জুলাইয়ের চেতনার নামে ধান্দাবাজি দেশকে আরেকটি সংকটের মুখে ফেলেছে: নুরুল হক
Published: 19th, October 2025 GMT
জুলাইয়ের চেতনার ধান্দাবাজি-চাঁদাবাজি দেশকে আরেকটি সংকটের মুখে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবিও জানিয়েছেন তিনি। আজ রোববার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে নুরুল হক এ দাবি জানান।
ফেসবুক পোস্টে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি লেখেন, ‘এক বছরে জুলাইয়ের চেতনার নামে ভাগ-বাঁটোয়ারা আর ধান্দাবাজি-চাঁন্দাবাজি দেশটাকে আরেকটা সংকটের মুখে ফেলেছে। জানি না, এ থেকে সহজ উত্তরণের কোনো পথ আছে কি না? আফসোস হয়, রাষ্ট্র পুনর্গঠনের এত বড় সুযোগ পেয়েও কিছু করা গেল না।’
কোনো ব্যক্তি বা দলের নাম উল্লেখ না করে নুরুল হক আরও লেখেন, ‘আমি চাই এই তথাকথিত ভণ্ড চেতনাবাজ ও নব্য লুটেরাদের বিরুদ্ধে একটা গণতদন্ত কমিশন হোক। এদেরকেও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ল হক
এছাড়াও পড়ুন:
মাদক সেবনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, মহাসড়ক অবরোধ
মাদারীপুর সরকারি কলেজ মাঠে মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় ইকবাল আমিন সম্রাট (২০) নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করে বহিরাগত কয়েকজন যুবক। এ ঘটনার প্রতিবাদে তিন দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সন্ধ্যায় কলেজ গেট এলাকায় মাদারীপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর কলেজের মাঠে কয়েকজন বহিরাগত যুবক মাদক সেবন করছিল। এ সময় শিক্ষার্থী ইকবালসহ কয়েকজন প্রতিবাদ জানালে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে বুধবার বিকেলে মাঠে খেলতে গেলে ইকবালকে একা পেয়ে তারা বেদম মারধর করে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে মাদারীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার প্রতিবাদে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, সীমানা নির্ধারণ ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভে নামেন শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল হোসেন বলেন, ‘‘শিক্ষার্থীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং শান্ত থাকতে অনুরোধ জানায়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।’’
ঢাকা/বেলাল//