চ্যাম্পিয়নদের বরণ করে নিতে বরিশালে জনসমুদ্র
Published: 9th, February 2025 GMT
টানা দু’বার বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। দু’বারই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম ইকবাল। বিপিএল জুড়ে তামিম-মাহমুদউল্লাহদের সমর্থন দিতে গ্যালারি ভরা ছিল দর্শক। এমনকি বরিশাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আনন্দ উল্লাস হয়েছে রাজধানীতে। এবার বরিশালবাসীকে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ বাড়িয়ে দিতে আজ বিপিএলের শিরোপা নিয়ে বরিশালে যান তামিম ইকবালরা।
শোনা যাচ্ছিলো, লঞ্চে চড়ে বরিশাল যাবে বিপিএল ট্রফি। কিন্তু হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদলে ফেললেন বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক মিজানুর রহমান। লঞ্চে নয়, ট্রফি নিয়ে ফ্রাঞ্চাইজি দলটি নামলো বিমানে করে।
গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফ্রাঞ্চাইজিটির মালিক জানিয়েছিলেন, 'বাংলাদেশ বিমানের একটি চ্যাটার্ড ফ্লাইটে আমরা ঢাকা থেকে বরিশাল যাব দুপুরে, খাবার খাব। এরপর বেলস পার্কে (বরিশালে) একটি অনুষ্ঠান হবে। ঐখানে ব্যান্ড সংগীতও হতে পারে এবং তামিম ভাই দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা সঙ্গে শান্তরাও কিছু বক্তব্য রাখতে পারেন, ফটোসেশন হবে। তারপর আমরা ঢাকায় ফিরে আসবে।'
বরিশাল বিমানবন্দরে নামার সাথে সাথেই তামিম-মুশফিক ও মাহমুদউল্লাদের দেখে হাজারো সমর্থক উল্লাসে মেতে ওঠেন। বিমান বন্দরে ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন ফরচুন বরিশাল টিমের খেলোয়াড়রা। পরে সমর্থকরা খেলোয়াড়দের বহনকারী বরিশালের টিম বাসের সাথে বিশাল মোটরসাইকেল বহর নিয়ে নগরীতে আসেন। তারপর বরিশাল শহরের বিভিন্ন স্থানে যান। সেখানে ভক্তরা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে দেখার ও ছবি তোলার সুযোগ পেয়েছেন।
প্রিয় দলের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বরিশালবাসী। শহরের প্রাণকেন্দ্র ঐতিহাসিক বেলস পার্কে হবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে বিপিএল চ্যাম্পিয়নদের। হাজার হাজার ভক্ত-সমর্থকের ভালোবাসায় সিক্ত ফরচুন বরিশালের ক্রিকেটাররা। বলা যায় চ্যাম্পিয়নদের দেখতে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে বেলস পার্ক। বরিশাল নগরীর পুরো বেলস পার্ক মাঠ 'ফরচুন-বরিশাল' শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
ফরচুন বরিশালের সাফল্যে দারুণ উচ্ছ্বাসিত বরিশালের ক্রিকেটপ্রেমীরা। ক্রিকেট ভক্ত এসএম মিজান বলেন, বিপিএলের বেশিরভাগ ম্যাচ ঢাকায় হওয়ায় বরিশালের মাঠে সরাসরি খেলা দেখার সুযোগ হয়নি। তাই এই আয়োজন আমাদের জন্য বিশেষ কিছু।
বরিশালের সমর্থক আদিল আকন বলেন, এটা শুধু ক্রিকেট নয়, বরিশালের গর্ব। টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমরা দারুণ গর্বিত। আমরা এখন ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে হ্যাট্রিক বিজয়ে অপেক্ষায়। আর আগামী বিপিএল'র আসরে বরিশাল স্টেডিয়ামে খেলার আয়োজন করার জন্যও তিনি সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ করেছেন।
বরিশালের এ বিজয় উদযাপন শেষে মুশফিক-শান্তরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। চলতি সপ্তাহেই তারা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে দেশ ছাড়বেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল ব লস প র ক ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের ছুটিতে ৯৯৯-এ মারামারির অভিযোগ ছিল ৪ হাজার ১০২টি
১৫ হাজার ৬১৯ জন। অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন জরুরি সহায়তা দেয় পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিস। তবে এ সময় সবচেয়ে বেশি ছিল মারামারির অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে এই সংখ্যা ৪ হাজার ১০২টি।
রোববার পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, ঈদুল আজহার ছুটির মধ্যে ৫ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ৯৯৯-এ আসা কলের ভিত্তিতে জরুরি পুলিশি সহায়তা দেয় ১৩ হাজার ৮৩১ জনকে। একই সময়ে ৯৯৩ জনকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা ও ৭৯৫ জনকে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা দেওয়া হয়।
এবারের কোরবানি ঈদে দেশজুড়ে যত্রতত্র পশুর হাট, রাস্তা ও নৌপথে পশু পরিবহন, পশু জবাই ও জনসমাগমের কারণে নানা বিশৃঙ্খলার শঙ্কা ছিল। তবে ৯৯৯-এ কলের ভিত্তিতে কার্যকর মনিটরিং ও তৎপরতায় এসব সংকট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
ঈদে যেসব অপরাধ বা বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এসেছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল পশুর হাট ও রাস্তায় চাঁদাবাজি, জোর করে পশু অন্য হাটে নিয়ে যাওয়া, অজ্ঞান/মলম পার্টির তৎপরতা এবং অতিমাত্রার শব্দদূষণ। এ ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে ৯৯৯-এ কল করে সহায়তা পান ১ হাজার ২৭১ জন।
তাছাড়া কাউকে আটকে রাখা-সংক্রান্ত অভিযোগে সাড়া দেওয়া হয় ১ হাজার ২১৪ জনকে। পাশাপাশি জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সেবা পান ১ হাজার ৬২ জন ও বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে সহায়তা দেওয়া হয় ৯৯২ জনকে।
৯৯৯ সেবা-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঈদে মানুষের চলাচল, পশু কেনাবেচা, বড় আকারের জনসমাগম—সবকিছু মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হয়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে যাচাই করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিশেষ করে ঈদের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি চালানো হয়।