শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন না’গঞ্জ মহানগর’র পথসভা ও লিফলেট বিতরণ
Published: 31st, January 2025 GMT
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর উদ্যোগে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩১শে জানুয়ারী) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতাল রোডে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমীর ডা. শফিকুর রহমান এর আগমন উপলক্ষে এ পথসভা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি আব্দুল মোমিন বলেন, ষড়যন্ত্র হচ্ছে শ্রমিকদের নিয়ে এবং এদেশ নিয়ে। তারা ভারতে বসে প্রতিহিংসা ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তাদের ছাড় দিবে না।
এই নারায়ণগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ। বিভিন্ন কারনে নারায়ণগঞ্জ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। নারায়ণগঞ্জে আর কোনে চাঁদাবাজ ও গডফাদারের স্থান হবেনা। ৩৬ জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে এই নারায়ণগঞ্জ গডফাদার মুক্ত করা হয়েছে। আবার যদি কেউ মাথাচারা দিতে চায় তাহলে তাদের উৎখ্যাত করা হবে।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি হাফেজ মোঃ আব্দুল মোমিন এর সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সহ-সভাপতি মুন্সি আব্দুল্লাহ ফয়সাল, সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম সিকদার, অর্থ সম্পাদক খোরশেদ আলম সহ মহানগর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ইকবাল হোসেন, এরশাদ খান ও থানা সভাপতি মোশারফ হোসেন সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস চালু হচ্ছে ১০ মাস পর
পুড়িয়ে ফেলার ১০ মাস পর নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম আগামী রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে। এর আগে গতকাল বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপরিচালক জামাল হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ডে অবস্থিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আবেদনকারীরা রোববার থেকে আবেদনপত্র জমা, ছবি ও বায়োমেট্রিক দিতে পারবেন।
গত বছরের ১৮ জুলাই রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন। আগুনে পুড়ে যায় বিতরণের অপেক্ষায় থাকা ৮ হাজার পাসপোর্ট। পুরো পাসপোর্ট অফিস ভবনটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। আগুন জ্বলতে থাকে ১৯ জুলাই সকাল পর্যন্ত। আগুন দেওয়ার আগে অফিসটিতে লুটপাট চালানো হয়েছিল বলে জানান পাসপোর্ট অফিসের তৎকালীন উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান। আগুনে ভবনের নিচতলা থেকে শুরু করে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় থাকা বায়ো এনরোলমেন্ট যন্ত্রপাতি, প্রশাসন শাখা, অফিস সরঞ্জাম, গুরুত্বপূর্ণ নথি, ফাইলপত্র এবং চতুর্থ তলার রেকর্ডরুম ও অতিথিশালার সবকিছুই পুড়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, বন্দর, সোনারগাঁ, ফতুল্লা ও সদর উপজেলাবাসী। মুন্সীগঞ্জ ও নরসিংদীতে গিয়ে পাসপোর্ট করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নারায়ণগঞ্জের সেবাগ্রহীতাদের।
পুড়িয়ে দেওয়ার ৬ মাস পর পাসপোর্ট অফিসটির সংস্কারকাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, আবারও পাসপোর্ট অফিসটি চালু হওয়ার সংবাদে তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।