ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল আয়োজন করছে ‘পিঠা উৎসব’
Published: 21st, January 2025 GMT
বাংলার ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে নতুনভাবে তুলে ধরতে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি) রজত জয়ন্তী উপলক্ষে পিঠা উৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজনে সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন ও পরিচালনায় থাকবেন ডিএসইসির সভাপতি মুক্তাদির অনিক ও সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান।
এ ছাড়াও পিঠা উৎসব কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন ডিএসইসির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাহিদ হাসান। উৎসবের মূল উদ্দেশ্য বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলির সংস্কৃতিকে সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সকল সদস্যের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
উৎসবে থাকবে নানান রকমের ঐতিহ্যবাহী পিঠার প্রদর্শনী ও স্বাদের আসর। এটি শুধু খাদ্য উৎসব নয়, বরং বাংলার শিকড়কে অনুভব করার এক অনন্য সুযোগ। তবে, অনুষ্ঠানটি শুধু ডিএসইসির সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য।
ঢাকা/নাজমুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’