হেলিকপ্টার উড়েছিল ৩৬ বার, ছোড়া হয় গুলি, কাঁদানে গ্যাস
Published: 15th, October 2025 GMT
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র–জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি, নজরদারি, জনবল স্থানান্তরসহ বিভিন্ন কাজে পুলিশ ও র্যাবের নিজস্ব হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিল। গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ বার আকাশে উড়েছিল ওই দুটি বাহিনীর হেলিকপ্টার। শটগান ও এসএমজি (সাব–মেশিনগান) থেকে গুলি এবং সাউন্ড গ্রেনেড ও গ্যাসগান (কাঁদানে গ্যাস) ছোড়ার কাজে তখন হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিল। এই তথ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় উল্লেখ করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল বুধবার টানা চর্তুথ দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর। এ সময় তিনি বলেন, গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাবের হেলিকপ্টারের ৩৬ বার উড্ডয়নের তথ্য পাওয়া গেছে। ওই সময় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, সুনামগঞ্জ, সিলেট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধায় উড্ডয়ন ও অবতরণ করেছে হেলিকপ্টার।
চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্যের মধ্যে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় হেলিকপ্টার ব্যবহারের দুটি ভিডিও দেখানো হয়। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, র্যাবের হেলিকপ্টার ঢাকার আকাশে উড়ছে এবং সেই হেলিকপ্টার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের হেলিকপ্টার থেকেও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ধোঁয়া উড়ছে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, যতটুকু স্বীকার না করলেই নয়, ততটুকু তারা (পুলিশ ও র্যাব) তথ্য দিয়েছে। অনেক গুলির প্রমাণ পাওয়া গেছে (প্রসিকিউশন), যেগুলোর কোনো হিসাব নেই। অন্য জায়গা থেকে গুলি এনে হিসাবটা পূর্ণ করা হয়েছে। হয়তো বাস্তবে গুলি হয়েছে ৫ হাজার রাউন্ড, হিসাব দিয়েছে ১০০ রাউন্ডের। তিনি বলেন, হেলিকপ্টারে কত গোলাবারুদ তোলা হয়েছিল, কত গোলাবারুদ ফায়ার (ব্যবহার) করা হয়েছে এবং কত গোলাবারুদ অবশিষ্ট আছে, সেসবের তথ্যও তাঁরা পেয়েছেন।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে উদ্ধারকাজে, রেকি (গোপনে নজরদারি) করা, টহল দেওয়া, জমায়েত ছত্রভঙ্গ করা, জনবল স্থানান্তর ও আইজিপি মিশনেও (সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে উদ্ধার) হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর। তিনি বলেন, র্যাবের হেলিকপ্টারগুলো অত্যন্ত নিচু দিয়ে ওড়ার কারণে এই ফ্লাইটগুলোতে যেসব অফিসার ও সৈনিক ছিলেন, তাঁদের সবার মোবাইল নম্বর সংশ্লিষ্ট মোবাইল টাওয়ারে রেকর্ডেড (নথিভুক্ত) হয়ে যায়। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সবার তথ্য জানা গেছে।
বিচারপতি মো.
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র–জনতার ওপর যেসব গুলি ব্যবহার করা হয়েছিল, তার মধ্যে উদ্ধার করা কিছু গুলি গতকাল ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে একটি স্বচ্ছ কৌটা থেকে একটি গুলি বের করে দেখান চিফ প্রসিকিউটর। তখন তিনি বলেন, ‘একদম মিলিটারি গ্রেড বুলেট (যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত বুলেট)।’
দ্বিতীয় স্বচ্ছ কৌটা থেকে বুলেট বের করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এটি একজনের শরীর থেকে উদ্ধার করা।
এ রকম আরেকটি কৌটা থেকে একটি গুলি বের করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই গুলি একজনের শরীরে প্রবেশ করেছিল।
‘ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ওয়েতে প্রমাণিত’মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি। তবে সাবেক আইজিপি মামুন দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। সেগুলো হলো উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান; হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ দেওয়া; বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করার দায়; চানখাঁরপুলে আন্দোলনরত ছয়জনকে গুলি করে হত্যার দায় এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়।
যুক্তিতর্কে আবু সাঈদের ঘটনা ছাড়া অন্য চারটি অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য–প্রমাণ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। এ সময় একটি ভিডিও দেখানো হয়। এতে দেখা যায় চানখাঁরপুলে আন্দোলনকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুলি করছেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্য, পুলিশের সাক্ষ্য ও ভিডিও—এই তিনটিকে একসঙ্গে মিলালে খুব ‘ক্রিস্টাল ক্লিয়ারলি’ (একদম স্পষ্ট) প্রমাণ করা যাচ্ছে যে এই অপরাধটা কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ, যা কমান্ড স্ট্রাকচার (নির্দেশকাঠামো) অনুসরণ করে তৎকালীন আইজিপি হয়ে, ডিএমপি কমিশনার হয়ে, মাঠপর্যায়ে যায়।
এরপর তিনটি ভিডিও (আশুলিয়ার ঘটনায়) দেখানো হয়। এ ছাড়া দুজন সাক্ষীর জবানবন্দি পড়ে শোনান চিফ প্রসিকিউটর। এ সময় তিনি বলেন, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (আজ) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন।
৪৫ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়লগণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়িয়ে আগামী ৮ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দিয়েছেন। এই মামলায় ৪৫ আসামির মধ্যে ১৭ জন গ্রেপ্তার আছেন।
এর মধ্যে ১৬ আসামিকে গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁরা হলেন আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, তৌফিক–ই–ইলাহী চৌধুরী, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, দীপু মনি, গোলাম দস্তগীর গাজী, শাজাহান খান, জুনাইদ আহ্মেদ, কামাল আহমেদ মজুমদার, সোলায়মান সেলিম, মো. জাহাংগীর আলম ও এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। আরেক আসামি ফারুক খান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।
চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কমিশনারকে হাজিরের নির্দেশগণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলামকে ৩০ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে আছেন সাইফুল ইসলাম।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ব যবহ র কর ম নবত ব র ধ য ক ত তর ক হ জ র কর অপর ধ র ল ইসল ম উদ ধ র আস ম র হয় ছ ল গতক ল আইজ প
এছাড়াও পড়ুন:
চাকসু: ভিপি, জিএস, এজিএসে ৮ কেন্দ্রে এগিয়ে যারা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে আটটি কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ অনানুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বেশিরভাগ কেন্দ্রে শীর্ষ তিন পদের মধ্যে দুটিতে ইসলামী ছাত্রশিবি এবং একটিতে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। তবে এই তিন পদে আট কেন্দ্রেই শিবির-ছাত্রদলের প্রার্থীদের লড়াই বেশ চোখে পড়ার মতো; অবশ্য বামপন্থিরা লড়াইয়ে আসতেই পারেননি।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয় সন্ধ্যার পর। ভোটার সংখ্যা কম-বেশি থাকায় কোনো কেন্দ্রে আগে, কোনো কেন্দ্রে দেরিতে ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। রাত ২টায় পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আটটি কেন্দ্রের ফলাফল হলো এমন:
আরো পড়ুন:
চাকসু নির্বাচন: পাঁচ হলের ভিপি-জিএস হলেন যারা
প্রাণ ফিরে পেতে যাচ্ছে রাকসু, রাত পোহালেই ভোট
আলাওল হল কেন্দ্র
চাকসুর ভোটে এই কেন্দ্রে ভিপি পদে শিবিরের ইব্রাহিম রনি ৩৯৩টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সাজ্জাদ হৃদয় পেয়েছেন ২৫১টি ভোট।
জিএস পদে শিবিরের সাঈদ বিন হাবিব ৩৯৩টি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন; আর ছাত্রদলের শাফায়াত ২০০টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
এজিএস পদে ছাত্রদলের তৌফিক ৪৭১টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন, যেখানে শিবিরের সাজ্জাদ মুন্না পেয়েছেন ২২৫টি ভোট।
বিজয় ২৪ হল কেন্দ্র (ছাত্রী হল)
এই হলে ভিপি পদে শিবিরের রনি ৬৪৪টি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন, যেখানে ছাত্রদলের সাজ্জাদ ২২৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
জিএস পদে শিবিরের সাঈব হাবিব ৬৮৯টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ছাত্রদলের শাফায়াত, তার প্রাপ্ত ভোট ১৬৪টি।
এজিএস পদে ছাত্রদলের তৌফিক ৫৬৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। শিবিরের মুন্না
৩৫১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
এফ রহমান হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৩৮১টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন, যেখানে হৃদয় (ছাত্রদল) ২২৬ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৩৫১ ও শাফায়াত (ছাত্রদল) ২২০টি ভোট পেয়েছেন।
এজিএস পদে তৌফিক (দল) ৪৪২টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন এবং মুন্না (শিবির) ২৩১ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
শাহজালাল হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৭৭৯ ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন; আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সাজ্জাদ হৃদয় (ছাত্রদল) ৪৮১ ভোট পেয়েছেন।
জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৭৮০ পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; শাফায়াত (দল) ২৮৫টি দ্বিতীয় হয়েছেন।
শাহজালাল হল কেন্দ্রে শিবিরের সাজ্জাদ মুন্না ছাত্রদলের তৌফিকের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এই হলে মুন্না মুন্না (শিবির) ৭৮৩টি এবং তৌফিক (দল) ৫৮৯টি ভোট পেয়েছেন।
শিল্পী আব্দুর রশিদ চৌধুরী হোস্টেল কেন্দ্র
এখানে ভিপি পদে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ৩৪টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ২৭ ভোট নিয়ে শিবিরের রনি দ্বিতীয় এবং ২৬টি ভোট নিয়ে বামের ধ্রুব বড়ুয়া তৃতীয় হয়েছেন।
জিএস পদে সুদর্শন চাকমা (বাম) ২৯টি ভোট নিয়ে এগিয়ে আছেন। এখানে সাঈদ (শিবির) ২৮টি এবং শাফায়েত (ছাত্রদল) ১৪টি ভোট পেয়েছেন।
এজিএস পদে ছাত্রদলের তৌফিক ৩৮টি এবং শিবিরের মুন্না ১১টি ভোট পেয়েছেন।
অতীশ দীপংকর হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ২২৩টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ধ্রুব বড়ুয়া (বৈচিত্র্যের ঐক্য) ও ইব্রাহিম রনি (শিবির) উভয়েই ৯০টি করে ভোট পেয়েছেন।
জিএস পদে শাফায়েত (ছাত্রদল) ১৬৪টি ভোট নিয়ে এখানে এগিয়ে রয়েছেন। সুদর্শন চাকমা (বামজোট) ১৩১টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় এবং সাঈদ (শিবির) ৮৩টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) পেয়েছেন ২৬৬টি। যেখানে পলাশ দে (বিনির্মাণ শিক্ষার্থী জোট) ৬২টি এবং মুন্না (শিবির) ৪৫টি ভোট পেয়েছেন।
এই হলে ৬০ শতাংশ অমুসলিম শিক্ষার্থী থাকেন।
সোহরাওয়ার্দী হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ১ হাজার ৪৮৮টি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এখানে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) পেয়েছেন ৬৮০টি ভোট।
জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ১ হাজার ৪০৪টি ভোট নিয়ে ব্যাপক ব্যবধানে পেছনে ফেলেছেন ৪৫৮টি ভোট পাওয়া শাফায়েতকে।
এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৯৬৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; যেখানে
৯০৬ নিয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েছেন মুন্না (শিবির)।
শহীদ আব্দুর রব হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৬৪৯ ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন; যেখানে হৃদয় (ছাত্রদল) পেয়েছেন ২৮২টি ভোট।
জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৬৩৬টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। আর ছাত্রদলের শাফায়েত পেয়েছেন ১৫৭টি ভোট।
এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৫৪০ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; শিবিরের মুন্না পেয়েছেন ৩৬৩টি ভোট।
ঢাকা/মিজান/রাসেল