মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু)।

শনিবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

জাবিতে অনুষ্ঠিত হবে দুই দিনব্যাপী বিজ্ঞান উৎসব

৫ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচিতে জাবির চাকরিচ্যুত ৩ কর্মচারী

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কয়েকজন সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার না করায় বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

পূর্ববর্তী শাসনব্যবস্থাকে ‘ফ্যাসিবাদী’ আখ্যা দিয়ে জাকসু অভিযোগ করে জানায়, ডিজিএফআই, র‍্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার নির্দেশে এসব মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন। এই অপরাধের দায় থেকে শেখ হাসিনা ও তার ফ্যাসিবাদী প্রশাসন কোনোভাবেই মুক্ত নয়।

ফ্যাসিবাদের সময়ে পুরো রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ব্যবহার করে দেশে একটি মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করা হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনীর সরাসরি অংশগ্রহণে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম ও খুনের মতো ঘটনা সংঘটিত হয়।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে না পারলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরায় রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের পথ তৈরি হবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ব্যাহত হবে।

দ্রুত মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সব ফৌজদারি অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তাদের সহযোগীদের অপসারণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাকসু।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

ফিরে এসেছে সবুজ কচ্ছপ

একসময় প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া গ্রিন টার্টল বা সবুজ কচ্ছপ আবারও প্রকৃতিতে ফিরে আসছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের তথ্য মতে, বিলুপ্তির উদ্বেগজনক শ্রেণি থেকে আবারও প্রকৃতিতে ফিরে আসছে এই কচ্ছপ। কয়েক দশক ধরে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার ফলে সবুজ কচ্ছপের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সবুজ কচ্ছপ একসময় অনেক শিকার করা হতো। একসময় এদের মাংস ও আলংকারিক খোলার জন্য ব্যাপক শিকার করা হতো। মারাত্মকভাবে এদের সংখ্যা হ্রাস পায়। কয়েক দশক ধরে সুসংগঠিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টার কারণে এদের আবারও প্রকৃতিতে দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি আইইউসিএন রেড লিস্টে সবুজ কচ্ছপকে বিপন্ন ন্যূনতম উদ্বেগজনক অবস্থার শ্রেণিতে পুনর্বিন্যস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার সাবাহর মেরিন রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞানী নিকোলাস পিলচার বলেন, সবুজ কচ্ছপ ফিরে আসার বিষয়টি প্রেরণাদায়ক বটে। সবুজ কচ্ছপ বৃহত্তম সামুদ্রিক কচ্ছপ প্রজাতির মধ্যে অন্যতম। এদের উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্যের কারণে শরীরের চর্বি হালকা সবুজাভ হয়।

যুক্তরাজ্যের এক্সটার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ব্রেন্ডন গডলি বলেন, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সমন্বিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টার কারণে সবুজ কচ্ছপ আবারও প্রকৃতিতে দেখা যাচ্ছে। সামুদ্রিক কচ্ছপের ফিরে আসা মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে। লাখ লাখ মানুষ নিরলসভাবে এদের সুরক্ষার জন্য কাজ করেছে।

সবুজ কচ্ছপ মূলত তৃণভোজী। শৈবাল ও সামুদ্রিক ঘাস খেয়ে জীবনধারণ করে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপগ্রীষ্মমণ্ডলীয় মহাসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে। এদের দীর্ঘ দূরত্বে পরিযায়ী হওয়ার অভ্যাস আছে। সবুজ কচ্ছপের ফিরে আসা উৎসাহব্যঞ্জক হলেও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক থাকতে বলছেন। সবুজ কচ্ছপের সংখ্যা এখনো আগের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার রেইন আইল্যান্ডে এই প্রজাতি শংকার মুখে আছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ