রাজধানী ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকার দয়াগঞ্জে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর নাম আরিফুল ইসলাম বাবু (৩৫)। আজ রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও নিহত যুবকের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দয়াগঞ্জ রেললাইন এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত আরিফুলকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে সেখানকার একটি হাসপাতালে নেন। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সকাল আটটার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরিফুলের স্ত্রীর আত্মীয় নাজমা বেগম বলেন, ভোরে আরিফুল সিগারেট কিনতে দোকানে যান। তখন রবিন, শাহীন, মাসুদ, কাদেরসহ চার–পাঁচজন মিলে তাঁকে কুপিয়ে আহত করেন। আরিফুল মাথায় ও দুই হাতে আঘাত পান। আরিফুলের মুঠোফোন নিয়ে যান তাঁরা।

গেন্ডারিয়া থানার উপপরিদর্শক আমির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।

আরিফুল শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বালুরচর গ্রামের বাসিন্দা। বাবার নাম সেকেন্দার আলী। বর্তমানে আরিফুল স্ত্রী ও পরিবারের সঙ্গে গেন্ডারিয়ার মীরহাজীরবাগ দয়াগঞ্জ গ্যাস পাম্পসংলগ্ন এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর ফ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ