কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এক নারীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো.

জসিম উদ্দিন চৌধুরী।

পুলিশ জানায়, ২৪ জুলাই বেলা ১১টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্টের ঝাউবাগানে এক যুবক তাঁর স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালান। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং তা পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর কক্সবাজার সদর মডেল থানার একটি দল অভিযান চালিয়ে আজ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া যুবক ও নির্যাতনের শিকার নারী স্বামী–স্ত্রী। তাঁদের বাড়ি কুমিল্লায়। ওই দম্পতি ঘটনার এক দিন আগে (২৩ জুলাই) কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। স্বামীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার দিনও যৌতুকের দাবিতে তিনি স্ত্রীকে মারধর করেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ