পুঁজিবাজারে সূচকের পতন, বেড়েছে লেনদেন
Published: 14th, October 2025 GMT
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) চলতি সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। তবে, উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, অনেক দিন ধরেই পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইএক্স সূচকে বড় উত্থান দেখা গেছে। তবে, দুপুর দেড়টার পর থেকে তা কমতে শুরু করে। একপর্যয়ে তা কমে নেতিবাচক অবস্থানে চলে আসে।
আরো পড়ুন:
পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত
বেক্সিমকোসহ সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্তে বিএসইসি
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩০.
ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৫টির, কমেছে ২৩৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৮টির শেয়ার ও ইউনিট।
এদিন ডিএসইতে মোট ৬০৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৩০ কোটি লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৯.৮৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ২৫ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৪.০৮ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৬৭৩ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৪.৩৬ পয়েন্ট কমে ৯২৮ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৭২.৮৪ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৭২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ২০৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৭৪টি কোম্পানির, কমেছে ১০৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫টির।
সিএসইতে ১৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ট ক র শ য় র ও ইউন ট অবস থ ন ড এসই স এসই
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামীকে ২১ কোটি টাকার শেয়ার উপহার দিচ্ছেন স্ত্রী
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানির চেয়ারম্যান তাঁর স্বামীকে প্রায় ২১ কোটি টাকার শেয়ার উপহার দিচ্ছেন। মুন্নু সিরামিকের উদ্যোক্তা পরিচালক আফরোজা খানম তাঁর স্বামী মঈনুল ইসলামকে এই শেয়ার উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার আফরোজা খানমের পক্ষ থেকে স্বামীকে শেয়ার উপহার দেওয়ার এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দেওয়া এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিরামিক খাতের কোম্পানি মুন্নু সিরামিকের উদ্যোক্তা আফরোজা খানম কোম্পানিটির প্রায় ২৬ লাখ শেয়ার উপহার দেবেন।
ঢাকার শেয়ারবাজারে আজ সোমবার মুন্নু সিরামিকের প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৭৯ টাকা। সেই হিসাবে ২৬ লাখ শেয়ারের বাজারমূল্য দাঁড়ায় ২০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
ডিএসইতে প্রকাশিত ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, আফরোজা খানম মুন্নু সিরামিকের একজন উদ্যোক্তা। বর্তমানে তিনি কোম্পানিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। আফরোজা খানম মুন্নু গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা হারুনুর রশীদ খান মুন্নুর মেয়ে। আর মঈনুল ইসলাম মুন্নু সিরামিকের একজন সাধারণ শেয়ারধারী। সাধারণ শেয়ারধারী হলেও তিনি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে নেই।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিয়ম অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির পরিচালক হতে হলে ওই পরিচালকের হাতে কোম্পানিটির ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক।
ডিএসইতে দেওয়া শেয়ার উপহারের ঘোষণায় দেখা যাচ্ছে, আফরোজা খানম তাঁর স্বামীকে যে পরিমাণ শেয়ার উপহার দিচ্ছেন, তা কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৭ শতাংশের বেশি। ফলে উপহারের এই শেয়ার নিয়েই মঈনুল ইসলাম চাইলে কোম্পানিটির পরিচালক হতে পারবেন। কারণ, উপহারের এই শেয়ারে তিনি ন্যূনতম শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণ করবেন। জানা যায়, মূলত স্বামীকে কোম্পানির পরিচালক করতেই স্ত্রীর পক্ষ থেকে এই শেয়ার উপহার দেওয়া হচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যে উপহারের এই শেয়ার হস্তান্তর সম্পন্ন করা হবে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় মুন্নু সিরামিক। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ৩৭ দশমিক ৪৩ শতাংশই ছিল এটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। সাধারণ শেয়ারধারীদের হাতে ছিল ৪৮ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার। বাকি শেয়ার ছিল প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে। কোম্পানি মাঝারি মানের কোম্পানি হিসেবে ‘বি’ শ্রেণিভুক্ত। সর্বশেষ গত জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য শেয়ারধারীদের প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
সর্বশেষ গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছর কোম্পানিটি প্রায় ৮৩ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা।