‘‘সার্বিকভাবে আমাদের দলের দেশি ও বিদেশি, সবারই পারিশ্রমিক হয়েছে। অন্য দলের মতো নয়। আমাদের যথেষ্ট ভালো পরিমাণে দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ দেখা যায় ৭০ শতাংশ পেয়ে গেছে, কেউ ৫০ শতাংশ পেয়েছে, কেউ আবার ৪০-৪৫ শতাংশ আছে। তবে বেশিরভাগ ক্রিকেটার ৫০ শতাংশ পেয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের বাকিটাও...’’ – কথা গুলো বলছিলেন বিপিএলের দল চিটাগং কিংসের ম‌্যানেজার লাভলুর রহমান।        

‘অন‌্য দলগুলো মতো নয়’- বলে তিনি যেসব দলের কথা বুঝিয়েছেন, সেই তালিকায় চিটাগং কিংসকেও রাখতে হচ্ছে। বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের শুরুতে দুর্বার রাজশাহীর পারিশ্রমিক না পাওয়ার ইসু‌্যটি সামনে আসে। এরপর প্রায় সব দলই পারিশ্রমিক ইসু‌্য মিটমাট করার চেষ্টা করেছে। এখানে চিটাগং কিংসকে ব‌্যতিক্রমই বলতে হবে।

দলটির এক ক্রিকেটার এখন পর্যন্ত একটি টাকাও পারিশ্রমিক পাননি। অথচ এতোদিনে পারিশ্রমিকের ৫০ শতাংশ পেয়ে যাওয়ার কথা। আরেক ক্রিকেটার দুইটি চেক পেলেও একটিও ভাঙাতে পারেননি। দুইবারই তার চেক বাউন্স হয়ে ফেরত এসেছে। এমন অভিযোগ আছে আরো ক্রিকেটারদেরও।

শুধু যে স্থানীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে চিটাগং কিংস এমন করেছে তা নয়। দলের শ্রীলঙ্কান পেসার বিনুরা ফার্নান্দো প্রতিশ্রুতি মাফিক পারিশ্রমিক না পেয়ে গতকাল মাঠেই যাননি। আজ সকালে তার শ্রীলঙ্কায় ফেরার কথা রয়েছে।

স্থানীয় ক্রিকেটার এক টাকাও পারিশ্রমিক পাননি বলে যে দাবি তুলেছেন, তা লাভলুরের কাছে জানতে চাওয়া হলে, ‘বিষয়টি জানা নেই’ বলে মন্তব‌্য করেছেন। পরবর্তীতে মুঠোফোন কেটে দেন। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।  

চিটাগং কিংসের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন অবশ‌্য ফ্রাঞ্চাইজিদের ওপর আস্থা রাখছেন, ‘‘উনারা বলেছেন বিপিএল শেষ হওয়ার আগে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পারিশ্রমিক দিয়ে দেবেন। এখন এর চেয়ে বেশি কিছু আর কি বলার থাকতে পারে। বিসিবি আমাদের পরবর্তী ঠিকানা এই তো…।’’

চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করে চিটাগং কিংসের খেলোয়াড়দের আজ ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে। দুর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়রা পারিশ্রমিক পাননি বলে অনুশীলন বয়কট করে আলোচনায় এসেছিলেন। পরবর্তীতে তারা ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক পেয়েছেন। কিছু খেলোয়াড় পেয়েছেন তারচেয়েও বেশি। চিটাগং কিংসের খেলোয়াড়রা এমন কিছু করার পরিকল্পনা না করলেও তারা ঢাকা ফিরে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা শহরের দক্ষিণ কবরস্থান পাড়ায় বাসা থেকে গুলশান আরা চমন (৬৫) নামে বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপার উপজেলার দামুদহ গ্রামের মৃত আবুক কাশেমের স্ত্রী। 

আজ সোমবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। 

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

গাজীপুরে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ, নদীতে মিলল লাশ

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, শয়ন কক্ষের মেঝে থেকে গুলশান আরা চমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘরের ভেতর থেকে দরজা লাগনো ছিল। চমন হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বাড়ির মালিকের স্ত্রী রেহেনা খাতুন বলেন, ‘‘দীর্ঘ সাত বছর বাসা ভাড়া নিয়ে চমন একাই বসবাস করছিলেন। তিন মাস আগে তিনি স্ট্রোক করলে তাকে উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে পরামর্শ দেওয়া, ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে। যেন প্রয়োজনে সাহায্য করতে যায়। কিন্তু উনি দরজা দিয়ে ঘুমাতেন।’’ 

বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে তিনি পুলিশে খবর দেন।

গুলশান আরা চমনের ছোট বোন খুশি বলেন, ‘‘গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) চমনকে সঙ্গে নিয়ে বাজার করে তাকে বাড়ি রেখে যাই। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।’’  

ঢাকা/মামুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • ডাকসুর ব্যালট পেপারে ২ ভোট নিয়ে যা বলছে নির্বাচন কমিশন
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • দক্ষিণ এশিয়ায় জেন–জি বিপ্লবের পরবর্তী নিশানা কে
  • গাজায় পাগলের মতো বোমা ফেলছে ইসরায়েল
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার