আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন চক্রান্ত দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে: জামায়াত সেক্রেটারি
Published: 22nd, July 2025 GMT
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, দেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন ও পুনরুত্থান চক্রান্ত দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনেই রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদের উসকে দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করাটা উদ্বেগজনক।
মঙ্গলবার বিকেলে খানজাহান আলী থানা জামায়াতের কার্যালয় চত্বরে ফুলতলা-ডুমুরিয়ার নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বিমান দুর্ঘটনায় জাতি যখন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে, ঠিক সেই সময় নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেষ্টা প্রতিহত করার দায়িত্ব সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পালন করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। তিনি আধিপত্যবাদী শক্তি, বিভিন্ন এজেন্সিসহ দেশি অপশক্তির এ অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতাকে চব্বিশের চেতনা ধারণ করে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে ভাবান্তর এসেছে। মানুষ এখন বিকল্প শক্তির সন্ধান করছে। তারা এখন জামায়াতে ইসলামীকেই বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। জামায়াত এ দেশের প্রাচীন, আদর্শবাদী, গণতান্ত্রিক, দায়িত্বশীল ও গণমুখী রাজনৈতিক দল। আমরা দেশ ও জাতির যেকোনো ক্রান্তিকালে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমাদের কর্মীদের আমরা ১২ মাসই নৈতিক শিক্ষা দিয়ে থাকি। দায়িত্ব ও নেতৃত্বদানের উপযোগী করে গড়ে তুলি। সততা ও আমানতদারি আমাদের রাজনীতির মূলধন।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই দেশে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। এ জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া দরকার। বিশ্বের ৯২টি দেশে এ পদ্ধতির নির্বাচন চালু আছে। এ পদ্ধতির নির্বাচন চালু হলে দেশে হুন্ডা, গুন্ডা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও কেন্দ্র দখল বন্ধ হবে।’
নির্বাচনী আসন কমিটির আহ্বায়ক মুন্সী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা অঞ্চলের নির্বাচন বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল আলম। সদস্যসচিব অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুসের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন খুলনা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মুন্সী মইনুল ইসলাম, গাওসুল আযম হাদী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলাম, জেলা যুব বিভাগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ, জেলা অফিস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম, বায়তুলমাল সেক্রেটারি হাফেজ আমিনুল ইসলাম, জেলা আইনবিষয়ক সম্পাদক আবু ইউসুফ মোল্যা, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু ইউসুফ ফকির, ডুমুরিয়া উপজেলার আমির মোক্তার হোসেন, সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, ফুলতলা উপজেলার আমির আবদুল আলিম মোল্যা, খানজাহান আলী থানার আমির সৈয়দ হাসান মাহমুদ, সেক্রেটারি গাজী মোর্শেদ মামুন প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ ল ম পরওয় র ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।
গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।
নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।