বন্দরে মনু হত্যা মামলা তুলে নিতে হুমকি, থানায় জিডি
Published: 12th, August 2025 GMT
বন্দরে মুরাদপুরে পূর্ব শত্রুতার দ্বন্দ্বে মনিরুজ্জামান মনুকে গুলি করে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামী মিঠু ও টিটুগংরা কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে বাদী সাবিনা বেগম ও নিহতের স্বজনদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত রোববার (১০ আগষ্ট) নিহত মনিরুজ্জামান মনুর ভাগ্নি ময়না বেগম বাদী হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয় বন্দর থানায় উল্লেখিত আসামীদের বিরোদ্ধে একটি জিডি এন্টি করেন। যার জিডি নং ৫৩৪। তাং ১০/০৮/২০২৫ইং।
ময়না বেগম জিডিতে উল্লেখ করেন,গত ২০২৪ সালের ৭জুন আমার মামা মনিরুজ্জামান ওরফে মনুকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় আমার মামী সাবিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। যার মামলা নং ১৩(৬)২৪ইং। উক্ত মামলার বিবাদী শীর্ষ সন্ত্রাসী টিটু, মিঠু, ফারুক, মনির, নুরুল, সামসুলসহ তাদের সহযোগীরা জামিনে বের হয়ে আমাদের পরিবারেরর উপর চড়াও হয়।
আমাদের মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে আদালত চত্বরে হুমকিসহ মারমূখী আচরন করছে। এমনকি আমাদের প্রান নাশের হুমকি প্রদান করছে। তাদের এমন কর্মকান্ডে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
উল্লেখ্য,সোনারগাঁ কুতুবপুর এলাকায় মামির জানাজা শেষে শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে মনিরুজ্জামান মনু মদনপুর মুরাদপুর নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিল। এসময় একই এলাকার নুরা মিয়ার তিন ছেলে মিঠু, টিটু ও মনিরের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ঘর থেকে বের করে প্রথমে মাথায় গুলি ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তাকে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে দুপুর ২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
তথ্যমতে, নিহত মনু মদনপুর মুরাদপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার পরিবারের মধ্যে আবুল পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হন। এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিহত মনুর ভাই নুরুজ্জামান নুরা ও বাবুল আক্তার, বড় বোন নিলুফা অপর সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে খুন হয়েছেন।
তারপর থেকে মনু কাপাসিয়া বিয়ে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করত। বৃহস্পতিবার মনু পার্শ্ববর্তী সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরের কুতুবপুর এলাকায় তার মামী মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যায়।
শুক্রবার সকালে মনু নিজ বাড়ি মদনপুরস্থ মুরাদপুর পৌঁছালে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হ মক হত য ন র য়ণগঞ জ মন র জ জ ম ন
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪ জন হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিএনজি চালক আবুল বাশার (৪৫) ও অজ্ঞাত একজন নারী মারা গেছে। এরআগে ঘটনাস্থলে লিটন দাস (৩২) ও অজ্ঞাত একজন পুরুষ মারা যায়। নিহত আবুল বাশারের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর ও লিটন দাসের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ৩ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুর ৩টার দিকে আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দি ইউনিয়নের তালতলা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বন্দরের মদনপুর থেকে যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশাটি বিশনন্দি ফেরিঘাটের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। তালতলা মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা গ্যাস ভর্তি একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই লিটন দাস ও অজ্ঞাত একজন পুরুষ যাত্রী মারা যায়। এবং সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাত একজন নারী মারা গেছে।
গুরুত্বর আহত সিএনজির যাত্রী রাবেয়া, একজন অজ্ঞাতনামা মহিলা এবং এক অজ্ঞাতনামা ১২ বছরের শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুর্ঘটনার পর প্রায় ১০ মিনিট আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘাতক ট্রাকের চালক দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে ট্রাকটি জব্দ করে পুলিশ।
এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, বেলা আনুমানিক ৩টার দিকে দূর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে দুইজন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন মারা যায়। আমরা ট্রাকটি জব্দ করেছি। তবে ট্রাকের চালক পালিয়ে গেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আহতদের অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন।