বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে ৬ মিনিট পর্যন্ত অন্ধকারে ডুবে থাকবে বিভিন্ন অঞ্চল
Published: 1st, December 2025 GMT
২০২৭ সালের ২ আগস্ট বিরল ধরনের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সূর্যগ্রহণের সময় ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অঞ্চল ৬ মিনিট পর্যন্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা শতাব্দীর ইতিহাসে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ। ইউরোপের বেশির ভাগ অংশ, পশ্চিম এশিয়া ও পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আংশিকভাবে এ সূর্যগ্রহণ দেখা গেলেও যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার বেশির ভাগ দেশ থেকে দেখা যাবে না।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণটি পূর্ব আটলান্টিকে শুরু হবে। এরপর উত্তর আফ্রিকার মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া ও মিসর অতিক্রম করে মধ্যপ্রাচ্য ও ভূমধ্যসাগরের কিছু অংশের ওপর দিয়ে সরে যাবে। মিসরের লাক্সর ও আসওয়ানের মতো শহরে পূর্ণগ্রাসের সময়কাল সবচেয়ে দীর্ঘ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য কয়েক মিনিটের জন্য দেখা না যাওয়ায় আকাশের উজ্জ্বলতা লক্ষণীয়ভাবে ম্লান হয়ে যাবে। তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে সূর্যের করোনা অন্ধকার ডিস্কের চারপাশে মৃদুভাবে জ্বলবে। ইউরোপের বেশির ভাগ অংশ, পশ্চিম এশিয়া ও পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যকে কামড়ানো আপেলের মতো মনে হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ এশিয়ার বেশির ভাগ দেশ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না।
যখন সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ সরাসরি চলে আসে, তখন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ঘটে থাকে। তখন দিনের আলো মুহূর্তের জন্য ম্লান হয়ে যায়। মনে হয় পৃথিবী একটি কৃত্রিম সূর্যাস্তে প্রবেশ করেছে। তখন বাতাসের ধরন সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। বিভিন্ন প্রাণী কখনো কখনো এমন আচরণ করে যেন রাত তাড়াতাড়ি এসে গেছে। পাখিরা শান্ত হয়ে যায়।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের তর্ক হওয়া দরকার: কাজল
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ৩৩ বছর ধরে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেও পরিবার ও সন্তানদের প্রতিও মনোযোগী কাজল।
কয়েক দিন আগে মারাঠি ভাষার ‘উত্তর’ সিনেমার ট্রেইলার লঞ্চিং অনুষ্ঠানে মা তনুজাকে নিয়ে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এই অভিনেত্রী। ডিজিটাল যুগে বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের গল্প এই সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে। বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের তর্ক করা কেন জরুরি তা-ও এই অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন কাজল।
আরো পড়ুন:
জয়া চান না তার নাতনি বিয়ে করুক
দীপিকার বোনের বিয়ের ঘটক রণবীর!
সন্তানদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন, তা জানতে চাইলে কাজল বলেন, “ভাগ্য ভালো আমার মেয়ে এখানে নেই; থাকলে সে এই প্রশ্নের উত্তরেও আমার সঙ্গে তর্ক করত। এটা ষোলআনা সত্যি। বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের তর্ক হওয়া দরকার। যদি আমরা ঝগড়া করি, তার মানে আমরা এমন একটি মন গড়েছি, যা আমাদের সঙ্গে তর্ক করতে পারে এবং নিজের মতামত রাখতে পারে। তাই আমরা আমাদের সন্তানদের নিজেদের মতো করে ভাবতে শিখিয়েছি। তারা যখন আমার সঙ্গে তর্ক করে, আমি তখন তার প্রশংসা করি।”
প্রবীণ অভিনেত্রী তনুজাও এই আলোচনায় যোগ দেন। বরেণ্য এই অভিনেত্রী বলেন, “কাজল ছোটবেলায় আমার সঙ্গে অনেক তর্ক করত।” এ কথা শুনেই হাসতে হাসতে কাজল বলেন, “মা, আমি তো কখনো তোমার সঙ্গে তর্ক করিনি।” পাল্টা জবাবে তনুজা বলেন, “তুমি সব সময়ই তর্ক করেছ।”
১৯৯২ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটে অভিনেত্রী কাজলের। তখন তার বয়স মাত্র সতেরো। ১৯৯৯ সালে কাজল যখন অভিনয় ক্যারিয়ারের শীর্ষে, তখন অজয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কাজলের বিয়ের সিদ্ধান্তে অনেকে তখন অবাক হয়েছিলেন। এমনকি অজয়-কাজলের বিয়ে হোক এটিও নাকি তখন কেউ কেউ চাননি। ২০০৩ সালের ২০ এপ্রিল এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে কন্যা নিসা। ২০১০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় পুত্র যুগের।
গুন্ডারাজ (১৯৯৫), ইশক (১৯৯৫), পেয়ার তো হোনা হি থা (১৯৯৮), দিল কিয়া কারে (১৯৯৯), রাজু চাচা (২০০০), ইউ মি অর হাম (২০০৮), তুনপুর কা সুপারহিরো (২০১০) ইত্যাদি সিনেমায় জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেছেন অজয়-কাজল।
তথ্যসূত্র: টাইমস নাউ
ঢাকা/শান্ত