১১ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে ৭৬১ মামলা, গ্রেপ্তার ৬১
Published: 4th, August 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবি জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে গত ১১ মাসে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মোট ৭৬১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যেখানে ১ হাজার ১৬৮ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এই আসামিদের মধ্যে ৬১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও কিছু বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, টিআইবি মনে করে যে পুলিশের বিরুদ্ধে কার্যকরী জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছা এবং সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে।
সোমবার (৪ জুলাই) ঢাকার ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
টিআইবির ফেলো শাহজাদা এম আকরাম জানান, ছাত্র ও জনগণের ওপর হামলা এবং হত্যার নির্দেশদাতাদের বিরুদ্ধে সারা দেশে ১ হাজার ৬০২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬৩৮টি হত্যা মামলা। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৮৭ জন প্রাক্তন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “প্রায় ৭০ শতাংশ মামলার তদন্তে সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে এবং ৬০ থেকে ৭০টি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত ৪২৯টি অভিযোগ এবং ২৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শেখ হাসিনাসহ ২০৬ জন আসামির মধ্যে ৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের বিচারকার্য শুরু হলেও এর গতি ধীর বলে টিআইবি উল্লেখ করেছে।
এছাড়া, টিআইবির প্রতিবেদন অনুসারে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় (১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট, ২০২৪) দায়ের করা প্রায় সব হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারকরা হয়েছে। শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠিত হয়েছে এবং তাদের বিচার শুরু হয়েছে।
ঢাকা/এমআর/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।