সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নে বিএনপি'র উদ্যোগে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা ঘোষিত অবোহিত করন ও মানবিক রাষ্ট্র গঠলেন লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়ছে।

মঙ্গলবার (১১ফেব্রুয়ারি) পিরোজপুর ইউনিয়নে মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  হয়ছে।

পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি মো.

মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসাবে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম বিডিআর।

প্রধান বক্তা উপজেলা সহসাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক হাজী জয়নাল মেম্বার।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক হান্নান বেপারি,  প্রচার সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপু,উপজেলা বিএনপির সদস্য আলীনুর বেপারী, সোনারগাঁ উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল, পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি সামাদ মেম্বার, আবুল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক রিয়াজুল, ইয়াসিন, দুলাল, পিরোজপুর ৯ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাসেম প্রধান, পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপি দপ্তর সম্পাদক হাসান, পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আল আমিন,পিরোজপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি দেলোয়ার বেপারী,পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা আনার, আফসার, রিপন, সবুজ প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, স্বৈরাচারী পলাতক শেখ হাসিনা বিগত ১৫ বছর রাষ্ট্র কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়ে সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ ও লুটপাট করে দেশের সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। তা পুর্নগঠনের জন্য ৩১ দফা বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।

আরও বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই ‘সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষে রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা’ ঘোষণা করে বিএনপি।

এইসময় সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুলের ইসলাম মান্নানের পক্ষে থেকে এক হাজার শীতার্ত পরিবারের মাঝে এ শীত বস্ত্র বিতরন করেন  ও বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফকে (৩০) হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা বশির উদ্দিন (মাস্টার) এই অভিযোগ করেন।

এ সময় বশির উদ্দিন বলেন, পুলিশ দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ার কোনো সুযোগ নেই; সেখানে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক।

এর আগে গত শনিবার পুলিশ সুপার শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক তদন্তের তথ্য অনুযায়ী অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাইফুল্লাহ আরিফ মারা গেছেন।

সাইফুল্লাহ আরিফ ভোলা পৌরসভার কালীবাড়ি রোডে নবী মসজিদ গলি এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে। গত ৩১ আগস্ট ভোরে নিজ বাড়ির সামনে থেকে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর কিছু প্রমাণ আছে। আরিফের শরীরে একাধিক কাটা ও ভাঙা জখম ছিল, এমনকি হাতের রগ কাটা ছিল। পুলিশের দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সুযোগ নেই, কারণ, ছাদে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশ সুপার আমার ছেলেকে নেশাগ্রস্ত আখ্যা দিলেও তাঁর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশ কীভাবে এমন কথা বলতে পারে। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বশির উদ্দিন আরও বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফ কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হলেও কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি। হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ সত্য গোপন করছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বশির উদ্দিন বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে অনেকের বিরোধ ছিল। তবে জমিজমার বিরোধ ও মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে তাঁর ছেলে খুন হয়নি। এগুলোর সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।

শনিবার পুলিশ শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফের মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায়, তিনি অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমান ১২টা ১৫ মিনিটে রাতের খাবার শেষে সাইফুল্লাহসহ পরিবারের সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ফজরের নামাজের জন্য বের হওয়ার সময় তাঁর বাবা বশির উদ্দীন (৭০) বাড়ির সামনে গেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালে দেখা যায়, আরিফের মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়ই ছাদে যেতেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি ছাদে ওঠেন এবং অসতর্কতাবশত রেলিংবিহীন অংশ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান।

পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার শরীফুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই ঘটনায় তদন্ত চলমান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে তথ্য সংযোগ-বিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
  • ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের