নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রলীগের পোস্টারিং এর প্রতিবাদে শহরের সক্রিয় ছাত্র সংগঠনসমূহ তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

এ সময় বিক্ষোভে যুক্ত হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র মজলিশ, ইসলামি ছাত্র শিবিরের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি তোলারাম কলেজ প্রাঙ্গন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু করে কলেজ প্রাঙ্গন, বিজয় স্তম্ভ ও বি বি রোড প্রদিক্ষন করে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে শেষ হয়। পরে সমাবেশ শুরু করেন অংশগ্রহণকারী ছাত্র সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে ছাত্র ফেডারেশন জেলা সভাপতি ছাত্রনেতা ফারহানা মানিক মুনা ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, রাতের আধারে তোলারাম কলেজ, মহিলা কলেজ জেলা পরিষদের মতো লোকারণ্য জায়গায় গণহত্যার আসামি নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পোস্টার সাটানোর যে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে তার প্রতিবাদ জানাই।

 যারা শহরকে গডফাদারের আস্তানায় পরিণত করে তোলারাম কলেজকে টর্চার সেল বানিয়ে শহরে গুলি চালিয়ে শিশু রিয়া গোপসহ অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের কোনো বিচার এখনো শুরু হয়নি। এই বিচারহীনতাই হত্যাকারীদেরকে পূনর্বাসনের সুযোগ করে দিচ্ছে। 

যা অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী। আমরা নারায়ণগঞ্জের ছাত্ররা তা মেনে নিতে পারি না। হত্যাকারীদের বিচারই হতে পারে নতুন বাংলাদেশ গঠনের হাতিয়ার। যারা হত্যাকারীদের পোস্টার সাটিয়ে তাদের পূনর্বাসন করতে চায় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের আটক করতে হবে।

জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে এই দায়িত্ব নিয়ে হবে এবং নারায়ণগঞ্জবাসীর সামনে হত্যাকারীদের দেখানো এই ঔদ্ধত্যের বিচার করে দৃষ্টান্ত হাজির করতে হবে। নিশ্চয়ই, নারায়ণগঞ্জের ছাত্র সমাজ সম্মিলিতভাবে হত্যাকারীদের প্রতিহত করবে।

ছাত্র ফেডারেশন তোলারাম কলেজ সংগঠক মুন্নী আক্তার প্রত্যাশা বলেন, 'গত পনেরো বছরে ছাত্রলীগ এমন কোনো অপরাধ নেই যা তারা করেনি। ৫ আগষ্টের পরে এখনো তাদের কোনো বিচার আমরা দেখতে পাইনি। যা তাদেরকে আজ পোস্টারিং এই দু:সাহসের যোগান দেয়।

যারা ছাত্রলীগের শেল্টার দিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে হুশিয়ারি জানিয়ে বলতে চাই, আপনারা হত্যাকারীদের পক্ষ নিয়ে নিজেরাও গণহত্যার অপরাধের সাথে যুক্ত হচ্ছেন। আমরা শিক্ষার্থীরা এমন হতে দিব না। নারায়ণগঞ্জের ছাত্ররা এই সকল অপচেষ্টা রুখে দিবে।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন  জাতীয়তাবাই ছাত্রদল নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাবেক সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজিব, তোলারাম কলেজ নেতা আতিকুজ্জামান অনু, ছাত্র মজলিশ মহানগর সভাপতি শাহনেওয়াজ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন মহানগর সেক্রেটারি আবুল হাসিম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে জাহিদ হাসান, জাভেদ হোসেনসহ অন্যান্যরা। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ত ল র ম কল জ ন র য়ণগঞ জ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে বন্দরে মহানগর বিএনপির কৃষক সভা

‎বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতে “কৃষকের উৎপাদন ও বিপনন সুরক্ষা দিয়ে কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা”বন্দর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে গ্রামের প্রান্তিক কৃষকদের নিয়ে কৃষক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‎সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বন্দর উপজেলার তিনগাঁওয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় এই সভার আয়োজন করা হয়।

‎কৃষক সভায় মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে গ্রামের প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে মাথাল, কাস্তে, গামছা উপহার হিসেবে বিতরণ করেন মহানগর বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট কৃষকদের মাঝে মাঝে বিতরণ করা হয়।

‎এসময়ে কৃষকরা কৃষক সভার মাধ্যমে কৃষকেরা তাদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যাগুলো তুলে ধরেন বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রথম কৃষকদের জন্য খাল খনন করে পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। বিগত ১৬-১৭ বছর যারা ক্ষমতায় চালিয়ে গেছে তারা আমাদের কৃষি খেতে বালু ফালিয়ে দিয়ে শ্মশান বানিয়ে দিয়ে গেছে।

এর ফলে আমাদের কৃষকের পেটে ভাত নাই। আমাদের কৃষকদের ন্যায্য যে মূল্য আমরা সেটা পাইনি। সার ও কীটনাশক সকল পণ্যের দাম ছিল আকাশ চুম্মি। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছে ভাত নাই ভাত আবার হবে যদি আমার কৃষক ঠিক থাকি। আমরা কৃষকেরা মাঠে ফসল ফলাও তার জন্য আমাদের দরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা।

‎তারা আরও বলেন, এক সময় আমাদের বন্দর রেললাইন থেকে শুরু করে লাঙ্গলবন পর্যন্ত শুধু কৃষি ক্ষেত ছিল। কারণ অবৈধ ড্রেজারের বালুর কারনে আমাদের কৃষিতে প্রায় সময় পানির নিচে থাকে। আর ইট বাটা গুলোর জন্য আমাদের ফসলের জমির আরো ক্ষতি হচ্ছে। একটি অসাধু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী প্রভাব খাটিয়ে খালগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।

আমাদের এই খাল গুলোকে আবার পূর্ণরায় উদ্ধার করে নতুন করে খনন করতে হবে। তা না হলে আমরা কৃষকেরা কিসে ফসল ফলাও আমাদের লাভ নাই। তবে আমরা আশা করছি আগামীতে যদি বিএনপি আসে তাহলে আমাদের এ কৃষকদের পাশে দাঁড়াবে এবং সার, বীজ থেকে শুরু করে কীটনাশক বিনামূল্যে বিতরণ ও তার মূল্য কৃষকের নাগালে রাখতে হবে।

‎কৃষক সভায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দেশের মাটি ও মানুষের জন্যই রাজনীতি করে গেছেন। কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নেই তাঁর সব উদ্যোগ ছিল নিবেদিত।

আর তার সুযোগ্য সন্তান ‎বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১টি দফা বাস্তবায়নে আমরা এই সভার আয়োজন করেছি। বিএনপি সরকার গঠন করলে কৃষককে বিনামূল্যে সার,বীজ,খাল খননসহ সব ধরণের সুযোগ প্রদান করা হবে। বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি গণমুখী রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।

‎এসময়েও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ রানা, ফারুক হোসেন, শাহিন আহমেদ, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহমেদ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিনহাজ মিঠু, সম্রাট হাসান সুজন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক দুলাল হোসেন, বন্দর থানা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শান্তসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে কারণে নারায়ণগঞ্জ-৪ খালি রাখলো বিএনপি
  • বিএনপি কৃষকদের ফারমার্স কার্ড দিবে : সাখাওয়াত
  • তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে বন্দরে মহানগর বিএনপির কৃষক সভা
  • শাহরুখ খান: গণহত্যার সময় বিলিয়নিয়ার হওয়ার অর্থ কী
  • সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস
  • সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন
  • জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
  • সুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন
  • সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
  • একাত্তরের গণহত্যার জন্য জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে: আলাল