জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রেসক্লাবের ১৩ বছর পূর্তি উৎসব পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এ উপলক্ষে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে কেক কাটা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এর আগে, প্রেসক্লাব কক্ষে সভাপতি ওয়াজহাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, “সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। আমি দেখেছি, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে জাবির সাংবাদিকরা অত্যধিক ক্রিয়াশীল। বিগত আন্দোলনেও তুলনামূলক বেশি ইতিবাচক ভূমিকা আমরা দেখেছি। অনেক সাংবাদিক আহতও হয়েছেন। আমাদের সাংবাদিকতা করতে হবে গঠনমূলক, ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে নয়। প্রশাসন ও সাংবাদিক প্রতিপক্ষ নয়; বরং পরিপূরক।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “আমার কার্যক্রম ও সংগ্রামে সাংবাদিকদের সহযোগিতা পাব, এ বিশ্বাস থাকার কারণেই যেকোন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস পাই। আমাদের একটাই লক্ষ্য, আমরা চাই জাবির গুণগত পরিবর্তন। এজন্য নির্মোহ সহযোগিতা সাংবাদিকদের কাছে প্রত্যাশা করি।”

তিনি বলেন, “আমরা জানি ‘ফ্রি প্রেস ইজ এ ফাউন্ডেশন অব এ সোসাইটি’। আমাদের ভুল সংশোধন করে দেওয়া বড় বন্ধুত্বের পরিচয় বহন করে। সেজন্য আমাদের যেকোন ভুল হলে সাংবাদিকরা সেগুলো তুলে ধরে আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশা করছি।”

সাধারণ সম্পাদক তানভীর ইবনে মোবারকের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.

আবদুর রব, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সস্য সাবেক সভাপতি মোসাদ্দেকুর রহমান, সেক্রেটারি নোমান বিন হারুন ও সহ-সভাপতি আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা, সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান, যুগ্ম সম্পাদক রাহাত চৌধুরি প্রমুখ।
আহসান

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’

‘উৎসব’ দেখে মন ভরে গেছে। বাংলাদেশের সিনেমা দেখতে যাওয়া, বয়স হওয়ার পর, একটা বিড়ম্বনা। একটা কারণ, সিনেমা হলের বের হওয়ার দরজার মুখে ক্যামেরা দাঁড়িয়ে থাকে। বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করে, ‘কেমন দেখলেন।’ কী বলবেন? সিনেমা যাঁরা বানান, তাঁরা আমাদের ভাইবেরাদার, বোন-দুলাভাই, মামা-চাচা, ভাইপো-ভাইঝি, না হলে আমার আরেকটা নাটকের প্রডুসার, একটা চ্যানেলের মালিক, সত্য কথা বলে এই বয়সে বন্ধুহারা, ভাইহারা হতে কে চায়।

বেশির ভাগ সিনেমা শেষ পর্যন্ত দেখলে একটা উপকার হয়, নিজের ধৈর্যশক্তি বাড়ে, সহ্যক্ষমতা পোক্ত হয়! সম্পূর্ণ ভালো লেগেছে, এমন ছবি আমার তালিকায় খুব কম। একটা দুটোর নাম করি, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’, ‘মুক্তির গান’। ‘নিরন্তর’ ভালো লেগেছিল, ‘শঙ্খনাদ’ পছন্দ করেছিলাম, ‘টেলিভিশন’ কিংবা ‘স্বপ্নজাল’ দেখেও প্রশংসা করেছিলাম...এই রকম হাতে গোনা কয়েকটা ছবি। হাতে গোনা ব্যাপারটা হলো, আপনি হাতের আঙুল দিয়ে গুনতে পারবেন, অঙ্গুলিমেয়, আঙুলের দাগ ধরে ধরে গুনবেন, বিশটার বেশি হবে না। আমার মনে হয়, দুই হাতের দশটা আঙুলের চেয়ে বেশি বাংলাদেশি সিনেমার নাম আমি বলতে পারব না, যা আমার বেশ ভালো লেগেছে।

তানিম নূর পরিচালিত এবারের ঈদের ছবি ‘উৎসব’ দেখলাম ১৩ জুন ২০২৫। অপরাহ্ণ শো। দুদিন আগেই টিকিট কাটা ছিল। আমরা আটজনের একটা দল, বন্ধুবান্ধব, ছেলেমেয়েসমেত স্টার সিনেপ্লেক্সে গিয়ে হাজির। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। এত বড় লাইন, সবার হাতে টিকিট, সবাই একটা সিনেমা দেখতে দাঁড়িয়ে আছেন হাসিমুখে, কী সুন্দর একটা দৃশ্য।

উৎসব সিনেমার পোস্টার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফল উৎসব 
  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’