ব্র্যাক ব্যাংক এসএমই গ্রাহকদের ১৩.৭৫ শতাংশ হারে জামানতবিহীন ঋণসুবিধা দেবে
Published: 4th, August 2025 GMT
দুই যুগের যাত্রায় ব্র্যাক ব্যাংক অর্জন করেছে ২০ লাখ এসএমই গ্রাহককে সেবা প্রদানের অনন্য মাইলফলক। এর ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ব্র্যাক ব্যাংক চালু করেছে ‘এসএমই মানেই ব্র্যাক ব্যাংক’ ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ব্র্যাক ব্যাংক এসএমই গ্রাহকদের ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে জামানতবিহীন ঋণসুবিধা দেবে, যা দেশের সিএমএসএমই খাতে বর্তমানে সর্বনিম্ন রেট। সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়নের সুযোগ আরও সহজ করার লক্ষ্যে ১ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত এই রেট প্রযোজ্য থাকবে।
প্রান্তিক পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের বাস্তব চাহিদার কথা বিবেচনা করে ক্যাম্পেইনের আওতায় ব্র্যাক ব্যাংক নতুন দুটি প্রোডাক্ট সল্যুশনও নিয়ে এসেছে। এগুলো হলো ‘প্রবর্তন’ ও ‘বিজপে’। ‘প্রবর্তন’ আনসিকিউর্ড লোন ডিজাইন করা হয়েছে দেশের ই-কমার্স এবং এফ-কমার্সের মতো অনলাইন উদ্যোক্তাদের জন্য। পর্যাপ্ত আর্থিক সুবিধার বাইরে থাকা এসব উদ্যোক্তার ব্যবসার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এই ঋণসুবিধা। অন্যদিকে ‘বিজপে’ হলো এসএমই ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিংয়ের এমন একটি প্রযুক্তিনির্ভর প্ল্যাটফর্ম, যা সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের একসঙ্গে অনেক এবং বড় আকারের লেনদেন করার সুবিধা দেবে।
এই উদ্যোগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংকের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে। গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে ব্র্যাক ব্যাংক সেসব সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে পছন্দের ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে, যাঁরা ব্যবসা শুরু কিংবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ঋণসুবিধা নিতে গিয়ে বেশির ভাগ সময়ই প্রয়োজনীয় জামানত রাখতে পারেন না।
অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করার লক্ষ্যে এটি ব্র্যাক ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পাশাপাশি দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও উদ্যোক্তা বিকাশে সহায়তা করতে ব্যাংকটি উদ্ভাবনী সিএমএসএমই প্রোডাক্টের উন্নয়নও অব্যাহত রেখেছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোকে বিকশিত হতে সহায়তা করা। দুই যুগের পথচলায় আমরা ২০ লাখ এসএমই গ্রাহকের ক্ষমতায়ন করেছি। আমরা নতুন উদ্যোক্তাদের পথপ্রদর্শক হয়েছি এবং দুই কোটি মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছি। আমাদের ক্যাম্পেইন “এসএমই মানেই ব্র্যাক ব্যাংক” এই অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স এমএসএমই এসএমই গ র ক য ম প ইন ঋণস ব ধ লক ষ য ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেশ কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা।
শনিবার (১ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭.৬৭ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১০.৩৪ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৮৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৯২ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮২ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৩৩.৭২ পয়েন্ট বা ৩.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭৬ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি ৩ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৭৯৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৭টির, দর কমেছে ১৭৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির। তবে লেনদেন হয়নি ২১টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৭.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৫৯ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৬৫১ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৭৭ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৯৮ শতাংশ কমে ৮৯৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ২.৮০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ২১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, দর কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা