Samakal:
2025-06-16@02:29:43 GMT

জনম জনম ধরে...

Published: 16th, January 2025 GMT

জনম জনম ধরে...

স্বপ্নে বুনন যাওয়ায় বারণ নেই। এও সত্য যে, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করা সহজ নয়। আবার অসম্ভবও নয়। সেটি জানা আছে বলেই নিজের প্রতি বিশ্বাস ধরে রেখেছেন কণ্ঠশিল্পী আতিয়া আনিসা। কখনও সস্তা জনপ্রিয়তার স্রোতে গা ভাসাননি। বরাবরই চেয়েছেন, শ্রুতিমধুর গান গেয়ে শ্রোতার ভালোবাসা কুড়িয়ে নিতে।

প্রতিটি আয়োজনে চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিজের সেরা গায়কী তুলে ধরার। সেই সুবাদে যদি বুনে যাওয়া স্বপ্নগুলো একে একে পূরণ হয়ে যাচ্ছে তরুণ এ শিল্পীর। তাঁর কৈশোরের বাসনা, নন্দিত শিল্পী ও সংগীতায়োজক হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে গাওয়ার; যা এরই মধ্যে পূরণ হয়েছে। হাবিবের সঙ্গে গাওয়া ‘হোক বাড়াবাড়ি’ ও ‘কোন খেয়ালে’ শিরোনামে দুটি গান গেয়ে শ্রোতার মনোযোগও কাড়তে পেরেছেন।

হাবিব ছাড়াও শিল্পী ইমরানের সঙ্গে গাওয়া দ্বৈত গান ‘মেঘেরই খামে’, তাঁর ও আরেফিন রুমির ‘খুব আদরে’, আসিফ আকবরের সহশিল্পী হিসেবে গাওয়া ‘ভালোবাসি তোমাকেই’সহ আরও বেশ কিছু গান প্রশংসা কুড়িয়েছেন শ্রোতার। এ ছাড়াও সংগীতপ্রেমীর মনে ছাপ ফেলেছে ‘বেহায়া মন’, ‘আয়না বায়না’, ‘জাদুর আয়না’ ও ‘চুপিচুপি ভালোবাসি’সহ আরও কিছু একক ও দ্বৈত গান। একইভাবে প্লেব্যাকের ইচ্ছাও অপূর্ণ থাকেনি এ শিল্পীর। প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে ‘যদি একদিন’ সিনেমায় শিরোনাম গান এবং ‘চুপকথা’, ‘শাহেনশাহ’র ‘তুই আমি চল’, ‘পাপ পুণ্য’র ‘তোর সাথে পথ’, ‘পরাণ’-এর ‘চলো নিরালায়’, ‘দিন: দ্য ডে’র ‘তোকে রাখব খুব আদরে’সহ আর কিছু গান গেয়ে সাড়া ফেলেছেন শ্রোতাদের মাঝে। শুধু তাই নয়, স্বল্প সময়ের ক্যারিয়ারের প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও উঠেছে তাঁর ঝুলিতে।

২০২২ সালে ‘পায়ের ছাপ’ সিনেমায় গাওয়া ‘এই শহরের পথে পথে’ গানের জন্য পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। অবশ্য আতিয়া আনিসার ভক্তদের জন্য এ সবই পুরোনো খবর। নতুন খবর হলো, ‘জংলি’ সিনেমায় নন্দিত গীতিকবি ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে প্লেব্যাকের সুযোগ হয়েছে এ শিল্পীর। তাহসানের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া ‘জনম জনম’ শিরোনামের গানটি সংগীতায়োজন করেছেন সময়ের আরেক আলোচিত শিল্পী ও সংগীতায়োজক ইমরান মাহমুদুল। নতুন এ গানটি প্রকাশ পাবে আগামী ভালোবাসা দিবসে। এ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত আতিয়া।

তাঁর কথায়, ‘কিংবদন্তিতুল্য সুরকার প্রিন্স মাহমুদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে; যার কালজয়ী গানগুলো শুনে শুনে বেড়ে ওঠা, সেই প্রিন্স মাহমুদের সুরে প্লেব্যাকের সুযোগ পাওয়ায় আমি গর্বিত। তাঁর সুরে গাওয়ার পাশাপাশি অনেক কিছু শেখারও সুযোগ হয়েছে। ভালো লাগার আরেকটি বিষয় হলো প্রিন্স মাহমুদের ‘জনম জনম’ গানের সহশিল্পী হিসেবে তাহসান খান এবং মিউজিক অ্যারেঞ্জার হিসেবে ইমরানকে পাওয়া। এর মাধ্যমে শিল্পীজীবনের আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো। আমি চাই, এভাবেই স্বপ্ন পূরণের মধ্য দিয়ে আরও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে। তাই যতদিন গাইতে পারব, মন-প্রাণ উজাড় করে গাইব। গানে গানেই শ্রোতা হৃদয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে নতুন করে শুরু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

আজ সোমবার সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।

সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।

সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’

তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ