অর্পিতা ছাড়াও সালমান খানের আরও এক বোন রয়েছে যার নাম শ্বেতা রোহিরা। প্রতিবছর রাখিতে ভাইজানের হাতে রাখি পরান শ্বেতা। সম্প্রতি একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তিনি। দুর্ঘটনার খবর  নিজেই জানিয়েছেন শ্বেতা।

দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেছেন শ্বেতা। সেখানে দেখা যায়, হাসপাতালের বেডে শুয়ে রয়েছেন তিনি। একটি পা পুরোপুরি ব্যান্ডেজ দিয়ে বাঁধা। মুখেও সেলোটেপ বাঁধা। একটি হাতও ভেঙে গেছে। সব মিলিয়ে তাঁর যে ভীষণ করুন অবস্থা তা বোঝাই যাচ্ছে ছবিটি দেখে।

ক্যাপশনে শ্বেতা লিখেছেন, জীবন কি অদ্ভুত তাই না? এক মুহূর্তে যখন আপনি গুনগুন করে কাল হো না হো গান গাইছেন আপনার দিনটিকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য, ঠিক তার পরবর্তী মুহূর্তে আপনার জীবন আপনাকে রোমাঞ্চিত করার জন্য একটি বাইক পাঠিয়ে দেয়।

তিনি লেখেন, আমার কোনওরকম দোষ না থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে আমি আবিষ্কার করি যে আমি হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করে উড়তে শুরু করে দিয়েছি। ঠিক যেমন বলিউডে স্লো মোশন দৃশ্যে দেখায়। তারপরেই আমি আমার নিজেকে হাসপাতালে পাই।

শ্বেতা আরও লিখেছেন, জীবন কখনও কখনও আপনাকে পরীক্ষা করার জন্য আপনাকে ভাঙতে চায়, এতে আপনি আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। ওই যে বলে না, ধ্বংস নির্মাণের পথ প্রশস্ত করে। আমি জানি এটি কেবল একটি বাজে অধ্যায়, গোটা জীবন নয়। আমি আমার বিশ্বাস হারাইনি, আমার আশা আছে এই খারাপ সময়ও কেটে যাবে।

ভাইজানের বোন লেখেন, মনে রাখবেন যখন আপনার জীবনে কঠিন সময় আসবে তখন সেই মুহূর্তের কাছে নিজেকে আত্মসমর্পণ করুন। যা ঘটছে তার প্রত্যেকটি মুহূর্তের উপর আস্থা রাখুন। জানবেন সবকিছুই অস্থায়ী, কোনও কিছুই চিরকালের জন্য নয়। আপাতত আমাকে হামটি ডামটির মতো দেখতে লাগতে পারে, কিন্তু আমি নতুন গান গুনগুন করতে করতে নিজের জীবনে ঠিক ফিরে আসব।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন র জন য ন আপন

এছাড়াও পড়ুন:

অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা

আজ শ্রাবণের ১৬ তারিখ। প্রকৃতির নিয়মে এ মাসে বৃষ্টি বেশি ঝরে। আজও ঢাকার আকাশ মেঘলা। বুধবার রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও ঝুম বৃষ্টি কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি। তবে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় ও পাহাড়ি এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রয়েছে ভূমিধসের ঝুঁকি।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অতিভারী বৃষ্টির কারণে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কিছু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়াসহ বাস, রিকশা ও সাধারণ চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদী ও সমুদ্রবন্দর এলাকায় অবস্থানরত নৌযানগুলোকে সাবধানতার সঙ্গে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সারা দেশে আজ দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

শুক্রবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

শনিবারও সারা দেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অধিকাংশ এলাকায় এবং অন্যান্য বিভাগে অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

রবিবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগে অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও হতে পারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বর্ধিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজার ৬৮ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা