হাওরের সব তাজা মাছ, বিক্রি হতে দুই ঘণ্টাও লাগে না
Published: 1st, December 2025 GMT
সকালটা তখনো মৃদু লালচে আলোয় রঙিন। সারা রাত যাঁরা হাওর-নদীতে মাছ ধরেছেন, তাঁরা এখন হাতে নানা আকারের খালুই ঝুলিয়ে বা কাঁধে মাছের ভার নিয়ে হাটের দিকে ছুটে চলেছেন। সকালের এই রঙিন আলো যেমন দ্রুত বদলায়, হাটও চোখের পলকে ফুরিয়ে যায়।
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের কাউয়াদীঘি হাওর ও কুশিয়ারা নদীর তীরে হাওর-নদীর মাছ নিয়ে সকালবেলা দুই ঘণ্টার হাট বসে। ওয়াপদা-কাশিমপুর হাটের বয়স প্রায় অর্ধশত বছর, তবে প্রতিদিন সকালবেলা মাছের এই হাট বসছে ২০-২২ বছর ধরে।
প্রতিদিন সকালে লাখ টাকার মাছ কেনাবেচা হয় এই হাটে। এখানে শুধু কাউয়াদীঘি হাওর ও কুশিয়ারা নদীর মাছই পাওয়া যায়। হাওর-নদীর মাছ হওয়ায় হাটের আলাদা কদর রয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা শহরসহ দূরের অনেক ক্রেতাই ভোরবেলায় এখানে মাছ কিনতে আসেন।
গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে হাটে পৌঁছে দেখা গেল, বাজার তখন অনেকটাই জমে গেছে। হাটের দুই পাশ থেকে কেউ হাতে মাছের খালুই ঝুলিয়ে, কেউ কাঁধে মাছের ডালা নিয়ে দ্রুত হাটের দিকে আসছেন। আগে এলে আগে বিক্রি করার সুযোগ, তাই তাঁদের তাড়া।
বাজারে ঢুকেই হাটের দুটি আড়তের যেকোনো একটিতে মাছ নিয়ে হাজির হচ্ছেন বিক্রেতারা। নিলামের ডাক ওঠার পর ক্রেতারা গোল হয়ে অংশ নেন। নিলামে সবচেয়ে বেশি দাম বললেই মাছটি ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিক্রেতারা টাকা গুনে অন্য কিছু কেনাকাটা করছেন বা বাড়ির পথে চলেছেন। ক্রেতা-বিক্রেতার এই মিলনমেলায় হাট জমজমাট হয়ে ওঠে।
এখানে নিজেদের খাওয়ার জন্য মাছ কিনতে আসা ক্রেতা আছেন। তবে বড় অংশ খুচরা বিক্রেতা। তাঁরা এখানে মাছ কিনে মৌলভীবাজার জেলা শহরসহ বিভিন্ন গ্রামীণ হাটে বিক্রি করেন অথবা গ্রামে গ্রামে ফেরি করে বিক্রি করেন। মাছের মধ্যে আছে কই, চ্যাং, পুঁটি, মখা (মলা), কাকিয়া, বোয়াল, গ্রাস কার্প, কার্ফু, রুই, চিংড়ি, চাঁদা, স্থানীয় পুঁটা মাছসহ আরও বেশ কিছু প্রজাতি।
আরও পড়ুনহাওরের তাজা মাছের দুই বেলার হাট০৫ আগস্ট ২০২৫বিক্রির জন্য মাছ নিয়ে দ্রুত হাটের দিকে ছুটছেন মৎস্যজীবী। গত শুক্রবার তোলা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হাওরের সব তাজা মাছ, বিক্রি হতে দুই ঘণ্টাও লাগে না
সকালটা তখনো মৃদু লালচে আলোয় রঙিন। সারা রাত যাঁরা হাওর-নদীতে মাছ ধরেছেন, তাঁরা এখন হাতে নানা আকারের খালুই ঝুলিয়ে বা কাঁধে মাছের ভার নিয়ে হাটের দিকে ছুটে চলেছেন। সকালের এই রঙিন আলো যেমন দ্রুত বদলায়, হাটও চোখের পলকে ফুরিয়ে যায়।
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের কাউয়াদীঘি হাওর ও কুশিয়ারা নদীর তীরে হাওর-নদীর মাছ নিয়ে সকালবেলা দুই ঘণ্টার হাট বসে। ওয়াপদা-কাশিমপুর হাটের বয়স প্রায় অর্ধশত বছর, তবে প্রতিদিন সকালবেলা মাছের এই হাট বসছে ২০-২২ বছর ধরে।
প্রতিদিন সকালে লাখ টাকার মাছ কেনাবেচা হয় এই হাটে। এখানে শুধু কাউয়াদীঘি হাওর ও কুশিয়ারা নদীর মাছই পাওয়া যায়। হাওর-নদীর মাছ হওয়ায় হাটের আলাদা কদর রয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা শহরসহ দূরের অনেক ক্রেতাই ভোরবেলায় এখানে মাছ কিনতে আসেন।
গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে হাটে পৌঁছে দেখা গেল, বাজার তখন অনেকটাই জমে গেছে। হাটের দুই পাশ থেকে কেউ হাতে মাছের খালুই ঝুলিয়ে, কেউ কাঁধে মাছের ডালা নিয়ে দ্রুত হাটের দিকে আসছেন। আগে এলে আগে বিক্রি করার সুযোগ, তাই তাঁদের তাড়া।
বাজারে ঢুকেই হাটের দুটি আড়তের যেকোনো একটিতে মাছ নিয়ে হাজির হচ্ছেন বিক্রেতারা। নিলামের ডাক ওঠার পর ক্রেতারা গোল হয়ে অংশ নেন। নিলামে সবচেয়ে বেশি দাম বললেই মাছটি ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিক্রেতারা টাকা গুনে অন্য কিছু কেনাকাটা করছেন বা বাড়ির পথে চলেছেন। ক্রেতা-বিক্রেতার এই মিলনমেলায় হাট জমজমাট হয়ে ওঠে।
এখানে নিজেদের খাওয়ার জন্য মাছ কিনতে আসা ক্রেতা আছেন। তবে বড় অংশ খুচরা বিক্রেতা। তাঁরা এখানে মাছ কিনে মৌলভীবাজার জেলা শহরসহ বিভিন্ন গ্রামীণ হাটে বিক্রি করেন অথবা গ্রামে গ্রামে ফেরি করে বিক্রি করেন। মাছের মধ্যে আছে কই, চ্যাং, পুঁটি, মখা (মলা), কাকিয়া, বোয়াল, গ্রাস কার্প, কার্ফু, রুই, চিংড়ি, চাঁদা, স্থানীয় পুঁটা মাছসহ আরও বেশ কিছু প্রজাতি।
আরও পড়ুনহাওরের তাজা মাছের দুই বেলার হাট০৫ আগস্ট ২০২৫বিক্রির জন্য মাছ নিয়ে দ্রুত হাটের দিকে ছুটছেন মৎস্যজীবী। গত শুক্রবার তোলা