তারুণ্যের উৎসবে যোগ দিতে সব ব্যাংককে নির্দেশ
Published: 4th, August 2025 GMT
আগামীকাল ৫ আগস্ট ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উদ্যাপন সফল করতে সব ব্যাংককে ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য শোভাযাত্রায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল সব ব্যাংককে এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উদ্যাপন উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫ আগস্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগসহ সরকারি সব দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে নভোথিয়েটার, বিজয় সরণি, তেজগাঁও এলাকায় বেলা একটার দিকে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই শোভাযাত্রা সফল করতে আপনাদের উপস্থিতি একান্তই কাম্য। এমতাবস্থায় নিজ নিজ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ ব্যানারে ওই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য আপনাদের অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
জানা গেছে, এই চিঠি পাওয়ার পর সব ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যানার প্রস্তুত করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রধান কার্যালয়সহ ঢাকার শাখার কিছু কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছি। আমাদের ব্যাংক থেকে একটি দল ওই শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। এ জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ণ য র উৎসব সব ব য গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
বর্ণিল আয়োজনে ১৯তম সিকৃবি দিবস উদযাপন
আজ ২ নভেম্বর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) দিবস। ২০০৬ সালের এই দিনে যাত্রা শুরু করা দেশের কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা প্রতিষ্ঠানটি ঊনিশতম বছরে পদার্পণ করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী ছিল নানা আয়োজন। রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম ।
আরো পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে এগিয়ে নিতে সিকৃবি উপাচার্যের অঙ্গীকার
মাছের উৎপাদন হ্রাসের কারণ নদীর দূষণ: মৎস্য সচিব
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে টিএসসি চত্ত্বর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রদক্ষিণ করে। এরপর কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নে কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক ড. মো. সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক উৎকর্ষতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারায় একটি অনন্য অবস্থান তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, গবেষণায় আগ্রহ ও সমাজসেবায় অংশগ্রহণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল শক্তি।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জ্ঞান ও গবেষণার বিনিময় জাতীয় উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করে। তাই পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করা প্রয়োজন “
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুব-ই-ইলাহী, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আলিমুল ইসলাম।
দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা/আইনুল/মেহেদী