ঝালকাঠির রাজপুরের বিষখালী নদীতে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ফলে উপজেলার মঠবাড়িয়া ইউনিয়নের মানকি-সুন্দর গ্রামের বসতভিটা ও কৃষিজমি বিলীন হচ্ছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, ভাঙন রোধে কার্যকর কোনো উদ্যেগ নেয়নি প্রশাসন।
স্থানীয় বাসিন্দা হৃদয়, সোহাগ ও সজল জানান, গ্রামটি আজ প্রায় বিলুপ্ত। নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, ফসলের জমি, বিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা। এখন মাত্র একটি বাড়ি টিকে আছে, সেটিই গ্রামের অস্তিত্বের শেষ চিহ্ন। এই উপজেলার নাপিতেরহাট ফকিরবাড়ি এলাকার বহু মানুষ নদী ভাঙনের কারণে বসতভিটা হারিয়ে গৃহহীন হয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ফুঁসছে তিস্তা, লালমনিরহাটে রেড অ্যালার্ট জারি
কুড়িগ্রামে ১৭০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত
খালেক হাওলাদার নামে ক্ষতিগ্রস্ত এক বাসিন্দা জানান, নদী ভাঙনের কারণে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়ের বাড়িতে। জীবিকার অনিশ্চয়তায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও কৃষিজীবীরা।
ইয়াসিন মোল্লা নামে অপর ব্যক্তি জানান, খরস্রোতা বিষখালী নদীর ভাটির টানে প্রতিদিন ভাঙাছে নতুন নতুন এলাকা। গত কয়েকদিন ধরে মানকি-সুন্দর ও বাদুরতলা এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদী তীরের মানুষ আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন।
মানকি-সুন্দর গ্রামের ইকবাল হোসেন নয়ন জানান, মানকি লঞ্চঘাট রাস্তার পূর্ব পাশ ভাঙন দেখা দিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন থামানো না গেলে পুরো রাস্তা ও ঘাট বিলীন হয়ে যাবে।
শিপন খলিফা জানান, নদীর তীরের মাটি ইট ভাটায় কেটে নিয়ে যাওয়ায় নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মাটি কাটা বন্ধ করতে প্রশাসনের নজর দারি জরুরি।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, “ভাঙন-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে শিগগিরই সরকারের কাছে চাহিদা পাঠাব। যতদ্রুত সম্ভব জিও ব্যাগ বা বাঁধ পুনরায় নির্মাণসহ ভাঙন রোধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।”
তিনি বলেন, “স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য অনেক আগেই প্ল্যান পাঠিয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।”
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আরা মৌরি বলেন, “খোঁজ নিয়ে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নদীর তীর থেকে মাটি কাটার বিষয়েও আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ঢাকা/অলোক/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিষখালীতে হঠাৎ ভাঙন
ঝালকাঠির রাজপুরের বিষখালী নদীতে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ফলে উপজেলার মঠবাড়িয়া ইউনিয়নের মানকি-সুন্দর গ্রামের বসতভিটা ও কৃষিজমি বিলীন হচ্ছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, ভাঙন রোধে কার্যকর কোনো উদ্যেগ নেয়নি প্রশাসন।
স্থানীয় বাসিন্দা হৃদয়, সোহাগ ও সজল জানান, গ্রামটি আজ প্রায় বিলুপ্ত। নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, ফসলের জমি, বিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা। এখন মাত্র একটি বাড়ি টিকে আছে, সেটিই গ্রামের অস্তিত্বের শেষ চিহ্ন। এই উপজেলার নাপিতেরহাট ফকিরবাড়ি এলাকার বহু মানুষ নদী ভাঙনের কারণে বসতভিটা হারিয়ে গৃহহীন হয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ফুঁসছে তিস্তা, লালমনিরহাটে রেড অ্যালার্ট জারি
কুড়িগ্রামে ১৭০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত
খালেক হাওলাদার নামে ক্ষতিগ্রস্ত এক বাসিন্দা জানান, নদী ভাঙনের কারণে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়ের বাড়িতে। জীবিকার অনিশ্চয়তায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও কৃষিজীবীরা।
ইয়াসিন মোল্লা নামে অপর ব্যক্তি জানান, খরস্রোতা বিষখালী নদীর ভাটির টানে প্রতিদিন ভাঙাছে নতুন নতুন এলাকা। গত কয়েকদিন ধরে মানকি-সুন্দর ও বাদুরতলা এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদী তীরের মানুষ আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন।
মানকি-সুন্দর গ্রামের ইকবাল হোসেন নয়ন জানান, মানকি লঞ্চঘাট রাস্তার পূর্ব পাশ ভাঙন দেখা দিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন থামানো না গেলে পুরো রাস্তা ও ঘাট বিলীন হয়ে যাবে।
শিপন খলিফা জানান, নদীর তীরের মাটি ইট ভাটায় কেটে নিয়ে যাওয়ায় নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মাটি কাটা বন্ধ করতে প্রশাসনের নজর দারি জরুরি।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, “ভাঙন-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে শিগগিরই সরকারের কাছে চাহিদা পাঠাব। যতদ্রুত সম্ভব জিও ব্যাগ বা বাঁধ পুনরায় নির্মাণসহ ভাঙন রোধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।”
তিনি বলেন, “স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য অনেক আগেই প্ল্যান পাঠিয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।”
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আরা মৌরি বলেন, “খোঁজ নিয়ে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নদীর তীর থেকে মাটি কাটার বিষয়েও আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ঢাকা/অলোক/মাসুদ