স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘‘নিয়মিত অভিযানে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত রুই-কাতলাগুলো ধরা পড়ছে না। ওই পুঁটি আর ট্যাংরা, এইগুলো ধরা পড়ছে।’’

সোমবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সাধারণত বৈঠকে আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করি। ‘আইনশৃঙ্খলা’ শুনতে দুইটি ওয়ার্ড মনে হলেও এর ব্যাপ্তি অনেক বড়। এজন্য এমন কোনো কিছু নেই, যা আলোচনার ভেতরে আসে না। মোটামুটি দেশের সব কিছুর ব্যাপারে আলোচনা হয়, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। ভবিষ্যতে কি ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে এই ব্যাপারেও আলোচনা হয়।’’

আরো পড়ুন:

৫ আগস্ট নিয়ে শঙ্কা না থাক‌লেও সতর্ক সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৬৫ উপজেলায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রম শুরু হবে’

তিনি বলেন, ‘‘বিশেষ করে আমরা মাদকের ওপরে বেশি জোর দেই। যেহেতু মাদক আমাদের দেশে একটা বড় ধরনের সমস্যা। এটার জন্য আমরা সবসময় বেশি জোর দেই।’’

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘‘গত বছরের ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার চলে যাওয়ার পরে, মানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ওই সময় যে রকম ছিল, আজকে ৪ আগস্টে এইটা কি উন্নতি হয়েছে? কি হয়নি? এটা আপনারা আমাদের থেকে আরো ভালো বলতে পারবেন। আমরা যে সময় এই দায়িত্ব নেই, সেই সময় আমাদের পুলিশ বাহিনীর পরিস্থিতি কি ছিল? অন্যান্য বাহিনীর অবস্থাটা কি ছিল এবং দেশের অবস্থাটা কি ছিল? ওর থেকে কি উন্নতি হয়েছে কি হয়নি এটা আপনারা বলেন।’’

তিনি বলেন, ‘‘এখন আপনারা বলছেন যে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হয়েছে কি হয়নি, এরপর? ওইরকম একটা উন্নতি হয় তো আমরা করতে পারিনি। আর আমি একটা কথা সবসময় বলি, আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৪ বছর। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে খুব ভালো, এই ৫৪ বছরে আমাদের কোনো মিডিয়ায় বা কোনো কিছুতে বা সাধারণ পারসেপশন আছে কোথাও? যে আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো।’’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘ওই (উন্নত দেশের) স্ট্যান্ডার্ডে আমরা কোনো সময় যেতে পারিনি। আমরা দোয়া করব, আমরা না পারি ভবিষ্যতে যারা আসবেন তারা যেন পারে। আমরা স্ট্যান্ডার্ড দিতে পারি। তবে আমরা আমাদের লেভেলে থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি যতটা উন্নতি করা যায়।’’

নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রস্তুতি নি‌য়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন যে সময় হবে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন ভালো থাকে এ জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর আগেও, আমরা বলেছি যে আমরা কিন্তু ট্রেনিং করাচ্ছি এবং সরকারও ফোর্সের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য স্যাংশন দিয়ে দিয়েছে।’’

রাজনৈতিক কোনো দলকে পুলিশ বেশি প্রোটেকশন দিচ্ছে, কোনো দলকে কম এমন অভিযোগ উঠছে। সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমরা সবাইকে সমান প্রোটেকশন দিচ্ছি। এই জন্য যে বেশি ভালনারেবল তার একটু বেশি প্রোটেকশন দেওয়া হয়। যে একটু কম ভালনারেবল তাদের একটু কম প্রোটেকশন দেয়। যেমন- আপনারা আল্লায় দিলে কেউ ভালনারেবল না, আপনার কোনো প্রোটেকশন দরকার হয় না।’’

ভালনারেবল সিদ্ধান্তটা কীভাবে হয়? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘এটা তো বিভিন্ন এজেন্সি আছে, প্লাস আপনারও বলেন এই এলাকাটা ভালনারেবল। আপনাদের থেকে এই ইনফরমেশন পায়।’’

এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট প র ট কশন দ পর স থ ত আম দ র আগস ট আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১১ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে ৭৬১ মামলা, গ্রেপ্তার ৬১
  • ৫ আগস্ট নিয়ে সরকার সতর্ক, নিরাপত্তাশঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ৫ আগস্ট ঘিরে শঙ্কা, সতর্ক অবস্থানে পুলিশ ও দলগুলো
  • গণ–অভ্যুত্থান শেষে ভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয়ের মানুষ ভয়াবহ বিপদের মুখে
  • আড়াইহাজারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ : ৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার
  • মৃত অবস্থায় আনা হয় হাসপাতালে, অভিযোগ নির্যাতনে মৃত্যু
  • একটি শরীর, একটি বুলেট এবং এক স্বৈরাচারের পতন
  • নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার