চলতি বছরের মাঝামাঝিতেই জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি। দলটি মনে করে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে আলোচনা হচ্ছে, সেটার উদ্দেশ্য জাতীয় নির্বাচনের সময়ক্ষেপণ করা। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চিন্তা বাদ দিয়ে জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। গতকাল সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেতারা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

এদিকে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন হবে। এতে নির্বাচনসহ সার্বিক বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরা হবে। 

সূত্র জানায়, সভা-সেমিনারের মধ্য দিয়ে এ বছরের মাঝামাঝিতেই নির্বাচনের দাবি জনগণের কাছে নিয়ে যাবে বিএনপি।  সরকার ভ্যাট এবং ট্যাক্স বাড়ানোয়  বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। নেতারা বলেন, নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনোভাবে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ানোর কারণ হয়ে দাঁড়াত না। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় পণ্যে এভাবে ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানো উচিত হয়নি।
বৈঠকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। তার স্বাস্থ্যের ক্রমাগত উন্নতি হওয়ায় শুকরিয়া আদায় করেন নেতারা।  

 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী: নির্বাচন যথাশীঘ্রই দিতে হবে

বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জে অনুষ্ঠিত সমাবেশে দলের নেতারা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয় বুধবার বেলা ১১টায় শহরের পুরাতন বাসস্টেশনে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) মিফতাহ সিদ্দিকী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং জেলা বিএনপির স্বাক্ষরকারী সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল হকসহ আরও অনেকে।  

আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। এবং যতটুকু প্রয়োজন সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে, যাতে জনগণ তাদের শক্তি পুনরায় পেতে পারে।

সকালে সমাবেশের জন্য শহর ও শহরতলি থেকে মিছিল করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুরাতন বাসস্টেশনে এসে জমায়েত হন। সমাবেশটি মূল সড়কে অনুষ্ঠিত হওয়ায় কিছুটা শৃঙ্খলা কম থাকলেও, সমাবেশের শেষ সময় পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য শুনতে থাকেন।

বক্তব্যে দ্রুত নির্বাচনের দাবি উঠলেই, সমাবেশে উপস্থিত জনতা ও বিএনপি নেতা-কর্মীরা সজীবভাবে প্রতিধ্বনি করেন। সমাবেশে যোহরের নামাজের সময় হওয়ার কারণে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন এবং মঞ্চে থাকা অনেক স্থানীয় নেতাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

আরিফুল হক চৌধুরী সমাবেশে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দলে কোনো ধরনের দুষ্কৃতিকারি যেনো ঢুকতে না পারে। বিএনপির প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করার মতো কোনো কাজ করবেন না। যারা আওয়ামী দুঃশাসনে যুক্ত ছিলো, তাদের কোনোভাবেই দলে আনা যাবে না।

তিনি জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করাসহ নানা জনদাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান ক্ষমতায় আসলে সুনামগঞ্জের সকল সেক্টরে উন্নয়ন হবে। তিনি সুনামগঞ্জবাসীর আন্দোলনের প্রতি মুগ্ধতার কথা জানান, যা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্থানীয় নাকি জাতীয় নির্বাচন আগে, কথাগুলো আসছে কেন: রিজভী
  • একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক করছে: রিজভী
  • সুপারিশ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলের  
  • গণভোটে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে হতে পারে: আলী রীয়াজ
  • অতি জরুরি সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়: জামায়াত 
  • ন্যূনতম সংস্কার কর্মসূচির একটি নকশা
  • ১৮ লাখ কোটি টাকার ঋণে ডুবিয়ে হাসিনা যেভাবে উন্নয়নের গল্প বানাতেন
  • সুনামগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী: নির্বাচন যথাশীঘ্রই দিতে হবে
  • শেখ হাসিনার গোড়া যেখানে, তসলিমা নাসরিনের গোড়াও সেখানে
  • উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বক্তব্য প্রত্যাহারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম