এবার ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছাড়াল সোনার ভরি
Published: 14th, October 2025 GMT
দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। চলতি মাসের অর্ধেক না পেরোতেই ষষ্ঠবারের মতো বাড়ল সোনার দাম। আগামীকাল বুধবার থেকে আবার সোনার দাম ভরিতে আড়াই হাজার টাকার বেশি বাড়ছে। এর ফলে সোনার সর্বোচ্চ দামের আরেকটি নতুন রেকর্ড হলো।
এবার এক দিনের ব্যবধানে সোনার ভরিপ্রতি দাম বাড়ছে ২ হাজার ৬১৩ টাকা। তাতে আগামীকাল থেকে প্রতি ভরি ভালো মানের তথা ২২ ক্যারেট সোনার দাম বেড়ে ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকায় দাঁড়াবে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এদিকে এ দফায় রুপার দাম বাড়েনি। তবে বর্তমানে এক ভরি রুপার দাম ৬ হাজার ২০৫ টাকা, যা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ মঙ্গলবার রাতে সোনার দাম সমন্বয়ের এ ঘোষণা দিয়েছে। নতুন দর আগামীকাল থেকে কার্যকর হবে। দাম বাড়ানোর পেছনে জুয়েলার্স সমিতি বরাবরের মতো তেজাবি সোনার (খাঁটি সোনা) মূল্যবৃদ্ধির কথা বলছে। মূলত বৈশ্বিক বাজারে টানা মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়ছে।
চলতি মাসে সব মিলিয়ে ছয়বার সোনার দাম সমন্বয় করেছে জুয়েলার্স সমিতি। প্রতিবারই দাম বেড়েছে। তার মধ্যে ৭ অক্টোবর সোনার দাম ভরিতে দুই লাখ টাকার মাইলফলকে পৌঁছায়। অথচ ২৬ মাস আগে দেশে সোনার দাম ছিল ১ লাখ টাকা ভরি।
সোনার মূল্যবৃদ্ধির কারণে আগামীকাল থেকে হলমার্ক করা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট ২ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৭৭ হাজার ১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হবে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫১ টাকায়। আজ পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট ২ লাখ ৪ হাজার ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাল থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনায় ২ হাজার ৬১৩ টাকা, ২১ ক্যারেটে ২ হাজার ৪৯৬ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটে ২ হাজার ১৪৬ টাকা বাড়বে। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম বাড়বে ভরিতে ১ হাজার ৮৩১ টাকা।
জুয়েলার্স সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট মানের রুপার দাম ৬ হাজার ২০৫ টাকায় অপরিবর্তিত থাকবে। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট রুপা ৫ হাজার ৯১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেট রুপা ৫ হাজার ৭৪ এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ৩ হাজার ৮০২ টাকা ভরিতে অপরিবর্তিত থাকবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১৮ ক য র ট ২২ ক য র ট ২১ ক য র ট আগ ম ক ল
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা কলেজে রাতে মিছিল, উত্তেজনা
ঢাকার সরকারি সাতটি কলেজ একীভূত করে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি করা নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার দিনভর পক্ষে–বিপক্ষে ব্লকেড কর্মসূচি, বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি শেষে রাতে ঢাকা কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ছাত্রদের একটি মিছিল কলেজের দক্ষিণ ছাত্রাবাসে দিকে যায়। এ সময় উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রদের ইঙ্গিত করে নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়। এ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এর আগে উচ্চমাধ্যমিকের এক ছাত্রকে মারধর ও শিক্ষককে হেনস্তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ‘ব্লকেড কর্মসূচি’ পালন করেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রীরাও সংহতি জানান। তাঁরা কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার দাবিতে মিছিল করেন।
অপর দিকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলনকারী বেশ কিছু ছাত্র ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, স্নাতকের (সম্মান) এক ছাত্রকে মারধর করে পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান দেওয়া হয়।
এদিকে শিক্ষক হেনস্তা ও শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারা দেশে সরকারি কলেজ, সরকারি মাদ্রাসা ও অন্যান্য অফিসে দিনব্যাপী সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা (শিক্ষক)। বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে কোনো ক্লাস হয়নি।
ঢাকা কলেজে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকেরা বিভাগ ছেড়ে শিক্ষক লাউঞ্জে জমায়েত হয়ে প্রতিবাদ জানান। কলেজের শহীদ মিনারের সামনেও কিছুক্ষণ অবস্থান করেন তাঁরা। এতে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ইলিয়াস হোসেনও অংশ নেন।
ঢাকার সাতটি বড় সরকারি কলেজ একীভূত করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় করতে যাচ্ছে সরকার। প্রস্তাবিত এই কাঠামো নিয়ে কলেজগুলোর শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা আন্দোলন করছেন।
আরও পড়ুনসায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে ব্লকেড কর্মসূচি ঢাকা কলেজের ছাত্রদের১৩ ঘণ্টা আগে