এ বছর উকিপিডিয়ানদের নিয়ে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে উইকিম্যানিয়া ২০২৫ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ও পূর্ণ স্কলারশিপে এ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন পাঁচ বাংলাদেশি উইকিপিডিয়ান।

প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে নির্বাচিত উইকিমিডিয়ানদের নিয়ে নিজস্ব খরচে এ সম্মেলনের আয়োজন করে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন।

আগামী ৬ থেকে ৯ আগস্ট কেনিয়ার নাইরোবিতে বার্ষিক সম্মেলন ও উইকিম্যানিয়ার ২০তম বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে একটি ভার্চুয়াল সংস্করণও থাকবে। এ সম্মেলনে যোগ দিতে পাঁচ বাংলাদেশি উইকিপিডিয়ান ইতোমধ্যে কেনিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন।

পাঁচ বাংলাদেশি উইকিপিডিয়ান হলেন, বগুড়ার মাসুম আল হাসান রকি, ময়মনসিংহের দোলন প্রভা, বরগুনার মুহাম্মদ ইয়াহিয়া, চাঁদপুরের দেলোয়ার হোসাইন ও আরব আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি মো.

জিল্লুর রহমান।

গত বছর অন্তত ১৪০ দেশের ২ হাজারের বেশি উইকিমিডিয়ান অংশ নিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এবার সেই সংখ্যা আরো বাড়বে। সম্মেলনের কনফারেন্স টিম উইকিপিডিয়ার নতুন প্রযুক্তি, ফিচার এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরছে। অংশগ্রহণকারীরাও মতামত দিচ্ছেন সরাসরি।

এবারের সম্মেলনে বাংলাভাষী উইকিমিডিয়ানদের উদ্যোগ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। তুলে ধরা হচ্ছে ‘বাংলা উইকিমৈত্রী’ ও ‘উইকি ভালোবাসে রমজান’ প্রকল্পের সাফল্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা। এসব প্রকল্পে সম্মিলিতভাবে বাংলা উইকিপিডিয়াকে আরো তথ্যসমৃদ্ধ করা হয়েছে, তুলে ধরা হয়েছে রমজান মাসের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ভবিষ্যতে আরো বেশি মানুষকে সম্পৃক্ত করে, এই উদ্যোগগুলোকে আরও বিস্তৃত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক সম্প্রদায় উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের আঞ্চলিক কার্যক্রমের তথ্যচিত্রও উপস্থাপনের কথা রয়েছে।

উইকিপিডিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিশ্বকোষ, যেখানে ৩ শতাধিক ভাষায় সাড়ে ৬ কোটিরও বেশি নিবন্ধ। আর এই বিশাল ভাণ্ডার গড়ে তুলেছেন লাখো স্বেচ্ছাসেবী। বাংলাদেশের উইকিপিডিয়ানরাও দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্য তুলে ধরছেন বিশ্ব দরবারে। এতে দেশের সম্মান যেমন বাড়ছে, তেমনি তরুণ প্রজন্মের আগ্রহও বাড়ছে।

এবার উইকিম্যানিয়া ২০২৫-এ বৈচিত্র্য, নারীর অংশগ্রহণ ও ভাষাভিত্তিক অবদানকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন শুরু করেছে ‘নোলেজ ইজ হিউম্যান, নোলেজ ইজ হার’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন, যেখানে বিশ্বজুড়ে নারীর অবদান তুলে ধরা হচ্ছে। বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছেন উন্নয়নশীল দেশের নারী উইকিপিডিয়ানরা। শুধু সম্পাদক নয়, ইভেন্ট, ওয়ার্কশপ বা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অবদান রাখা সবাই এবার স্বীকৃতি পাচ্ছেন।

নাইরোবিতে উইকিম্যানিয়া ২০২৫-এর মূল প্রতিপাদ্য ‘বৈচিত্র্য, অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন’। এখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা দেশের ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও নারীবিষয়ক তথ্যের ঘাটতি পূরণে আলোচনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন।

আরেকটি তথ্য হলো উইকিপিডিয়া এখন শুধু তথ্যভাণ্ডার নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের প্রধান তথ্যসূত্রও। তাই সবার সহযোগিতায় উইকিপিডিয়াকে আরও নির্ভরযোগ্য ও বৈচিত্র্যময় করতে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এ বিষয়ে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রযুক্তিবিদ শাবাব মুস্তাফা জানান, উইকিম্যানিয়া হচ্ছে উইকিপিডিয়ান ও উইকিমিডিয়ানদের নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় একটি সম্মেলন। এতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে উইকিপিডিয়ানরা বিশ্বকোষে তাদের অবদান বিষয়ে নানা অভিজ্ঞতা ও আইডিয়া বিনিময় করেন।

তিনি জানান, প্রায় প্রতি বছরই এ সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে উইকিপিডিয়ানরা অংশ নিয়ে থাকেন। আমরা আশা করছি বাংলাদেশি উইকিপিডিয়ানরা সেখান থেকে হৃদ্য হয়ে বাংলা উইকিপিডিয়া সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবেন।

ঢাকা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ম য ন য উইক প ড য় ন উইক ম ড য় উইক প ড য উইক ম ড য অবদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর পাশ দিয়ে বিশাল এক গ্রহাণু ছুটে যাবে আজ

গতিশীল এই মহাবিশ্বে হাজার হাজার মাইল গতিতে ছুটে চলেছে নানা ধরনের গ্রহাণু। মাঝেমধ্যেই এ ধরনের গ্রহাণু আমাদের পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে ছুটে যায়। আজ বৃহস্পতিবার ‘২০২৫ এফএ২২’ নামের একটি গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে ছুটে যাবে। নাসা ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, ৪৬ লাখ মাইল দূর থেকে নিরাপদে পৃথিবীকে অতিক্রম করবে গ্রহাণুটি।

নাসা ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির তথ্যমতে, ৪৯২ ফুটের চেয়ে বড় বিশাল গ্রহাণুটি ঘণ্টায় ২৪ হাজার মাইলের বেশি গতিতে পৃথিবীর পাশ দিয়ে ছুটে যাবে। আকারে বড় হওয়ায় প্রাথমিকভাবে গ্রহাণুটিকে সম্ভাব্য বিপজ্জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। যদিও দূরত্বের কারণে পরে ঝুঁকির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

২০২৫ এফএ২২ গ্রহাণুর দৈর্ঘ্য ৪২৭ থেকে ৯৫১ ফুটের মধ্যে বলে অনুমান করা হচ্ছে। গত মার্চে হাওয়াইয়ের একটি বিশেষ টেলিস্কোপ ব্যবহার করে গ্রহাণুটি শনাক্ত করা হয়। গ্রহাণুটির গতিপথ চাঁদের কক্ষপথের অনেক বাইরে। গ্রহাণুটি খালি চোখে দেখা যাবে না। ২০৮৯ ও ২১৭৩ সালে আবার পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে গ্রহাণুটি।

প্রসঙ্গত, গ্রহাণু কতটা ভয়ানক হতে পারে, তা নির্ভর করে তার আকার ও গতির ওপর। ছোট গ্রহাণু বায়ুমণ্ডলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়, উল্কাপাতের সৃষ্টি করে। আকারে বড় গ্রহাণু কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। তবে ৪৬০ ফুটের চেয়ে বড় গ্রহাণুগুলো পৃথিবীর ৭৪ লাখ কিলোমিটারের মধ্যে এলে সেগুলোকে বিপজ্জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
  • নোবিপ্রবি উপাচার্যের সঙ্গে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতবিনিময়
  • পৃথিবীর পাশ দিয়ে বিশাল এক গ্রহাণু ছুটে যাবে আজ
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
  • জানুয়ারি থেকে বিশেষ বৃত্তি পাবেন জবি শিক্ষার্থীরা
  • যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনে রাশিয়া-বেলারুশ সামরিক মহড়ায় কেন অংশ নিল ভারত
  • তদন্ত করে ভুয়া নাম বাদ দিন
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
  • পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে ৫৪ পদের চাকরি, করুন আবেদন
  • বাংলাদেশে সফরের সূচি জানিয়ে দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ