নিজেদের বিভিন্ন প্রযুক্তি ও অ্যাপে থাকা নিরাপত্তাত্রুটির সন্ধান পেতে ‘বাগ বাউন্টি’ কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকে মাইক্রোসফট। এ কর্মসূচির আওতায় মাইক্রোসফটের তৈরি প্রযুক্তি ও অ্যাপে থাকা নিরাপত্তাত্রুটির সন্ধান দিতে পারলেই বিভিন্ন অর্থমূল্যের পুরস্কার পাওয়া যায়। এবার কো-পাইলট চ্যাটবটে থাকা নিরাপত্তাত্রুটির সন্ধান পেতে নিজেদের বাগ বাউন্টি কর্মসূচির আওতা বাড়ানোর পাশাপাশি পুরস্কারের মূল্য বাড়িয়েছে মাইক্রোসফট।

মাইক্রোসফটের নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে কো-পাইলট চ্যাটবটে থাকা মাঝারি মাত্রার নিরাপত্তা ত্রুটি শনাক্ত করে রিপোর্ট জমা দিলে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত পুরস্কার পাওয়া যাবে। এ ছাড়া কো-পাইলটের বেশ কিছু সেবাকে নতুন করে বাউন্টি কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কো-পাইলট ফর টেলিগ্রাম, কো-পাইলট ফর হোয়াটসঅ্যাপ, কো-পাইলট ডট মাইক্রোসফট ডট কম এবং কো-পাইলট ডট এআই।

এক বিবৃতিতে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, আমরা মাঝারি মাত্রার নিরাপত্তা ত্রুটির ক্ষেত্রে নতুন পুরস্কার কাঠামো চালু করেছি। গবেষকেরা এখন এ ধরনের ত্রুটি শনাক্ত করে প্রতিবেদন দিলে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত পুরস্কার পাবেন। নিরাপত্তা ত্রুটির মাত্রা অনুযায়ী পুরস্কারের মূল্য ২৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত পাওয়া যাবে। অর্থাৎ, গুরুতর নিরাপত্তা ত্রুটি হিসেবে বিবেচিত তথ্য বিকৃত করার ঘটনা শনাক্ত হলে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত পুরস্কার মিলবে।

প্রসঙ্গত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর সহকারীর আদলে তৈরি কো-পাইলট চ্যাটবটের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তৈরির পাশাপাশি এক্সেলে বিভিন্ন টেবিল তৈরি করা যায়। শুধু তা-ই নয়, লিখিত প্রম্পটের মাধ্যমে কৃত্রিম ছবি তৈরিসহ আউটলুকে আসা ই-মেইলের উত্তরও পাঠানো যায়।

সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।

ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন। 

লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।

ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।

ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।

ঢাকা/রফিক/টিপু  

সম্পর্কিত নিবন্ধ