারশিপের পরবর্তী উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী ও মহাকাশপ্রেমীরা। অবশেষে গতকাল সোমবার স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চল থেকে সফলভাবে পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে।

স্পেসএক্সের তথ্যমতে, বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্টারশিপ অর্ধেক বিশ্ব প্রদক্ষিণ করার পর ভারত মহাসাগরে অবতরণ করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে নাসার চন্দ্রাভিযানের জন্য এ অভিযান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশাল রকেটটি সফলভাবে তার বুস্টারকে বিচ্ছিন্ন করে ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে পৃথিবীতে প্রবেশে প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।

৬০ মিনিটের বেশি স্থায়ী এই পরীক্ষামূলক অভিযানে আটটি নকল স্টারলিংক স্যাটেলাইট বহন করেছে স্টারশিপ। পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় স্টারশিপ রকেটের বুস্টারটি বিচ্ছিন্ন হয়ে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে মেক্সিকো উপসাগরে প্রবেশ করে। অন্যদিকে মহাকাশযানটি ভারত মহাসাগরে অবতরণ করে। পরীক্ষামূলক হওয়ায় কোনো অংশই পুনরুদ্ধার করা হয়নি। স্পেসএক্সের কর্মীরা স্টারশিপের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। এমনকি প্রথমবারের মতো লঞ্চ কন্ট্রোলের বাইরে থেকে স্টারশিপের উড্ডয়ন দেখেছেন ইলন মাস্ক।

স্টারশিপকে মঙ্গল গ্রহে অভিযানের জন্য ব্যবহার করতে চান ইলন মাস্ক। নাসাও ২০৩০ সালের মধ্যে নভোচারীদের নিয়ে চাঁদে অভিযানের জন্য ৪০৩ ফুট লম্বা এই পুনর্ব্যবহারযোগ্য স্টারশিপ ব্যবহার করতে আগ্রহী। তাই স্টারশিপ নাসার জন্যও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক শন ডাফি বলেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের দিকে আরও একটি বড় পদক্ষেপ হচ্ছে এ পরীক্ষা।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইলন মাস্কের স্পেসএক্স স্টারশিপের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন