প্রিন্স মাহমুদের সুরে গাইলেন তাহসান ও আতিয়া আনিসা
Published: 13th, January 2025 GMT
সুরকার ও গীতিকার প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে ‘জনম জনম’ শিরোনামে গান গেয়েছেন সংগীতশিল্পী তাহসান রহমান খান ও আতিয়া আনিসা। রোমান্টিক গানটির নির্মাতা এম রাহিমের মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘জংলি’ সিনেমায় থাকবে।
প্রিন্স মাহমুদের সুরে গাইতে পেরে গর্বিত তরুণ গায়িকা আতিয়া আনিসা। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলা সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি সুরকার প্রিন্স মাহমুদের সুরে গান গাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। তাঁর সুরের গভীরতা এবং আবেগ সব সময়ই আমার কাছে অনুপ্রেরণার উৎস। এ যাত্রায় তাঁর সুরে কণ্ঠ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে নিজেকে সত্যিই গর্বিত ও সম্মানিত বোধ করছি।’
আরও পড়ুনদেশজুড়ে তোলপাড় করবে না, কিন্তু গানটা বেঁচে থাকবে: তাহসান০৬ জানুয়ারি ২০২৫ভালোবাসা দিবসে ‘জনম জনম’ প্রকাশিত হবে। আতিয়া বলেন, ‘প্রিন্স ভাইয়ার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভীষণ দারুণ। অনেক কিছু শেখার আছে। শিখেছিও অনেক কিছু।’
গানের সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল। ঈদুল ফিতরে বড় পর্দায় মুক্তি পাবে ‘জংলি’। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ। তিনি ছাড়াও বুবলী, দীঘিসহ আরও অনেকে অভিনয় করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি মসজিদে ঢুকে ভাঙচুর ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নেশাগ্রস্ত তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী বাজার এলাকার উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর বাতকুচি গ্রামের জহুর উদ্দিনের তিন ছেলে ফরহাদ মিয়া, রুবেল মিয়া ও ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করেন। তারা ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আর আযান দেওয়া যাবে না। আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আযান হবে না।’ ইমাম এই কথার প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ভয়ভীতি দেখান। আত্মরক্ষার্থে ইমাম পালিয়ে গেলে অভিযুক্তরা মসজিদের মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়াসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।
এসময় হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া নামে দুই মুসল্লি বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন নেশাগ্রস্তরা। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, “এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং এ নিয়ে থানায় একটি লখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, “মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ