Prothomalo:
2025-11-16@11:26:37 GMT

পাড়ার মঞ্চ থেকে বড় পর্দায় 

Published: 16th, November 2025 GMT

তখন সবে মাধ্যমিকে পড়েন। পাড়ায় একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানে নাটক পরিবেশিত হবে। এক বন্ধুর সঙ্গে সেই নাটকের মহড়া দেখতে গিয়ে তিনি নিজেও একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান। সেই থেকে শুরু। এখন ছোট পর্দা, ওটিটি আর বড় পর্দায় জনপ্রিয় অভিনেতাদের একজন তিনি।পাড়ার মঞ্চ থেকে রুপালি পর্দায় দ্যুতি ছড়ানো এই অভিনেতার নাম ইমতিয়াজ বর্ষণ। ভিন্নধর্মী চরিত্রে তাঁর সাবলীল অভিনয় মুগ্ধ করে দর্শকদের। চরিত্রের প্রয়োজনে বরাবরই নিজেকে ভেঙেছেন-গড়েছেন গুণী এই অভিনেতা। চট্টগ্রামের ছেলে ইমতিয়াজ বর্ষণের বড় পর্দায় অভিষেক হয় মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের ঊনপঞ্চাশ বাতাস ছবির মাধ্যমে। ২০২০ সালের অক্টোবরে থ্রিলার ঘরানার এই ছবি মুক্তি পায়। প্রথম ছবিতেই খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে তাঁর।ঊনপঞ্চাশ বাতাস-এর পর বড় পর্দায় আরও দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে বর্ষণের। 

সিনেমা দুটি হলো চন্দ্রাবতীর কথা ও ওরা ৭ জন। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ১৯৭১: করতলে ছিন্নমাথা, যাপিত জীবন, আগুনপাখি, এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরিসহ বেশ কটি সিনেমা। এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি নামে সিনেমাটির পরিচালক আহমেদ হাসান সানি। বর্ষণ অভিনীত এই ছবির পটভূমি গত বছরের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। তবে এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ের ইতিহাসও তুলে ধরা হবে। বর্তমানে একটি সিনেমার শুটিং চলছে ইমতিয়াজ বর্ষণের।২০১৮ সালে আইফ্লিক্সের জন্য অমিতাভ রেজা নির্মিত বন্ধু অথবা বন্দুকের গল্প-এর মাধ্যমে ইমতিয়াজ বর্ষণ ওয়েবের জন্য প্রথম অভিনয় করেন। এরপর চরকির জন্য নির্মিত মুন্সিগিরি-তে অভিনয় করেছেন তিনি। পরে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ কাইজার-এ।এরপর সাড়ে ১৬, গোলাম মামুন, কালপুরুষ, আকাসহ বেশ কিছু ওয়েব সিরিজে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। এসব ওয়েব সিরিজে কখনো গোয়েন্দা, কখনো ব্যারিস্টারসহ নানা চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে। ইমতিয়াজ বর্ষণের অভিনীত ওয়েব ফিল্মের মধ্যে রয়েছে—ত্রিভুজ, অমীমাংসিত, নিশ্বাস, অপলাপ ইত্যাদি।টেলিভিশনের জন্য নির্মিত অনেক নাটকেও অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ। করেছেন বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ ও অভিনয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত ইয়েসু ওয়েব ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২৪-এ অংশগ্রহণ করেন তিনি।প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গান শেখা না হলেও এরই মধ্যে গায়ক, সুরকার হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন বর্ষণ। তাঁর অভিনীত সিনেমা  ঊনপঞ্চাশ বাতাস-এর ‘প্রথম ঝরে পড়া শিউলিটা’ গানটি তাঁরই সুর করা, যেটি বেসবাবা সুমন গেয়েছেন। আহমেদ রাজীবের কথা ও সুরে তাসনিম আনিকার সঙ্গে যৌথ কণ্ঠে গেয়েছেন ‘মিথ্যে বলিনি’। নিজের লেখা ও সুর করা গান ‘মেঘে মেঘে’ রিলিজ করেছে তাঁর গানের দল ‘হ্যালির ধূমকেতু’। এ ছাড়া অর্থহীন ব্যান্ডের মিউজিক ভিডিও আমার এ গান-এ অভিনয় করেছেন তিনি।বিশ্বজিৎ চৌধুরীর গল্প অবলম্বনে ‘একটি খুনের বিবরণ’ শর্টফিল্মের নির্মাণ করেন মোর্শেদ হিমাদ্রি হিমু। সেখানেও অভিনয় করেন বর্ষণ। এই শর্টফিল্ম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩, ঢাকা শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২৪, নেপাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়।ইমতিয়াজ বর্ষণের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভুজপুর এলাকার আমতলী গ্রামে। 

ইমতিয়াজ বর্ষণ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বড় পর দ য় র জন য চর ত র

এছাড়াও পড়ুন:

‘তোকে গুলি করে মারব না, ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারব’

প্রকাশ্যে গুলি করে চট্টগ্রামে একের পর এক খুনের ঘটনায় উঠে আসছে তাঁর নাম। হত্যা মামলায় তাঁকে আসামিও করেছে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার। পুলিশ তাঁকে হন্য হয়ে খুঁজলেও থেমে নেই তাঁর অপরাধ। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীকে মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ‘সন্ত্রাসী’ মোহাম্মদ রায়হানের বিরুদ্ধে। ওই ব্যবসায়ীকে রায়হান বলেন, ‘তোকে গুলি করে মারব না, ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারব।’

হুমকি পাওয়া ওই ব্যবসায়ীর নাম মো. একরাম। তিনি পাথরের ব্যবসা করেন। আজ সকালে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, গতকাল রাত আটটার দিকে তাঁকে ফোন করেন সন্ত্রাসী রায়হান। পরে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো খুদে বার্তায় তাঁকে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারার হুমকি দেন।

কেন হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তা জানতে চাইলে ব্যবসায়ী একরাম বলেন, গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মলে ঘুরতে দেখে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি। এরপর সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না এবং বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ তাঁকে হুমকি দেন। ওই হুমকির ঘটনায় তিনি পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেছিলেন। এরপর মামলা তুলে নিতে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে হুমকির বিষয়ে থানায় মামলা কিংবা জিডি করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ব্যবসায়ী একরাম।

নগর ও জেলার বেশ কয়েকটি হত্যা মামলায় সন্ত্রাসী রায়হানের নাম উঠে এসেছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। —আমিনুর রশিদ, সহকারী কমিশনার (গণমাধ্যম), চট্টগ্রাম নগর পুলিশ।

একরামের স্ত্রী রুমা আক্তার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘হুমকির পর রাতে বিষয়টি পুলিশ কমিশনারকে বলার সঙ্গে সঙ্গে সোয়াত টিমসহ পুলিশের দল বাসার সামনে পাহারায় রয়েছে। ভয়ে আমার স্বামী এখন বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। বের হলে সঙ্গে পুলিশ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।’

আরও পড়ুনরাউজানে যুবদলকর্মী আলম খুনেও আলোচনায় ‘সন্ত্রাসী’ রায়হানের নাম২৬ অক্টোবর ২০২৫

বেপরোয়া ছোট সাজ্জাদকে ধরিয়ে দিতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনার পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। ছোট সাজ্জাদ ১৫ মার্চ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর তাঁর বাহিনীর দেখভাল করছেন রায়হান।

পুলিশ জানায়, হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় কারাগারে গিয়ে চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে পরিচয় হয় রায়হানের। গত বছরের ৫ আগস্টের পর দুজন কারাগার থেকে জামিনে বের হন। এরপর ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন রায়হান। সাজ্জাদ সম্প্রতি আবারও কারাগারে গেলে রায়হান তাঁর অস্ত্রভান্ডারের দেখভাল করছেন।

জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এর আগেও হুমকির বিষয়ে মামলা করেছিলেন ওই ব্যবসায়ী।’

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (গণমাধ্যম) আমিনুর রশিদ বলেন, নগর ও জেলার বেশ কয়েকটি হত্যা মামলায় সন্ত্রাসী রায়হানের নাম উঠে এসেছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।

আরও পড়ুন‘আমি রায়হান, মাথার খুলি উড়ায় ফেলব’০৮ আগস্ট ২০২৫একের পর এক খুনে রায়হানের নাম

চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী জনসংযোগে অংশ নেওয়া ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলাকে (৪৩) গুলি করে হত্যা করা হয় ৫ নভেম্বর। এর তিন দিন আগে সরোয়ারকে ফোন করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে রায়হানের বিরুদ্ধে। নিহত সরোয়ারের বাবা জানান, রায়হান সরোয়ারকে ফোন দিয়ে বলেন, ‘তোর সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে।’

এর আগে গত ২৫ অক্টোবর মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতলে গুলি করে হত্যা করা হয় যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে। এই হত্যা মামলায় রায়হানকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, রাজনৈতিক এই হত্যাকাণ্ডে রায়হান ভাড়াটে হিসেবে কাজ করেছেন। জীবিত অবস্থায় মুঠোফোনে আলমগীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে আলমগীরকেও রায়হানের নাম উল্লেখ করে শঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন‘তোর সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে’—তিন দিন আগে হুমকি পেয়েছিলেন সরোয়ার০৬ নভেম্বর ২০২৫

পুলিশ জানায়, হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় কারাগারে গিয়ে চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে পরিচয় হয় রায়হানের। গত বছরের ৫ আগস্টের পর দুজন কারাগার থেকে জামিনে বের হন। এরপর ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন রায়হান। সাজ্জাদ সম্প্রতি আবারও কারাগারে গেলে রায়হান তাঁর অস্ত্রভান্ডারের দেখভাল করছেন।

গত ২৫ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের কালুরঘাট এলাকার এক ওষুধের দোকানিকেও মুঠোফোনে হুমকি দেন রায়হান। তিনি ওই দোকানিকে বলেন, ‘আমি ঢাকাইয়া আকবর খুনের মামলার ২ নম্বর আসামি রায়হান, মাথার খুলি উড়ায় ফেলব। ...আকবর সি বিচে কীভাবে পড়ে ছিল তুই দেখছস? তুইও পড়ে থাকবি।’

চাঁদা না পেয়ে গত ১ আগস্ট চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকার এক ব্যবসায়ীকেও গুলি করার অভিযোগ ওঠে রায়হানের বিরুদ্ধে। মো. ইউনুস নামের ওই ব্যবসায়ী নদী থেকে বালু তোলার কাজে ব্যবহৃত খননযন্ত্রের ব্যবসা করেন। পুলিশ জানায়, রায়হানের নামে গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় জোড়া খুনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৫টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি হত্যা মামলা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জনস্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণাই তাঁর নেশা 
  • ইডেনে স্পিন বিষ, ১৫ উইকেটের দিনে উড়ছে ভারত
  • বিচারকের ছেলে হত্যা মামলার আসামি লিমন পাঁচ দিনের রিমান্ডে
  • বিচারকের ছেলে হত্যা: লিমন ৫ দিনের রিমান্ডে
  • বিকল্প শক্তির উত্থানে নভেম্বরের শেষে ‘জাতীয় কনভেনশন’ করবে বাম ঘরানার দলগুলো
  • ‘তোকে গুলি করে মারব না, ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারব’
  • থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%
  • বর্তমান সংবিধান মানলে পরবর্তী নির্বাচন ২০২৯ সালে: ফরহাদ মজহার
  • জুলাই হত্যা মামলায় ফেনীতে কারাগারে থাকা প্রবাসীর জামিন