প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে “আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী’র মানববন্ধন
Published: 23rd, July 2025 GMT
প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বুধবার সকাল ১১টায় সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূরউদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে যুগ্ম সম্পাদক-১ মাহমুদ হোসেন এর সঞ্চালনায় কিল্লারপুর বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দ প্রধান প্রকৌশলীর বরাবর প্রি-পেইড মিটার বন্ধের দাবী সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এর আগে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্মরণে মিলাদ ও দোয়া করা হয়।
মানববন্ধন অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূর উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বিভিন্ন এলাকায় এই প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কারণে গ্রাহকদের নানা রকম জটিলতা ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টির কথা তুলে ধরে এই কার্যক্রম বন্ধের জোর দাবি জানান।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম অংশে তথা নিতাইগঞ্জ, শীতলক্ষ্যা, পাইকপাড়া, ভূঁইয়াপাড়া, ফরাজীকান্দা, জল্লারপাড়, নয়াপাড়া, বাবুরাইল, দেওভোগ, বেপারীপাড়া, নন্দীপাড়া, ভূঁইয়ারবাগ, গলাচিপা, কলেজ রোড, চাষাড়া, বালুর মাঠ, খানপুর, মাসদাইর, জামতলা সহ বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে ডিপিডিসি কর্তৃক পোষ্ট পেইড মিটারের পরিবর্তে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের পায়তারা করছে। এটা আর আমরা হতে দিকে পারিনা।
প্রধান বক্তা হিসেবে বিশিষ্ট রাজনীতিবিধ নির্বিক সভাপতি জনাব এটিএম কামাল বলেন, এ ধরনের একটি গণবিরোধী কার্যক্রম ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ কিভাবে পরিচালনা করছেন জনগণের কাছে তার জবাবদিহি করতে হবে। অবিলম্বে এই প্রি- পেইড মিটার স্থাপনের কার্যক্রম বন্ধ করা না হলে ভুক্তভোগী নারায়ণগঞ্জের মানুষকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ মোঃ নাসির উদ্দিন মন্টু, সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস আজাদ, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, হাজী রমজান উল রশীদ, কোষাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম খান, সহ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম জাগু, আব্দুল হালিম বেপারী, গোলাম রসুল রফিক, পলিষ্টার ক্লাব সভাপতি এস এম বাতেন, ক্রীড়া সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির পোকন, সোহরাব হোসেন, হারুন উর রশীদ মিলন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিন্টু, বাগে জান্নাত পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন মাহামুদ।
বক্তাগণ প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করে গ্রাহকদের দুর্বিসহ যন্ত্রনা বৃদ্ধি করা থেকে বিরত থাকার এবং তা বন্ধ রাখার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান। এই কার্যক্রম বন্ধ করা না হলে সাধারণ গ্রাহকদের সাথে নিয়ে হরতাল সহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স গঠন র বন ধ র আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০
নারায়ণগঞ্জ শহরে যানজট নিরসনে সড়কে কাজ করা শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যাটারিচালিত রিকশা (ইজিবাইক) চালকরা হামলা চালিয়েছে। এ নিয়ে ইজিবাইক চালকদের সাথে সংঘাতে জড়ালে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় ইজিবাইকচালকরা প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড অবরোধ করে রাখেন। তাদের অবরোধে পুরো শহরজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাঢ়া ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবেশ গেটে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষার্থী ও ইজিবাইক চালকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বিষয়টি সমাধান হয়।
এদিকে আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো- মোঃ আবু সাঈদ (১৯), মারুফ (১৯), আসিফ (৩০), মাহিম (২২), ফয়সাল আহমেদ (২৮), হুমায়ন কবির (২৬), এনামুল হক শান্ত (২৩), শাহীন খন্দকার (২২) ও নুহেল মুন্সী আপন (২২)। তবে আহত ইজিবাইক চালকদের নাম পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীরা চাষাড়ায় ঢুকতে বাঁধা দেয় ইজিবাইক চালকদের। এ নিয়ে কথাকাটাকিাটি হয় উভয়ের মধ্যে এক পর্যায়ে ইজিবাইকরা চালকরা সংঘবদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করতে গেলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ইজিবাইক চলকরা সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ। পরে আইনশৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সংঘর্ষের সময় ইজিবাইক চালকদের অনেকেই তাদের গাড়ির সিটের নিচ থেকে লাঠি ও লোহার রড বের করে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়।
ধারণা করা হয়, আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ইজিবাইক চালকরা যে শিক্ষার্থীদের উপর সুযোগ পেলেই হামলা করবে। কারণ গত এক দেড় মাস ধরেই চাষাড়ায় ইজিবাইক ঢুকতে বাধা দিয়ে আসছিল শিক্ষার্থীরা। এতে ক্ষোভ জমতে থাকে ইজিবাইক চালকদের মধ্যে। আজকে তারা সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে।
ওদিকে যানজট নিরসনে কাজ করা শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘আমরা এক মাস ধরে শহরের যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। চেম্বার অব কমার্স এবং বিকেএমই থেকে আমাদেরকে ট্রাফিক মনিটরিং সেলে দেওয়া হয়। আমাদের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই বড় অটোরিকশাগুলো চাষাঢ়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।
কিন্তু তারা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চাষাঢ়ায় প্রবেশ করেন। পরে বাধা দিলে তারা আমাদের ওপর ক্ষেপে যান। এবং পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
তবে উজ্জল নামে এক অটোরিকশাচালক জানায়, ‘আমাদের চাষাঢ়া যাওয়া নিষেধ। আমরা নিষেধ উপেক্ষা করে চাষাঢ়া গেছি, এটা আমাদের অপরাধ। কিন্তু তারা আমাদের অটোরিকশার গ্লাস ভেঙে দিয়েছে। গ্লাস ভাঙার কারণ জানতে চাইলে তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের অনেককে তারা মারধর করেছে। কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ভালো একটি সমাধানে আসা সম্ভব হয়েছে। আলোচনা সভায় দুই পক্ষই ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসনের সব সিদ্ধান্ত মানতে একমত হয়েছেন। এ ঘটনায় একটি কমিটি গঠন করা হবে।