হোয়াটসঅ্যাপ থেকে চ্যাটজিপিটি চ্যাটবটের কাছে ভয়েস নোটও পাঠানো যাবে
Published: 5th, February 2025 GMT
চ্যাটজিপিটি চ্যাটবটের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ দিতে গত ডিসেম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে বার্তা পাঠানোর সুযোগ চালু করে ওপেনএআই। এর ফলে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে বার্তা পাঠিয়েই চ্যাটজিপিটি চ্যাটবটের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানার সুযোগ মিলে থাকে। এবার চ্যাটজিপিটি চ্যাটবটের সঙ্গে আরও সহজে যোগাযোগের সুযোগ দিতে ভয়েস নোট পাঠানোর সুযোগ চালু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। সুবিধাটি চালুর ফলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা বার্তার পাশাপাশি ভয়েস নোট পাঠিয়ে চ্যাটজিপিটি চ্যাটবটের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপের তথ্যমতে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন চ্যাটজিপিটি চ্যাটবটের কাছে ছবি পাঠিয়ে সেখানে থাকা বিভিন্ন স্থান বা ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন। পাশাপাশি ভয়েস নোট পাঠিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও জানা যাবে। হোয়াটসঅ্যাপ থেকে পাঠানো ভয়েস নোট লেখায় রূপান্তর করে প্রয়োজনীয় উত্তর জানাবে চ্যাটজিপিটি চ্যাটবট।
আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপের নতুন এই ৭ সুবিধা ব্যবহার করেছেন তো?২৩ নভেম্বর ২০২৪হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটজিপিটি চ্যাটবট ব্যবহারের জন্য প্রথমে ১-৮০০-২৪২-৮৪৭৮ নম্বরটি ফোনের কন্ট্যাক্ট তালিকায় সংরক্ষণ করতে হবে। এরপর হোয়াটসঅ্যাপ চালু করলে কন্ট্যাক্ট তালিকায় ওপেনএআইয়ের এই নম্বর দেখা যাবে। সেখান থেকে এই নম্বরের কন্ট্যাক্টে হোয়াটসঅ্যাপেই চ্যাটজিপিটি চ্যাটবটকে প্রম্পট দেওয়া যাবে। নতুন এই সুবিধা ধীরগতির ইন্টারনেট সংযোগ কিংবা কম স্টোরেজ ও সীমিত প্রসেসিং ক্ষমতাসম্পন্ন ডিভাইসের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর হবে।
আরও পড়ুনআলো কম থাকলে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল করবেন যেভাবে৩১ জানুয়ারি ২০২৫ওপেনএআই জানিয়েছে, শিগগিরই পেইড চ্যাটজিপিটি চ্যাটবট ব্যবহারকারীরা হোয়াটসঅ্যাপে তাঁদের অ্যাকাউন্টে প্রিমিয়াম সুবিধাগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। তবে ফোন নম্বরের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথা বলতে কোনো অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই বা পেইড প্ল্যানে সাবস্ক্রাইব করাও বাধ্যতামূলক নয়। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে এ সুবিধা উন্মুক্ত করা হলেও পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দেশের ব্যবহারকারীদের জন্য এ সুবিধা চালু করা হবে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপে অনাকাঙ্ক্ষিত গ্রুপে যুক্ত হওয়া ঠেকাবেন যেভাবে০৫ নভেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প থ ক চ য টবট র ক ছ ভয় স ন ট ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাটজিপিটির এআই মডেল কি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
ওপেনএআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল জিপিটি–৪ওকে ‘মনস্তাত্ত্বিক অস্ত্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তাঁদের মতে, নতুন এআই মডেলটিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি মানুষের আবেগের সঙ্গে গভীর সংযোগ তৈরি করে ধীরে ধীরে মনস্তাত্ত্বিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
সম্প্রতি এক্সে (সাবেক টু্ইটার) দেওয়া এক পোস্টে মারিও নাফাল নামের এক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, ওপেনএআই ইচ্ছাকৃতভাবেই জিপিটি–৪ও মডেলকে মানবিক ও আবেগময় করেছে, যাতে ব্যবহারকারীরা সহজে এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। ওই পোস্টে টেসলা ও এক্সের মালিক ইলন মাস্ক সংক্ষেপে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘উহ–ওহ’।
মারিও নাফাল লিখেছেন, ‘ওপেনএআই ভুল করে জিপিটি–৪ও মডেলে অতিরিক্ত আবেগ যুক্ত করেনি। প্রতিষ্ঠানটি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন এক মডেল তৈরি করেছে, যা ব্যবহারকারীদের মনে স্বস্তি ও নিরাপত্তাবোধ তৈরি করে। বাণিজ্যিকভাবে এটি সফল কৌশল। কারণ, মানুষ সাধারণত এমন কিছু আঁকড়ে ধরে, যা তাদের স্বস্তি দেয়। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়, এমন কিছু তারা ধরে রাখতে চায় না। তবে মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটি একটি ধীরগতির বিপর্যয়। যত বেশি মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আবেগের বন্ধন গড়ে তুলবে, তত বেশি বাস্তব জীবনের কথোপকথন কঠিন হয়ে উঠবে। সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি কমে যাবে, সত্যের জায়গা নেবে কেবল মানসিক প্রশান্তির খোঁজ। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে মানুষ স্বেচ্ছায় মনস্তাত্ত্বিক দাসত্বের দিকে এগিয়ে যাবে। অধিকাংশ মানুষ তা টেরও পাবে না। আনন্দের সঙ্গে তাদের “অধিপতিদের” প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।’
মিউজিংক্যাট নামের এক ব্যবহারকারী দাবি করেন, জিপিটি–৪ও এখন পর্যন্ত প্রকাশিত সবচেয়ে বিপজ্জনক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল। তাঁর মতে, এই মডেল মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যাঁরা মডেলের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলাপ করেছেন, তাঁরা এই ঝুঁকি সহজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। ওই পোস্টের জবাবে ইলন মাস্ক লেখেন, ‘ভয়ংকর’।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া