বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ও রংপুর-৩ (সদর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী সামসুজ্জামান সামু বলেছেন, “বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ মহল আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিশেষ করে মনোনয়ন পাওয়ার পর বিভিন্ন ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে।”

রবিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর চেম্বার অব কমার্স মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

একটি দল বেহেস্তের টিকিট দেখিয়ে ভোট চাচ্ছে: আমান উল্লাহ

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

সামসুজ্জামান সামু বলেন, “তারা অপপ্রচার করছে, আমি নাকি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ভারতে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছি। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সম্পূর্ণ অসত্য। বিষয়টি স্পষ্ট ও পরিষ্কারভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরতেই আজকের এই মতবিনিময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই অপপ্রচারের সঙ্গে বিএনপির কেউ জড়িত নয়। যারা এ সব করছে, তারা বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইছে। ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় এসব অপপ্রচার।”

সামু বলেন, “আমি রংপুরে ৫০ বছর ধরে বসবাস করছি। রংপুরের মানুষ, আমার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, ব্যবসায়ী সবাই জানে আমি কী করি? আমি যদি নিজেকে খুব সৎ বলি বা খুব খারাপ বলি, কেউ তা সরাসরি বিশ্বাস করবে না। মানুষ আমার কাজ, আচরণ ও চরিত্র দেখে আমাকে বিচার করবে।”

তিনি বলেন, “আমি কোনো ভীতু বা দুর্বল মানুষ নই। দলের কারো ভিন্নমত থাকতেই পারে, তা ভালোও হতে পারে, খারাপও হতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি, দলের কেউ আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না, যদি না তা দল ও নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যায়।”

সামু বলেন, ‘‘দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর রংপুর-৩ আসনের যে সকল মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, তাদের সবার সঙ্গে আমি দেখা করেছি। সবাই একসঙ্গে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, তারেক রহমানের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে রংপুর-৩ আসনের সকল নেতাকর্মী ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হবে।’’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর-৩ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সুলতান আলম বুলবুল, জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, মহানগর বিএনপির সদস্য সাবেক কাউন্সিলর মকবুল হোসেন, শাহিনুল ইসলাম শাহীন, ইঞ্জিনিয়ার আশিকুর রহমান তুহিনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। 

ঢাকা/আমিরুল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব শ ব স কর ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবিতে রেললাইনে বিক্ষোভ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে পরিবর্তনের দাবিতে রেললাইনের ওপর বিক্ষোভ করেছে নেতা–কর্মীদের একাংশ। নাচোল রেলস্টেশনের সামনে আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ–২ আসনটি গোমস্তাপুর-নাচোল-ভোলাহাট নিয়ে গঠিত। এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সংরক্ষিত আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আসিফা আশরাফী (পাপিয়া), জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম (তুহিন), জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদা আফরোজ হক, প্রকৌশলী এমদাদুল হক ও রতনপুর পৌর মেয়র তারিক আহমেদ। কিন্তু বিএনপি প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্যবিষয়ক সহসম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলামকে। এতে অন্যরা নাখোশ। তাঁরা আমিনুল ইসলামের দলীয় মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নাচোল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের নেতৃত্বে সকালে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আমিনুল ইসলাম–বিরোধী নেতা–কর্মীরা জড়ো হয়ে রেললাইনের ওপর বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং আমিনুল ইসলামের প্রার্থিতা বদলের দাবি জানান। এ সময় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা রহনপুরগামী কমিউটার ট্রেনটি কিছুক্ষণ প্ল্যাটফর্মের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে এবং পরে ছেড়ে যায় স্টেশন থেকে।

আবু তাহের প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদকে বৈধতা দেওয়া, আন্দোলনের কোনো কর্মসূচিতে না থাকা, ২০২১ সালে পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখাসহ এলাকায় না থাকার অভিযোগ রয়েছে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ কারণে তাঁর প্রার্থিতা বদলের দাবিতে রেললাইনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

অন্যদিকে কর্মসূচি শেষ করে বিক্ষোভকারীরা চলে যাওয়ার পর আমিনুল ইসলামের সমর্থকেরা স্টেশন এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে প্রতিপক্ষের বিক্ষোভ মিছিল প্রসঙ্গে আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এসব কর্মসূচিকে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছি না। আমি আমার মতো করে কাজ করে যাচ্ছি। তাঁদের (বিরোধীদের) সম্পর্কে আমি কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে চাই না।’

রেললাইনে বিক্ষোভ মিছিল প্রসঙ্গে নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা–কর্মীদের জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রেললাইনে থাকা সবাইকে সরিয়ে দেয়। ফলে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ