তারকা বনে গেছেন ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং
Published: 5th, February 2025 GMT
গত মাসে উন্মুক্ত হওয়ার পরপরই প্রযুক্তি-দুনিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছে চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ডিপসিক চ্যাটবট। আর তাই এক মাসের মধ্যেই তারকা বনে গেছেন চ্যাটবটটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ডিপসিক’-এর প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং। এরই মধ্যে নিজের জন্মস্থান দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশে সংবর্ধনা পেয়েছেন তিনি। লুনার নিউ ইয়ার উদ্যাপনের জন্য গুয়াংডং ভ্রমণে গেলে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তাঁর নিরাপত্তার জন্যও ছিল বিশেষ ব্যবস্থা।
ওয়েনফেংয়ের শৈশব কেটেছে গুয়াংডংয়ের এক গ্রামে। স্থানীয় লোকজন জানান, তিনি ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। গণিতে দক্ষতার পাশাপাশি কমিক বই পড়তে ভালোবাসতেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘ওয়েনফেং ফুটবলও খেলতেন। আমরা একই গ্রামে বড় হয়েছি। তাঁকে নিয়ে আমরা গর্বিত।’ তবে বিশ্বজুড়ে আলোচনার শীর্ষে থাকলেও ওয়েনফেং নিজেকে আড়ালে রাখতে চান। আর তাই তিনি বরাবরই জনসমক্ষে আসার বিষয়টি এড়িয়ে চলছেন।
আরও পড়ুনচীনের ডিপসিক এআই মডেল নিয়ে কেন এত আলোচনা২৮ জানুয়ারি ২০২৫৪০ বছর বয়সী ওয়েনফেং তারকা পরিচিতির পাশাপাশি কোটিপতিও বনে গেছেন। এত দিন হাই ফ্লাইয়ার নামের প্রতিষ্ঠানের জন্য পরিচিতি পেলেও এবার নিজের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রতিষ্ঠান ডিপসিকের কারণে আয়ের পরিমাণ বেড়েছে লিয়াং ওয়েনফেংয়ের। চীনের জন্যও ডিপসিক চ্যাটবট বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসর সরবরাহে মার্কিন বিধিনিষেধের মুখে রয়েছে।
আরও পড়ুনডিপসিকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নতুন এআই মডেল আনল ওপেনএআই০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ডিপসিক চ্যাটবটের কার্যক্ষমতা এরই মধ্যে চ্যাটজিপিটি, জেমিনি ও ক্লডের মতো বিভিন্ন এআই চ্যাটবটকে পেছনে ফেলেছে। এর ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দুনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে চীন।
সূত্র: টেক ক্রাঞ্চ, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
আরও পড়ুনডিপসিক নিয়ে মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানগুলো কী ভাবছে৩০ জানুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।