এনসিপি ‘কিংস পার্টি’, তাদের দুজন সরকারে: টিআইবির নির্বাহী পরিচালক
Published: 4th, August 2025 GMT
গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত হওয়া রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে টিআইবি।
টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দল বা কিংস পার্টি গঠন করা হয়েছে। এই কিংস পার্টি কারা—এ প্রশ্ন করেন একজন সাংবাদিক। জবাবে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটা গোপন করার কিছুই নেই। এটি জাতীয় নাগরিক পার্টি, তার সম্পর্কে বলা হয়েছে যে কিংস পার্টি। কারণ, এর সঙ্গে সহযোদ্ধা বা সহযাত্রী হিসেবে যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে দুজন সরকারে এখন আছেন। সে হিসেবে কিংস পার্টি।’
৫ আগস্টের পরবর্তী রাজনৈতিক যাত্রা অশুভ ছিল বলে মন্তব্য করেন ইফতেখারুজ্জামান। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘ওই দিন বিকেল থেকেই বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের একাংশ দলবাজি, চাঁদাবাজি, মামলা–বাণিজ্য শুরু করে এবং গত এক বছর ধরে তা আরও বেড়েছে। এমনকি দলের উচ্চপর্যায় থেকে ব্যবস্থা নিয়েও তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এর ফলে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের জন্মলগ্ন থেকে একই রোল মডেল অনুসরণ করেছে। দখলবাজি, চাঁদাবাজির মধ্যে নিজেদের নিমজ্জিত করে আত্মঘাতী পথে অগ্রসর হয়েছে।’
‘কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে টিআইবির সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা। টিআইবি, মাইডাস সেন্টার, ঢাকা, ৪ আগস্ট ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক ট আইব র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় যুবদল নেতা শাহিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া
ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক যুবদল নেতা মোঃ শাহিনের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ী পারিবারিক মিলনায়তন ভবনে ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্দগ্যে এই আলোচনা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন প্রয়াত যুবদল নেতা শাহিন রাজপথে সব সময় অগ্রভাগে ছিলো। প্রতিটি প্রগ্রামে শাহিন তার অনুসারীদের নিয়ে উপস্থিত থাকতেন।
শাহিন যেদিন মারা যায় সেদিন সারাদেশ ফ্যাসিস্ট সরকার হটাতে উত্তপ্ত ছিলো।আওয়ামী সন্ত্রাসী ও গ্রেফতারের ভয়ে আমরা সেদিন আমাদের সহোযোদ্ধা শাহিন কে শেষ বারের মতো দেখতে আসতে পারিনি এমনকি জানাযায় ও অংশ নিতে পারিনি।
আলোচনা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার।
আরো উপস্থিত ছিলেন এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী,ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছা সেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন,ফতুল্লা থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল খালেক টিপু,জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল আরমান, ফতুল্লা থানা তাতী দলের সভাপতি ইউনুস মাস্টার,সাধারন সম্পাদক ইমন,ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের আহবায়ক শাহআলম পাটোয়ারী,ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক মিলন ঢালী,ফতুল্লা ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অরুন, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক রাসেল,ফতুল্লা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আমির হোসেন মোল্লা,৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি রুবেল চৌধুরী, ৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মোঃ পারভেজ মিয়া, ৫ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারন সম্পাদক সৈকত রাজ,রাহাত চৌধুরী, সৈয়দ মিশু প্রমুখ।