২০২৪ সালে কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শাসনের অবসানের পর কোটা থাকবে কি না, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের উত্তীর্ণ হওয়া নিয়ে সমালোচনা ওঠায় আপাতত এ শিক্ষাবর্ষে সব কোটাধারীদের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা.

মহিউদ্দিন মাতুব্বর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির অনলাইন আবেদন ও মাইগ্রেশন সংক্রান্ত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে সরকারি মেডিকেল কলেজে সব কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের কোটার স্বপক্ষে সনদ/প্রমাণ যাচাই বাছাই চলমান রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এতে মহাপরিচালক মহোদয়ের সদয় সম্মতি রয়েছে।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক রুবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘‘কোটায় ভর্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী উপদেষ্টা পরিষদ সভার পর। উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে, এরপর সেটা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানাবে। মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য কোটায় উত্তীর্ণদের ভর্তি প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিতই রাখছি আমরা। বিষয়টি ইতোমধ্যেই উপদেষ্টা পরিষদকে অবহিত করা হয়েছে।’’

এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি এ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি সব মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। তাতে উত্তীর্ণদের মেধা তালিকার ভিত্তিতে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সময়সীমা আগামী ২-৮ ফেব্রুয়ারি। আর বেসরকারিতে ৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে গত ৩০ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত ৫ শতাংশ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আলোচনা করা হয়। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে আগামী সভায়।

গত বৃহস্পতিবার রুবিনা ইয়াসমিন জানান, মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত যে ১৯৩ জনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার কথা ছিল, তাদের মধ্যে ৪৯ জন নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আসেনি।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ড ক ল কল জ উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

কোন সালের জন্য পুরস্কার —

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

পুরস্কার মল্যমান কত —

১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।

২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ —

আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—

আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

দরকারি তথ্য—

১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।

২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।

৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।

৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।

৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।

৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।

৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।

৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।

# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনায় বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল, ভোলা সদরে কার্যক্রম স্থগিত
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হলো কেন
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
  • নোবিপ্রবিসাসের বর্ষসেরা সাংবাদিক রাইজিংবিডি ডটকমের শফিউল্লাহ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ১০০ কোটির সম্পদ, স্বামীর প্রতারণা, ৪৭ বছর বয়সেই মারা যান এই নায়িকা
  • তানজানিয়ায় ‘সহিংস’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী সামিয়া
  • শিল্পের আয়নায় অতীতের ছবি
  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা