Samakal:
2025-09-18@04:05:55 GMT

জনম জনম ধরে...

Published: 16th, January 2025 GMT

জনম জনম ধরে...

স্বপ্নে বুনন যাওয়ায় বারণ নেই। এও সত্য যে, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করা সহজ নয়। আবার অসম্ভবও নয়। সেটি জানা আছে বলেই নিজের প্রতি বিশ্বাস ধরে রেখেছেন কণ্ঠশিল্পী আতিয়া আনিসা। কখনও সস্তা জনপ্রিয়তার স্রোতে গা ভাসাননি। বরাবরই চেয়েছেন, শ্রুতিমধুর গান গেয়ে শ্রোতার ভালোবাসা কুড়িয়ে নিতে।

প্রতিটি আয়োজনে চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিজের সেরা গায়কী তুলে ধরার। সেই সুবাদে যদি বুনে যাওয়া স্বপ্নগুলো একে একে পূরণ হয়ে যাচ্ছে তরুণ এ শিল্পীর। তাঁর কৈশোরের বাসনা, নন্দিত শিল্পী ও সংগীতায়োজক হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে গাওয়ার; যা এরই মধ্যে পূরণ হয়েছে। হাবিবের সঙ্গে গাওয়া ‘হোক বাড়াবাড়ি’ ও ‘কোন খেয়ালে’ শিরোনামে দুটি গান গেয়ে শ্রোতার মনোযোগও কাড়তে পেরেছেন।

হাবিব ছাড়াও শিল্পী ইমরানের সঙ্গে গাওয়া দ্বৈত গান ‘মেঘেরই খামে’, তাঁর ও আরেফিন রুমির ‘খুব আদরে’, আসিফ আকবরের সহশিল্পী হিসেবে গাওয়া ‘ভালোবাসি তোমাকেই’সহ আরও বেশ কিছু গান প্রশংসা কুড়িয়েছেন শ্রোতার। এ ছাড়াও সংগীতপ্রেমীর মনে ছাপ ফেলেছে ‘বেহায়া মন’, ‘আয়না বায়না’, ‘জাদুর আয়না’ ও ‘চুপিচুপি ভালোবাসি’সহ আরও কিছু একক ও দ্বৈত গান। একইভাবে প্লেব্যাকের ইচ্ছাও অপূর্ণ থাকেনি এ শিল্পীর। প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে ‘যদি একদিন’ সিনেমায় শিরোনাম গান এবং ‘চুপকথা’, ‘শাহেনশাহ’র ‘তুই আমি চল’, ‘পাপ পুণ্য’র ‘তোর সাথে পথ’, ‘পরাণ’-এর ‘চলো নিরালায়’, ‘দিন: দ্য ডে’র ‘তোকে রাখব খুব আদরে’সহ আর কিছু গান গেয়ে সাড়া ফেলেছেন শ্রোতাদের মাঝে। শুধু তাই নয়, স্বল্প সময়ের ক্যারিয়ারের প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও উঠেছে তাঁর ঝুলিতে।

২০২২ সালে ‘পায়ের ছাপ’ সিনেমায় গাওয়া ‘এই শহরের পথে পথে’ গানের জন্য পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। অবশ্য আতিয়া আনিসার ভক্তদের জন্য এ সবই পুরোনো খবর। নতুন খবর হলো, ‘জংলি’ সিনেমায় নন্দিত গীতিকবি ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে প্লেব্যাকের সুযোগ হয়েছে এ শিল্পীর। তাহসানের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া ‘জনম জনম’ শিরোনামের গানটি সংগীতায়োজন করেছেন সময়ের আরেক আলোচিত শিল্পী ও সংগীতায়োজক ইমরান মাহমুদুল। নতুন এ গানটি প্রকাশ পাবে আগামী ভালোবাসা দিবসে। এ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত আতিয়া।

তাঁর কথায়, ‘কিংবদন্তিতুল্য সুরকার প্রিন্স মাহমুদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে; যার কালজয়ী গানগুলো শুনে শুনে বেড়ে ওঠা, সেই প্রিন্স মাহমুদের সুরে প্লেব্যাকের সুযোগ পাওয়ায় আমি গর্বিত। তাঁর সুরে গাওয়ার পাশাপাশি অনেক কিছু শেখারও সুযোগ হয়েছে। ভালো লাগার আরেকটি বিষয় হলো প্রিন্স মাহমুদের ‘জনম জনম’ গানের সহশিল্পী হিসেবে তাহসান খান এবং মিউজিক অ্যারেঞ্জার হিসেবে ইমরানকে পাওয়া। এর মাধ্যমে শিল্পীজীবনের আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো। আমি চাই, এভাবেই স্বপ্ন পূরণের মধ্য দিয়ে আরও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে। তাই যতদিন গাইতে পারব, মন-প্রাণ উজাড় করে গাইব। গানে গানেই শ্রোতা হৃদয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ