নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র ফেডারেশনের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
Published: 19th, January 2025 GMT
কেন্দ্রীয় সভাপতির উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র ফেডারেশন এর কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন এর জেলা কার্যালয়ে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জুলাই গণহত্যার বিচার, শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা, আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবি শুধুমাত্র একটি দাবিই নয় এটি সমাজে ন্যায়বিচার ও ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ছাত্র সমাবেশ ও র্যালি সফল করার লক্ষ্যে এ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফারহানা মানিক মুনার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা মশিউর রহমান খান রিচার্ড। সভার শুরতে লড়াই সংগ্রামের সকল শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
মশিউর রহমান খান রিচার্ড বলেন, এ আন্দোলন বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ তৈরীর প্রথম ধাক্কা। এ ধাক্কায় যাদের জীবন গেছে,যারা এখনো মৃত্যুর সাথে লড়ছে তাদের সুচিকিৎসা এবং পুনর্বাসন নিশ্চিত না হলে এ আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে রুপ নেবে না।
জুলাই গণহত্যার বিচার, শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা,আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবি শুধুমাত্র একটি দাবিই নয় বরং এটি সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে। এই দাবি বাস্তবায়নে ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি গড়ে তোলার জন্য এবং ৩১ জানুয়ারির ছাত্র সমাবেশ ও র্যালী সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা বলেন, আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন করে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি। এই আন্দোলনে যাদের আত্মত্যাগের ফলে এই অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে এবং ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদীর পতন ঘটেছে, আমাদের উচিৎ সেসকল আত্মত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন করা।
নতুবা, এই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন কখনোই সম্ভব না! আমরা দেখবো অভ্যুত্থানের পর ৫ মাস অতিক্রম হয়ে গেলেও এখনো এই আন্দোলনের সকল শহীদ এবং আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশিত হয়নি! শহীদ পরিবারকে এখনো নানান দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে।
আমরা দেখবো শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে আমরা অঞ্চলগুলোতে যেই স্মৃতিস্মারক নির্মান করার কথা বলে আসছি তার কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না! আমরা আরো জোড় দাবি জানিয়ে আসছি আহতদের সুচিকিৎসা এবং পূণর্বাসন নিশ্চিত করার। এবং আন্দোলনে গণহত্যার সাথে জড়িত সকল সরকারী, প্রশাসনিক ব্যক্তিসহ সকল দোষীদের যথাযথ বিচারের আওতায় আনা।
আমরা দেখবো, এই ৫ মাসেও এই দাবীগুলোর কোনো যথাযথ দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না! অতএব, আমরা বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন থেকে ৩১ জানুয়ারীর মহা ছাত্রসমাবেশের মধ্য দিয়ে এই বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে স্পষ্টভাবে হুশিয়ার করতে চাই।
আমরা বলতে চাই, অভ্যুত্থানের পক্ষের সরকার হিসেবে তাদের প্রধান কাজগুলো এগুলোই হওয়ার কথা ছিলো যা বাস্তবায়নে তারা এখনো অবদি অক্ষম হয়েছে। ফলে দ্রুততম সময়ে যদি তারা এসকল কাজের বাস্তবায়ন করতে না পারে তাহলে তারাও অভ্যুত্থানের বিপক্ষের শক্তি হিসেবে নিজেদেরকে দেশের মানুষের সামনে উপস্থাপন করবে।
ফলে আগামী ৩১ তারিখের এই ছাত্রসমাবেশ অভ্যুত্থানের পক্ষের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারন সম্পাদক সৃজয় সাহার সঞ্চালনায় কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি সৌরভ সেন,সহ সাধারণ সম্পাদক ইউশা ইসলাম,সাংগঠনিক সম্পাদক মৌমিতা নুর, অর্থ সম্পাদক শাহিন মৃধা, রাজনৈতিক শিক্ষা বিষক সম্পাদক মুক্ত শেখ,কার্যকরি সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস নিসা। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ কলেজ শাখার সদস্য সচিব আবিদ রহমান, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল আহাদ,সদস্য ইসরাত জাহান মীম,তাহমিদ আনোয়ার, জয়ন্ত সরকার, তোলরাম কলেজের সংগঠক রাইসা ইসলাম,মুন্নি আক্তার প্রত্যাশা, সিয়াম হোসেন তপু, ভোলাইল শাখার আহ্বায়ক মাহাদি হাসান,যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্নীল শোভন,সদস্য রাকিব, সরকারি কদম রসুল কলেজের সংগঠক অনামিকা চৌধুরি,আরাফ হোসাইন সহ বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল উপস থ ত আহতদ র সদস য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি কৃষকদের ফারমার্স কার্ড দিবে : সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান আমাদেরকে পাঠিয়েছে আপনার কাছে আপনাদের কি কি সমস্যা ও অভিযোগ গুলো রয়েছে সেগুলা শোনার জন্য এবং দেশ ও বিএনপিকে নিয়ে আপনাদের কি চিন্তাভাবনা সেগুলো জানার জন্য।
আগামীতে বাংলাদেশ কেমন হবে সেটা নিয়েও আপনাদের চিন্তাভাবনা কি সেই চিন্তা ভাবনাগুলো আমরা লিপিবদ্ধ করে আপনাদের এই বক্তব্যগুলো আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের কাছে উপস্থাপন করব। আজ যে সমস্যাগুলো আমরা সমাধান করতে পারি সেগুলো আমরা সমাধান করে দিব আপনাদেরকে ইনশাল্লাহ।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বন্দর উপজেলার তিনগাঁওয়েবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতে “কৃষকের উৎপাদন ও বিপনন সুরক্ষা দিয়ে কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা”নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে গ্রামের প্রান্তিক কৃষকদের নিয়ে কৃষক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, আমরা এমন একজন নেতার দল করে যার সাথে এই কৃষকদের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। আজকে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমি প্রমাণ পেলাম যে কৃষকরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে কতটুকু ভালবাসে। কৃষকরা কিন্তু আজও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ভুলতে পারে নাই। সেটা কিন্তু আজকে আপনাদের বক্তব্যের মাধ্যমে এখানে ফুটে উঠেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হলো বিএনপি আমাদের জিয়াউর রহমান সাহেবের গড়া। যেটা নেতৃত্বে রয়েছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। তারেক রহমান সাহেব কিন্তু আপনাদেরকে নিয়ে চিন্তা করে সে চিন্তার কারণেই কিন্তু আজকে আমরা আপনাদের কাছে এসেছি। আগামীতে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে আমরা মানুষের জন্য কি করব সেটার ৩১ দফা কিন্তু এখানে আছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদেরকে ফরমার্স কার্ড দেওয়া হবে। সে কার্ডটা কেমন হবে সেই কারডে কৃষকের নাম লেখা াকবে , জমির পরিমাণ, দাগ নম্বরসহ অনেক কিছু থাকবে। লোন নিতে গিয়ে এখন কৃষকদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়।
কৃষকের ঋণ দরকার হলে তথ্যের জন্য কৃষি ব্যাংক সেখানে এক্সেস করতে পারবে। কোনো দালালের দরকার হবে না। দেশের কৃষক সমাজ আজ অবহেলিত। কৃষকের ন্যায্য অধিকার আদায়ে মাঠপর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় এসময়েও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ রানা, ফারুক হোসেন, শাহিন আহমেদ, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহমেদ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিনহাজ মিঠু, সম্রাট হাসান সুজন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক দুলাল হোসেন, বন্দর থানা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শান্তসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।