কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ১ মাস ৮ দিন বয়সী একটি শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি এলাকার পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটির নাম বিজয় হোসেন। সে একই এলাকার বাবু ও সোনিয়া দম্পতির ছেলে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে দৌলতপুর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিশ ও শিশুটির পরিবারের লোকজন জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিজয়কে বাড়ির বারান্দায় শুইয়ে রেখে গোসল করতে যান মা সোনিয়া খাতুন। এ সময় প্রতিবেশী সেজে একজন নারী এসে শিশুটিকে আদর করার কথা বলে নিয়ে যান। পরে আর তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বিজয়ের বাবা বাবু হোসেন জানান, ক্ষেতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন শিশুটি নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ওই শিশুকে আর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানায় জিডি করা হয়েছে।
মা সোনিয়া খাতুন বলেন, বাচ্চার গোসল ও খাওয়া শেষ করে বাড়ির বারান্দায় শুইয়ে রেখে টিউবওয়েলে গোসল করছিলাম। এ সময় প্রতিবেশী সেজে বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে বাড়ির বাইরে নিয়ে যান একজন নারী। পরে তিনি আর ফেরত আসেননি।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা জানান, চুরি হওয়া শিশুটি উদ্ধারে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। ওই শিশুর বাবা বাবু হোসেনের দুই স্ত্রী। পারিবারিক কলহের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করছেন, দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারবেন তারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ লতপ র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনীতিতে না জাড়ানোর কারণ জানালেন প্রীতি জিনতা
বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।
এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’
প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’
রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।