কমনওয়েলথ ছাত্র সংসদের ভিপি প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির রিফাদ
Published: 19th, September 2025 GMT
কমনওয়েলথ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (সিএসএ)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পার্টিসিপেশন) পদে নির্বাচিত হয়েছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ রিফাদ মাহমুদ। ভোটে ভারত, ঘানা, নাইজেরিয়া ও কেনিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের জন্য গর্ব বয়ে আনা রিফাদ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশের ন্যাশনাল স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে ১০টি নেতৃত্বস্থানীয় পদে ভোটগ্রহণ হয়। যেখানে প্রতিটি দেশের একজন প্রতিনিধি ভোট দেন। বাংলাদেশসহ কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশের প্রায় ১৪০ কোটি শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব এখন রিফাদের কাঁধে। এই জয় কেবল রিফাদ নয়; বাংলাদেশের তরুণ সমাজের অনন্য অর্জন।
  
 কমনওয়েলভুক্ত দেশগুলোর তরুণদের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম yourcommonwealth.                
      
				
বর্তমানে সিএসেএর-এর শিক্ষা সম্পর্ক কর্মকর্তা এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ শাখার যুব পরামর্শক দলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শিগগিরই নতুন নেতৃত্ব বুঝে নেবেন।
রিফাদ নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘সব শিক্ষার্থী সমান সুযোগ পায় না। অনেককেই নানা চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে আসতে হয়। এর মধ্যে আর্থিক সংকট বড় চ্যালেঞ্জে। যার কারণে বিশ্বে অসংখ্য শিক্ষার্থী পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হিমশিম খায়। এদের পাশে দাঁড়ানো বাকি শিক্ষার্থীদেরও দায়িত্ব। আমি এমন একটা কর্মসূচি নিতে চাই, যেখানে শিক্ষার্থীরা পকেট মানি ও টিফিনের টাকা সঞ্চয় করবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে এখান থেকে এমন একটা তহবিল তৈরি করা যাবে, যেটি আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীর কাজে আসবে। অর্থের অভাবে কেউ যেন লেখাপড়ায় পিছিয়ে না যায়।’’
  
 লন্ডনে অবস্থিত ব্রিটিশ কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের অধীন শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সংস্থা সিএসএ। রিফাদ দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আলাদা করে নজর কেড়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যুব প্যানেলে ‘ইইউ ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট ফান্ড’ পর্যবেক্ষণেও কাজ করছেন। এর আগে গ্লোবাল স্টুডেন্ট ফোরামের উপদেষ্টা পর্ষদে এবং ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম-এর যুব পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। 
২০২১ সালে রিফাদ আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারে জন্য মনোনীত হন। একই বছর গ্লোবাল ইয়ুথ লিডার সম্মাননা অর্জন করেন।
ঢাকা/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স ক্যাথলিক গির্জার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে কোনো একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। নিজের এ মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বিশাল এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
জেডি ভ্যান্স বলেন, তাঁর যে মন্তব্য নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটি মূল বক্তব্য থেকে কেটে নেওয়া একটি অংশ। কোন প্রসঙ্গে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন, সেটা দেখানো হয়নি।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে তরুণদের সংগঠন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র একটি অনুষ্ঠানে এক তরুণীর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা হিন্দু সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছেন।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়া পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।জবাব দিতে এক্স পোস্টে ভ্যান্স বলেন, একটি পাবলিক ইভেন্টে তাঁকে তাঁর আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি ওই প্রশ্ন এড়িয়ে যেত চাননি, উত্তর দিয়েছেন।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘প্রথমেই বলি, প্রশ্নটি আসে আমার বাঁ পাশে থাকা একজনের কাছ থেকে, আমার আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে। আমি একজন পাবলিক ফিগার, লোকজন আমার ব্যাপারে জানতে আগ্রহী এবং আমি প্রশ্নটি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিলাম না।’
এ বছর জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে জেডি ভ্যান্স ও তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স