দ্বিতীয় টেস্টে ভারত আগে ব্যাট করতে নেমে যশস্বী জয়সওয়াল (১৭৫) ও শুভমান গিলের (১২৯*) সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ৫১৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। ভারতের রান পাহাড়ের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৮১.৫ ওভারে ২৪৮ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ভারত তাদের ফলোঅন করায়। আর ফলোঅন করতে নেমে জন ক্যাম্পবেল ও শেই হোপের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়েছে সফরকারীরা। ১৭ রানে প্রথম ও ৩৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ক্যাম্পবেল-হোপ জুটি বাঁধেন। তারা অবিচ্ছিন্ন ১৩৮ রানের জুটি গড়ে তৃতীয় দিন শেষ করেন। ক্যাম্পবেল ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৮৭ ও হোপ ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৬৬ রানে অপরাজিত আছেন। তারা দুজন আগামীকাল সোমবার চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামবেন।

আরো পড়ুন:

কানতারা টু: ১০ দিনে আয় ৭৫৮ কোটি টাকা

তৃষার বিয়ে?

তাদের আগে ত্যাগনারায়ণ চন্দরপল ১০ রানে মোহাম্মদ সিরাজের বলে ও অ্যালিক আথানেজ ৭ রানে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে আউট হন।

তার আগে প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যাথানেজ সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন। এছাড়া হোপ ৩৬, ত্যাগনারায়ণ ৩৪, অ্যান্ডারসন ফিলিপ অপরাজিত ২৪ ও খারি পিয়েরে ২৩ ও টেভিন ইলমাচ ২১ রান করেন।

বল হাতে ভারতের কুলদীপ যাদব ৮২ রানে ৫ উইকেট নেন। রবীন্দ্র জাদেজা ৪৬ রানে নেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন জাসপ্রিত বুমরাহ ও সিরাজ।

প্রথম টেস্ট ইনিংস ও ১৪০ রানের ব্যবধানে জিতে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে ভারত।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইন ড জ ক র ক ট প রথম উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সম্পদ ও সন্তান লাভের জন্য প্রার্থনা

জীবনের এমন অনেক মুহূর্ত আসে যখন মনে হয়, সবকিছু যেন থমকে দাঁড়িয়েছে। আয়ের উৎস শুকিয়ে যাওয়া, পরিবারের উদ্বেগ বাড়তে থাকা বা জীবনে বরকতের অভাব—এসব চাপে মানুষের মন ভারী হয়ে ওঠে। ইসলামে এমন সময়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এমন একটি দোয়া মহানবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর সেবক আনাস ইবনে মালিক (রা.)-এর জন্য করেছিলেন। এই দোয়া শুধু ধন-সম্পদ ও সন্তানের বৃদ্ধি চায় না, বরং সবকিছুতে আল্লাহর বরকত কামনা করে।

দোয়ার উৎস ও প্রেক্ষাপট

হাদিসে বর্ণিত, আনাস (রা.)-এর মা উম্মে সুলাইম নবীজিকে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনার এই সেবক আনাসের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।’ তখন নবীজি (সা.) দোয়া করেন: ‘আল্লাহুম্মা আকসির মালাহু ওয়া ওয়ালাদাহু, ওয়া বারিক লাহু ফীমা আ'তাইতাহু।’

এই দোয়ার ফলাফল অবিশ্বাস্য: আনাস (রা.) ১০৩ বছর বেঁচে ছিলেন এবং পৌত্রাদি মিলিয়ে তিনি ১২০-এরও বেশি সন্তান লাভ করেন। তাঁর জীবন ছিল বরকতের জীবন্ত উদাহরণ।আরও পড়ুনতাকওয়া মুমিনের সবচেয়ে বড় সম্পদ৩০ জুন ২০২৫

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তার ধন-সম্পদ ও সন্তান বাড়িয়ে দাও এবং তুমি যা দান করেছ, তাতে তার জন্য বরকত দান করো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৩৪৪)

আনাস (রা.) তখন মাত্র দশ বছরের একটি ছেলে, যিনি নবী (সা.)-এর সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। এই দোয়ার ফলাফল অবিশ্বাস্য: আনাস (রা.) ১০৩ বছর বেঁচে ছিলেন এবং তাঁর তিনি পৌত্রাদি মিলিয়ে ১২০-এরও বেশি সন্তান লাভ করেন (সহিহ মুসলিম থেকে বর্ণিত)। তাঁর জীবন ছিল বরকতের জীবন্ত উদাহরণ।

দোয়ার উদ্দেশ্য শুধু ধন নয়, বরকত

এই দোয়ার সৌন্দর্য এতে যে এটি ধন-সম্পদের পাশাপাশি বরকতের জন্য প্রার্থনা করে। ইসলামে ধনকে শুধু সঞ্চয় নয়, বরং আল্লাহর নেয়ামত হিসেবে দেখা হয়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘ধন বেড়ে গেলেও যদি বরকত না থাকে, তাহলে তা ধুলোর মতো উড়ে যায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৩৯)

আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে ধর্মের দাবি১৯ মে ২০২৫ধন বেড়ে গেলেও যদি বরকত না থাকে, তাহলে তা ধুলোর মতো উড়ে যায়।’সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৩৯

আধুনিক জীবনে এর প্রাসঙ্গিকতা আরও বেশি। অর্থনৈতিক সংকট, চাকরির অনিশ্চয়তা বা পরিবারের চাপে অনেকে কষ্ট পান। কিন্তু এই দোয়া স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সত্যিকারের সমৃদ্ধি আল্লাহর রহমতে। সন্তানের ক্ষেত্রেও তাই—সন্তান লাভের সঙ্গে তাদের সুস্থতা, শান্তি ও ইমানের বরকত চাওয়া জরুরি।

আজকের দিনে, যখন পরিবারের আকার ছোট হচ্ছে এবং অর্থের চাপ বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধর্মীয় অনুশীলন (যেমন দোয়া) মানসিক চাপ কমায় এবং জীবনে ইতিবাচকতা বাড়ায়। ইসলামি ঐতিহ্যে এই দোয়া শুধু ব্যক্তিগত নয়, পরিবারের জন্যও ব্যবহার করা যায়।

দোয়ার সঙ্গে সদকা দেওয়া, কোরআন তিলাওয়াত এবং হালাল উপার্জনের চেষ্টা করুন—এগুলো বরকতের দরজা খোলে।

আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে মহানবী (সা.)-এর ১০টি নির্দেশনা২০ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ