গণহত্যার পরও হাসিনার কোনো অনুশোচনা নেই: ছাত্রদল সম্পাদক
Published: 6th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা ক্ষমা না চাওয়াতেই মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ৩২ নম্বরে হামলা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা কলেজে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৭৫ সালে পটপরিবর্তনের পর জিয়াউর রহমানের শাসনামল থেকে খালেদা জিয়ার জোট সরকারের সময় পর্যন্তও এই বাড়ি অক্ষত ছিল। কিন্তু জুলাই অভুত্থানে গণহত্যার চালানোর পরও শেখ হাসিনার বক্তব্যে কোনো অনুশোচনা নেই। সেই কারণে ক্ষুব্ধ একটি অংশ এই হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে দুই হাজারেরও বেশি নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে। তাদের আত্মত্যাগ তখনই পূর্ণতা পাবে যখন বিচার কার্যক্রম চলবে ও সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার হবে।
এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান যাতে তারা শেখ হাসিনার উসকানিতে পা না দেয় এবং তার নির্দেশ পালন করা থেকে বিরত থাকে।
উল্লেখ্য, কর্মসূচি পালন শেষে ছাত্রলীগের বিচারের দাবিতে কলেজ অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
সুদানের এল-ফাশের শহর ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চলছে। কৃত্রিম ভূ–উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন দাবি করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সসের (আরএসএফ) লড়াই চলছে। গত রোববার তারা এল-ফাশের দখল করে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অবরোধের পর পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটিটিও ছিনিয়ে নেয় তারা।
শহরটি পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।
এল-ফাশের থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী তাওইলা শহরে জীবিত বেঁচে ফেরা কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে এএফপির সাংবাদিক কথা বলেছেন। সেখানে গণহত্যা হয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, শহরটিতে মা-বাবার সামনেই শিশুদের গুলি করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর সময় সাধারণ মানুষকে মারধর করে তাঁদের মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে।
পাঁচ সন্তানের মা হায়াত শহর থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের একজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকা তরুণদের আসার পথেই আধা সামরিক বাহিনী থামিয়ে দেয়। আমরা জানি না, তাদের কী হয়েছে।’
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, গত শুক্রবার পাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ‘বড় ধরনের কোনো জমায়েত চোখে পড়েনি।’ এ কারণে মনে করা হচ্ছে, সেখানকার জনগণের বড় একটি অংশ হয় ‘মারা গেছে, বন্দী হয়েছে কিংবা লুকিয়ে আছে।’ সেখানে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আল-ফাশের থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। এখনো কয়েক হাজার মানুষ শহরটিতে আটকা পড়েছে। আরএসএফের সর্বশেষ হামলার আগে সেখানে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করত।
শনিবার বাহরাইনে এক সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল বলেন, সুদান একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আরএসএফ নাগরিকদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।