ব্যবহারকারীর সঙ্গে আরও ব্যক্তিগত ও পছন্দসই ভঙ্গিতে কথা বলার সুযোগ দিতে চ্যাটজিপিটির ওয়েব সংস্করণে ‘পারসোনালিটি’ নামের নতুন সুবিধা যুক্ত করছে ওপেনএআই। নতুন এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীরা চাইলেই নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী চ্যাটজিপিটির প্রতিক্রিয়া ও আচরণের ধরন বেছে নিতে পারবেন।

চ্যাটজিপিটি সাধারণত তথ্য বিশ্লেষণ, যুক্তিনির্ভর আলোচনা ও প্রোগ্রামিংয়ের কাজে দক্ষ। তবে অনেক ব্যবহারকারীর অভিযোগ, চ্যাটজিপিটির আচরণ খানিকটা অনুভূতিহীন। অন্যদিকে মাইক্রোসফটের কোপাইলট চ্যাটবট তুলনামূলকভাবে বেশি প্রাণবন্ত ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক। নতুন পারসোনালিটি সুবিধার মাধ্যমে এবার চ্যাটজিপিটিতেও নিজেদের কাঙ্ক্ষিত ধরন নির্বাচন করে স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করা যাবে।

ওপেনএআইয়ের তথ্য মতে, পারসোনালিটি সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীরা চাইলে চ্যাটজিপিটির কাজে ধরন ও আচরণ বদলে নিতে পারবেন। যেমন, ‘সিনিক’ মোডে চ্যাটজিপিটি ঠান্ডা মেজাজে ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তর জানাবে। এমনকি মাঝেমধ্যে কটাক্ষমিশ্রিত ভঙ্গিতে কথা বলবে। যাঁরা অতিরিক্ত প্রশংসা এড়িয়ে চলতে চান, তাঁদের জন্য এই মোড উপযুক্ত। এ ছাড়া আরও কয়েকটি ব্যক্তিত্বের মোড ব্যবহার করা যাবে চ্যাটজিপিটিতে। ‘রোবট’ মোডে চ্যাটজিপিটি কথা বলবে সংক্ষিপ্ত, কার্যকর ও নিরপেক্ষ ভঙ্গিতে। ‘লিসেনার’ মোডে হবে মনোযোগী ও সহানুভূতিশীল। আর ‘সেইজ’ মোডে চ্যাটজিপিটির আচরণ হবে উৎসাহী, কৌতূহলি ও জ্ঞানভিত্তিক।

পারসোনালিটি সুবিধা এখনো ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। ওপেনএআই জানিয়েছে, ধাপে ধাপে এটি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবহারকারীদের জন্য চালু করা হবে। ব্যবহারকারীরা  চ্যাটজিপিটির প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করে ‘কাস্টমাইজ চ্যাটজিপিটি’ অপশন থেকে সহজেই পারসোনালিটি সুবিধা চালু করতে পারবেন।

সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ন ল ট ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফকে (৩০) হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা বশির উদ্দিন (মাস্টার) এই অভিযোগ করেন।

এ সময় বশির উদ্দিন বলেন, পুলিশ দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ার কোনো সুযোগ নেই; সেখানে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক।

এর আগে গত শনিবার পুলিশ সুপার শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক তদন্তের তথ্য অনুযায়ী অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাইফুল্লাহ আরিফ মারা গেছেন।

সাইফুল্লাহ আরিফ ভোলা পৌরসভার কালীবাড়ি রোডে নবী মসজিদ গলি এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে। গত ৩১ আগস্ট ভোরে নিজ বাড়ির সামনে থেকে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর কিছু প্রমাণ আছে। আরিফের শরীরে একাধিক কাটা ও ভাঙা জখম ছিল, এমনকি হাতের রগ কাটা ছিল। পুলিশের দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সুযোগ নেই, কারণ, ছাদে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশ সুপার আমার ছেলেকে নেশাগ্রস্ত আখ্যা দিলেও তাঁর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশ কীভাবে এমন কথা বলতে পারে। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বশির উদ্দিন আরও বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফ কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হলেও কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি। হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ সত্য গোপন করছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বশির উদ্দিন বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে অনেকের বিরোধ ছিল। তবে জমিজমার বিরোধ ও মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে তাঁর ছেলে খুন হয়নি। এগুলোর সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।

শনিবার পুলিশ শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফের মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায়, তিনি অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমান ১২টা ১৫ মিনিটে রাতের খাবার শেষে সাইফুল্লাহসহ পরিবারের সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ফজরের নামাজের জন্য বের হওয়ার সময় তাঁর বাবা বশির উদ্দীন (৭০) বাড়ির সামনে গেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালে দেখা যায়, আরিফের মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়ই ছাদে যেতেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি ছাদে ওঠেন এবং অসতর্কতাবশত রেলিংবিহীন অংশ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান।

পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার শরীফুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই ঘটনায় তদন্ত চলমান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে তথ্য সংযোগ-বিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির
  • মুসলিম পরিবারে শিশুর নিরাপত্তা
  • পুরোপুরি বিলুপ্তির পর উগান্ডায় আবার ফিরল গন্ডার
  • ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের