রাজধানীর বাংলামোটর ও গুলশান এলাকায় শুক্রবার ঝটিকা মিছিল করার সময় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার মিরপুর ও দারুস সালাম এলাকায় ঝটিকা মিছিল করার সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ১৮ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির কার্যালয়ের (এনসিপি) সামনে জড়ো হয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের দিকে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী ও অনুসারীরা। মিছিলে ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়। এ সময় রমনা থানার পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। অন্যরা পালিয়ে যান।

ঢাকা মহানগর পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেলা সোয়া তিনটা থেকে চারটার মধ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা রাজধানীর গুলশানে ঝটিকা মিছিল বের করেন। সেখান থেকে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

বাংলামোটর ও গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মো.

মাইন উদ্দীন, বিল্লাল হোসেন, মো. রাব্বি, সোহেল হাসান ওরফে রাফি, আরিফ, নাদিম, মো. শুক্কুর হাওলাদার, শিহাব মুন্সি, মো. জুয়েল, সাদ্দাম মোল্লা, মো. রানা ও মো. নাজমুল।

দারুস সালামে মিছিল থেকে গ্রেপ্তার ১২

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বেশ কিছু নেতা–কর্মী দারুস সালাম থানার টেকনিক্যাল মোড়ে জড়ো হয়ে ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় থানার টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে। অন্যরা পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নাটোর জেলার বড় বড়াই গ্রামের যুবলীগের সদস্য আল আমিন, আওয়ামী লীগের সদস্য আক্কাস মিয়া, চাঁদপুর সদর চন্দ্রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক সোহাগ মাঝি, আওয়ামী লীগের সদস্য নেছার মিয়া, ইউসুফ আলী, ফারুক হোসেন, মকবুল মৃধা, মানিক মিয়া, মো. শাহীন, মো. নাঈম, এমদাদুল হক ও আবদুল আলীম।

মিরপুরে গ্রেপ্তার ৬

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মিরপুরে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তাঁরা হলেন জুয়েল রানা, আল নোমান সাইফ, মো. জুলহাস, ইমন হোসেন খান মানিক, সাগর হোসেন ও ওহিদুল ইসলাম সুমন।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ রোমন প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে খবর আসে, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বেশ কিছু নেতা-কর্মী মুখে মাস্ক পরে পাইকপাড়া ডি-টাইপ স্টাফ কোয়ার্টারের ১ নম্বর ফটকের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়েছেন। তাঁরা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিলেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর র সদস য স গঠন র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

শ্যামলীতে আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণ, আটকদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা: পুলিশ

রাজধানীর শ্যামলীর শিশুমেলার সামনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একটি ঝটিকা মিছিলের সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এ সময় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক জানিয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ছয়জনকে আটক করা হলেও পাঁচজন সরাসরি জড়িত থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের নেতা বিন ইয়ামিনের অনুসারী।

ওসি ইমাউল হক বলেন, ঝটিকা মিছিল করতে আসা ব্যক্তিদের একটি অংশ এসেছিল পায়ে হেঁটে। আর একটি অংশ এসেছিল মোটরসাইকেলে করে। যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল একটি দল। পরে তাঁদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল ও একটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ সকাল আটটার দিকে আওয়ামী লীগের পক্ষে স্লোগান দিয়ে শিশুমেলার সামনে কিছু লোক জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা সেখানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও দিয়েছিল। সেখানে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শ্যামলীতে আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণ, আটকদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা: পুলিশ